পাগল মন
১.
চোখ মেলেই দেখি নীল আকাশ। আহা, কতদিন এরকম আকাশ দেখি না। শহুরে মেকি ব্যস্ততায় ফুরসতই মেলে না মাথাটা উপরে দিকে করার। সারাক্ষনই সবাই ব্যস্ততার ভান করছে।
শুয়ে ছিলাম, উঠে বসলাম। চারিদিকে চোখ বুলিয়ে দেখি কোনই গাছপালা নেই শুধুই ধু-ধু মাঠ। আমি কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে গেলাম। কিছুই মনে পড়লো না, কিভাবে, কেন আমি এখানে। এটা কোন জায়গা সেটাও বুঝতে পারলাম না। তবে শুধুই মনে হল, ...
গল্পের মাঝে লোডশেডিং।
নতুন নয় কিছুই, কিন্তু এসির আওয়াজটা বন্ধ হতেই
বাইরের শব্দগুলো হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকে পড়ল যেন,
দরজা খুলে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াতেই গরম হাওয়া এসে জড়িয়ে ধরল,
বলল, পালিয়ে ছিলে? কিন্তু পারলে নাতো? দেখেছ, কেমন লোডশেডিং করিয়ে দিলেম?
ঝগড়া করবার মন ছিল না, ক্লান্ত আমি ঘুমুতে চাইছিলাম
পাত্তা দিলাম না ওদের কথায়, না শোনার ভান করলাম…
বসতে গিয়ে পাশাপাশি ,
অসাবধানে হাসাহাসি ।
ওড়না খানির স্পর্শ যদি লাগে,
আর কিছু নয়, স্পর্শটুকু
সরিয়ে রাখি সঙ্গোপনে
আমার মানি ব্যাগে
খুব কি যাবে রেগে...
কৃষ্ঞ কানহাইয়া
আরেকটা নতুন বছর শুরু হচ্ছে। ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের মতো হারিকেন হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে জনতা। কিন্তু তবুও মুখে হাসি থাকুক, গান থাকুক।
শুভ নববর্ষ।
না-ই হলো আজ কালবোশেখী ঝড়,
না-ই এলো আজ
হালকা দারুণ হাওয়া,
গরম কিছু না-ই গেলো আজ কমে,
না-ই হলো আজ
বাইরে কোথাও যাওয়া।
চারদিকে তা-ও
খুশীর আমেজ মাখা,
হয়তো কোথাও বাজছে তবু শাঁখ-
জৈষ্ঠ, শ্রাবণ,
আষাঢ়, ফাগুন ঘুরে
ফিরলো আবার পহেলা বৈশাখ।
শুভ নববর্ষ!!
আলো এবং অন্ধকারের বৈপরিত্যে বিশ্বাসী আমি
হঠাৎ করেই ভেঙে পড়ি বর্ষার জলে|
কবিতার জন্য লোভ?
কিংবা শেষ ট্রেন ধরবার তাড়া?
বন্ধু,
আমি শুধু দুমুঠো ভাত এবং একটু অনুভূতিহীনতার জন্যই বাচতে চেয়েছিলাম|
এইসব থাক,
আজ বরং তোকে আমি অন্ধকারের গল্প শুনাই|
এই যে নদী এলোমেলো শহরের আলো
পেছনে উল্লসিত জীবনের বার-বি-কিউ
সবকিছু পেরিয়ে আমি বার বার এসে দাড়িয়েছি পাহাড়ের প্রান্তদেশে
ভুল আলো ভুল মানুষে...
[justify]
বিকেল পেরিয়ে যাচ্ছে বলে প্রায়। বাইরে এখনও বেশ আলো। আলোটুকু আটকে যায় জানালা দিয়ে ঢোকার পথেই। ভারী পর্দাগুলো ভিতর থেকে কেউ সরিয়ে দেয় না বলেই বোধহয়। রুমের ভিতর তবুও কিছুটা আলো-আঁধারী খেলা করে খানিকটা শূন্যস্থান পর্দার পাশে থেকে যায় বলেই।
হঠাৎই খুট করে শব্দ পাওয়া যায়। কী-হোলে চাবি ঢুকিয়ে মোচড় দেওয়ার আওয়াজ। দরজা খুলে ভিতরে ঢোকে কেউ একজন। চেয়ার টানার শব্দ। তারপর কিছু ইতস্তত এ...
মেঘের পালক অব্দি বিস্তৃত দেয়ালে বসে চেয়ে গেছি বটের পাতার মত বাঁচা; বিরল ঋদ্ধতা নিয়ে ঝরে যাবো বিকেলের চমক আলোয়; শুকাবেনা মন্বন্তরে, অনাহারেও আর্দ্রতায় উদ্ভাসিত হবে উপশিরা। এসব কি হয় নাকি! আটটা-পাঁচটা ঘরবার, ওৎপেতে বসে থাকা ঠুলো মোড়ে মোড়ে। অন্ধকার গাঢতর হলে অপ্রেম দখল নেয় মানবিক সূক্ষ্ম চেতনা! মুখের আড়ালে মুখ, প্রেমের আড়ালে কৌশল , রঙের আড়ালে খুব্ধ ভীতিপ্রদ জীবনযাপনের কংকাল-বসে থা...
[justify]
বাইরে মরা স্যাঁতানো একটা দিন।
গুগলে ঠোকাঠুকি জানিয়ে দিলো, আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হবে ১৯ ডিগ্রি, এখন ১৩।
বৃষ্টি হবে,আরও ঠাণ্ডা পড়বে।
ঘরের ভেতর হিটার চালিয়ে বসে আছি।
আবহাওয়ার নিম্নগামিতা মনোজগত্কে কতটা প্রভাবিত করে জানিনা, প্রবল ব্যস্ততা আর অসীম অনিশ্চয়তার মধ্যেও মন খারাপের বিষণ্ণ সুর একটানা বেজে চলছে।
মাথার ভেতর কেবল বাজছে - অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা -- --- ---
হয়তো ছায়ানটে...
শীতের দিনে তীব্র কুয়াশার ভেতর এলোমেলো ভাবে হেঁটে যাই
ঘাসের চূড়ায় ভোরের স্বচ্ছ শিশির ,
আর ভুল করে জেগে ওঠা পাড়ার সাদাকালো কুকুরট্
ওরা আমার সাথী হয়;
আমার ভালই লাগে।
ঝাঁ ঝাঁ রোদে হাঁটাহাঁটি পুরোনো অভ্যাস
মনের জীবাণূগুলো মেরে ফেলি প্রখর তাপে,
বেঁচবে বলে এক ঝুড়ি লাল গোলাপ নিয়ে
আট-নয় বছরের ছেলেটা আমার পিছু নেয়,
চারটা টাকার বিনিময়ে কিনে নেই দুটো ফুল
ছেলেটার চোখ খুশিত...