[কবি জীবনানন্দ দাশ স্মরণে]
জন্ম: বাংলা ৬ই ফাল্গুন, ১৩০৫; ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯।
মৃত্যু: তার রচনা অমর।
================================
প্রতিটি মানুষ অচিরে মানুষ হয়ে নয়
তবু কারো খোঁপায় নিয়ে রোদের ক্ষয়
বরুণফুলের কাছে দাঁড়ানোর ইচ্ছে হয়
কয়েকটি নষ্ট-পাখি ভুল মার্চে চলে এলেবেলে আকাশ
মেঘের কালি ঈশ্বর লিখে গেছে কবে সেসব নাঙ্গা কাশ
পরিনির্বাণ বিষয়ক যা জানি
জানে অবশ্যই চুরি যাওয়া রেবতী
সুরমা মধুডাঙা অই ...
[justify]১৯৫২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি, পুলিশের হাতে ধ্বংস হয় একুশে ফেব্রুয়ারীর স্মরণে নির্মিত প্রথম শহীদ মিনার। সেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন কবি আলাউদ্দিন আল আজাদ তার প্রতিক্রিয়ায় লিখেছিলেন,
‘স্মৃতির মিনার ভেঙ্গেছে তোমার? ভয় কি বন্ধু
আমরা এখনোন চারকোটি পরিবার খাড়া রয়েছি তো’
আজ ২০১০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী যখন স্বাধীন দেশের মাটিতে স্মৃতির মিনার যখন ভাঙ্গা হয় তখন আমরাও ...
ঠিক ছয়টায় টেলিফোনটা বেজে উঠলো।
আমি তখন শাহেদের বিছানার উপর জবুথবু হয়ে বসে আছি। জ্বরগ্রস্ত রোগীর মতো। ডানহাতে একটা গ্লাস ধরা, তার তলানিতে অল্প একটু ভদকা পড়ে আছে। টেলিফোনটা যখন বেজে উঠল তখন আমি শাহেদের বিছানার পাশের টেবিলটায় রাখা চারকোনা ছোট্ট ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। ৫:৫৯ থেকে কেবল ৬:০০ হয়ে গেল ঘড়িটায় আর আমাকে চমকে দিয়ে টেলিফোন বাজতে শুরু করল।
এইরকম অদ্ভুত উদ্ব...
সামনে পরীক্ষা । তাই এখন মাথা আউলা হয়ে গেছে! টিউশনি নিয়ে অনেক সুখের স্মৃতি মনে পড়ছে! দুঃখের কিছু স্মৃতিও মনে পড়ছে! বিশেষ করে কিছু অভিভাবকদের কথা! যারা ঠিকমত তাদের দায়িত্ব পালন করেন নি! সকলের কথা চিন্তা বিবেচনা করে কিছু টিপস দিচ্ছি । যাদের বাসায় টিউশনিতে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র আসে , সেই সব অভিভাবকগণ অবশ্যই এই সব কর্তব্য এবং দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করবেন!!
১। নি...
- উৎসর্গের পাতার এই ঝরঝরে লেখনীর সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত বটে! জ্বী পাঠক, ঠিক ধরেছেন, দাদাভাইর লেখা। সচলে যার লেখার বিস্তারিত পড়তে হয় কাট্ কাট্, চমক লাগা লাইনগুলোর লোভে।
“ত্রিধা”তে এর ব্যতিক্রম হওয়ারতো কথা নয়। বরং বাড়তি কিছু পাওয়া গেল কিনা তাই দেখার বিষয়। “ত্রিধা” বইমেলা ২...
যারা প্রথম পর্ব পড়েন নি, তাদের জন্য তারার হাতছানি(প্রথম পর্ব)
০৩
অরিত্র বসে আছে বাঁশি হাতে... আজ সে বাজাচ্ছে না। মন তো এখন অন্য খেয়ালে। অরিত্রের উত্তেজনা দেখে মনে হয় গাছ আর গাছের বানরগুলোও মজা পাচ্ছে। কিন্তু সেদিকে কি আজ তার খেয়াল আছে! তার যেন আজ মূহুর্ত কাটে না... সময় যাচ্ছে বড় ধীরে... অরিত্র শুধু একটু পর পর এদিক ওদিক তাকায়। একসময় তার মনে হয়, ঠিক তার পিছনেই দাঁড়িয়...
ঘনকালো পর্দায় ঢাকা সেই রাতের কথা নাহয় একেবারে সমাধিস্থ হয়ে যাক, অনেক অনেক গভীরে, সূর্যতারাহীন অন্ধকারে। সব ক্ষত সব ক্ষতি সব প্রতিশোধবাসনা সব ভুল সব হিংসা চাপা পড়ে থাক সেখানে। বিপুল মৃত্যুর স্তর সরিয়ে জীবন ভেসে উঠুক তেজী রাজহংসীর মত। তার আলোর মতন পাখায় লেগে থাক নতুন আকাশের প্রতিশ্রুতি। এসো, চোখ মেলি বাউল ভোরে।
এসো আবার চোখ মেলি বাউল ভোরের হাওয়ায়-
অনিঃশেষ রাতের জলতরঙ্গ অন্ধকা...
ফাল্গুনের 'ছয়' সর্বানন্দ ভবনের আলো হাওয়া, নিয়ম-নীতিহীন খামখেয়ালীতে, ধাঁনসিড়ির বুক জুড়ে এমন কল্লোল তুলে দিয়েছিলো যে, বহু বছর পর তেমনি এক বসন্ত রাতে ‘আমাদের দেশের সেই ছেলে’ দেখে ফেলে
এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে___ সবচেয়ে সুন্দর করুণ;
যেখানে সবুজ ডাঙা ভ’রে আছে মধুকূপী ঘাসে অবিরল
তারও আটাত্তুর বছর পর একই দিনে জন্ম নেবার, জন্ম নিয়ে আনন্দবেদনাভালোবাসার ব্যাখ্যারহিত পুলকে মেয়েটি ভাসতে ...
এই আমাদের ছাদে
দত্যি দানোর মজমা জমে,
অসহ্য আহ্লাদে।
জোট বেঁধে সব ঘোট পাকিয়ে
ফন্দি ফিকির ফাঁদে।
আমার নিজের ছাদে।
কী ভাবে সব?
এই তান্ডব
সইব নির্বিবাদে?
খুঁটিগাড়া প্রেতবাহিনীর
টুঁটি ছেড়ার আশায়
এই আমাদের বাসায়
ওঝা আসেন সদলবলে।
তাঁদের সেবায় ফুলে ফলে
উপচে পড়ে ডালা।
শালা!
সরষে দানায়
ভূতের ছানা
ঘাপটি মেরে বসে।
হাতুড়েদের দোষে
পিশাচেরা দাপিয়ে বেড়ায়
এখনো এই ছাদে।
জলখাবারের স্বাদ...
১৯৩৩
তোমার শরীর —
তাই নিয়ে এসেছিলে একবার — তারপর — মানুষের ভিড়
রাত্রি আর দিন
তোমারে নিয়েছে ডেকে কোন্ দিকে জানি নি তা — মানুষের ভিড়
রাত্রি আর দিন
তোমারে নিয়েছে ডেকে কোনদিকে জানি নি তা — হয়েছে মলিন
চক্ষু এই — ছিঁড়ে গেছি — ফেঁড়ে গেছি — পৃথিবীর পথে হেঁটে হেঁটে
কত দিন — রাত্রি গেছে কেটে!
কত দেহ এল, গেল, হাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে
দিয়েছি ফি...