পাগল মন
১.
মঙ্গলবার দিনটা আমার খুব খারাপ কাটে, মেজাজও খুব খারাপ থাকে কারণ আর কিছুই না এদিন অনেক সকালে আমার ঘুম থেকে উঠতে হয় যেখানে আমি বেলা ১০টার আগে উঠিই না। প্রতি মঙ্গলবারে আমার রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে একটা অফিসে যাইতে হয় আর সুপারভাইজারের সামনে কম্পু নিয়া সারাদিন কাজ করতে হয় (আসলে বেশিরভাগ সময় কাজের ভান করি)। তো গতকালকেও গেছি অফিসে সাতসকালে উইঠ্যা, গিয়াতো দেখি ...
…
ভাতের গ্রাসটি ঠেলে মুখে পুরে দিতেই বিবমিষায় ভরে গেলো মুখ। মেটে আলুর মতো স্বাদ-গন্ধহীন শক্ত শক্ত কাঁচকলায় রান্না তরকারি। কাতলার মতো বড় কানকাঅলা মাছের মাথাটার চ্যাপ্টা দুধার দুদিকে রেখে লম্বালম্বি দু’ভাগ করার পর মাথার মধ্যে লোটাকাটা ছাড়া আর কিছু থাকে কিনা কে জানে। মোটাচালের ভাত আর কেন্টিনের বিখ্যাত হলদে কিন্তু অবয়বহীন ডাল। সব মিলিয়ে একসাথে মেখে যে পদার্থটা তৈরি হলো তার একট...
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কারো পক্ষে ২৪ ঘণ্টা ভাবা বা কাজ করা সম্ভব কিনা জানি না; কিন্তু একজনের পক্ষে সম্ভব। তিনি সচল মাহবুবুর রহমান জালাল। আমরা যখন সারা সপ্তাহ কাজ আর ছুটির দিনে বিশ্রাম কিংবা আনন্দ উদযাপন করতে ব্যস্ত, তিনি তখন কাজের ফাঁকে এবং ছুটির দিনে লাইব্রেরিতে ব্যস্ত মুক্তিযুদ্ধের ওপর তথ্য সংগ্রহে অথবা কারো সাথে এ নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে আলাপ করছেন। এ নিয়ে তাঁর কোন ক্লান্তি বা ...
[মুক্ত বিহঙ্গ]
[justify] ভদ্রলোক প্রায় দুই ঘন্টা যাবত হাসপাতালের রিসেপশনে বসে আছেন। তাঁর সাথে বিরাট সাইজের দুইটা সুটকেস। ভদ্রলোকের বয়স প্রায় ষাট, মাঝারি উচ্চতা, কাঁচা-পাকা চুল। চেহারা দেখে বোঝা যায়, বেশ আভিজাত্যে জীবন-যাপন করেছেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরেও তাঁর চোখে-মুখে বিরক্তির কোন ছাপ নেই। হাসপাতালের পরিবেশ খুব আগ্রহ নিয়েই উপভোগ করছেন মনে হচ্ছে।
গত দুই ঘন্টায় খারাপ কোন দৃশ্য দেখ...
নিচের কথোপকথনে 'ক' লেখক নিজেই এবং 'অ' অদৃশ্য অন্ধকার।
ক : চিনলাম না, আপনার পরিচয়টা ?
অ: আমি অদৃশ্য অন্ধকার, তোমাকে আমি চিনি না, তাই বলে কি তোমার বন্ধু হতে পারবো না?
অ: আমার কথা একটু বলি, আমি শিক্ষিত চাকুরিজীবী মেয়ে, কবিতা ভালবাসি, এক-আধটুকু কবিতা লিখতে চেষ্টা করি, আকাশ দেখতে ভাল লাগে, আজ পূর্ণিমা রাত- মিরপুরে আমিই হয়তো হব আজ সারারাত চাঁদের সাথী,ভালো লাগে পাহাড়ের নীরবতা আর খালি পায়ে ...
অনেক দেরীর ভোর,
দুপুর রোদের গরমে
অলস পথচলা;
বরফ কুঁচি ঠান্ডা চুমুকে
স্বস্তির মৃদু উচ্ছ্বাস;
অসময়ের বিকেল ঘুমে
ভাঙা স্বপন,
টুকরো জীবনের ছন্দ।
নির্বান্ধব একলা ছাদ,
মন মাতানো এলোচুল হাওয়ায়;
গোধুলী আভার পরশে
মনে বাজে
বিদায়ের বিষণ্ণ সুর।
[বিষণ্ণ বাউন্ডুলে]
[প্রিভিউতে কবিতার বড় একটা অংশ বেরিয়ে পড়ছে, সেটাকে কমানোর জন্যে এই উপক্রমণিকা।
কবিতাটা কাগু'র খাতিরে লেখা। ভদ্রলোক একের পর এক মেইলের জবাবে বড় কষ্ট করে ইংরেজী লিখছেন। বাংলা ভাষার ঠিকাদারি নিয়ে এতো কষ্ট করছেন যিনি, তার জন্যে এটুকু কষ্ট এমন কিছু নয়।
কাজেই, ওয়ান ফ্লিউ ওভার দ্যা কাগু'স নেস্ট ... ]
সন্ন্যাসী কাগু-গুপ্ত,
জনকণ্ঠের ভবন আড়ালে একদা ছিলেন ছিলেন সুপ্ত।
মনের শান্তি নিয়...
ভূমিকা
প্রতিটি নগরীরর বিখ্যাত ভবন বা দৃশ্যগুলোর হাজার হাজার ভালো ছবি তোলা হয়ে গেছে।এইসব অতি পরিচিত বিষয়বস্তুর নতুন করে দৃষ্টিকাড়া ছবি তোলা বেশ কঠিন।কতটা কঠিন তা পড়ুন মুস্তাফিজ ভাইয়ের এই আলোচনায়।
স্থায়ী কোনো কাঠামোর ছবি তোলার প্রথম অসুবিধা হচ্ছে কম্পোজিশনের সুবিধামত ভবন বা স্থাপত্যকে সরানো যায় না। দিনের ঠিক সময়ে হাজির না হলে প্রাকৃতিক আলো...
জহিরুল ইসলাম নাদিম
ঘরের ভেতর কুমির দেখে
ছিটকে দাদু মেঝেতে
আনতে তাকে ওখান থেকে
সাহস ক'রে কে যেতে?
পুলিশ ডাকো পুলিশ ডাকো
কেউবা ডাকে সোলজারই
কেউবা আবার ক'রেই বসে
সেই জরুরী রোল জারি!
সবাই ছোটে ত্রস্ত পায়ে
বাঁয়ের জুতো ডান পা'তে
দাদু বুঝি আর বেঁচে নেই
জানতে ভয়ে কান পাতে।
এমন সময় একটি ছেলে
যে নাকি ভয় দ্বন্দ্বহীন
ঢুকেই বলে কুমির কোথায় ?
ঘরটাতো বেশ রন্ধ্রহীন।
সবাই ওঠে চেঁচিয়ে ভীষণ...
বাংলায় লেখালিখি করতাম ছোটবেলা থেকেই। তখন সীমাবদ্ধ ছিলাম কেবলই কাগজে কলমে। অনলাইন এ সচলায়তন কেও চিনি বহুদিন হল। কিন্তু লেখা হয়ে ওঠেনি। আজ অভ্রর জন্য আন্দোলনের সুবাদে ঢুকেই পড়লাম সচলে। আশা করি এর মাধ্যমে আর কিছু না হোক অন্তত মাতৃভাষার প্রতি নিজের ভালোবাসাটা প্রকাশ করতে পারব।
আমি বিজয়ে কাজ করিনি এমন নয়। স্কুল এ থাকার সময় প্রোগ্রামিং করতাম সবচেয়ে সহজ ভাষা "ভিসুয়াল বে...