পলাশ রঞ্জন সান্যাল
(প্রথম পর্ব)
অঙ্কিতা চলে যাচ্ছে।
অনেকটা হঠাৎ করেই। রুদ্রের কল্পনাতেও এচিন্তা আসেনি যে অঙ্কিতা চলে যাবে।
রুদ্র ঘড়ির দিকে তাকায়। ৯টা বাজে। অঙ্কিতা এতক্ষণে এয়ারপোর্টে।
শেষ একবার কথা বলা কি উচিত ছিল?
না। রাতেই তো কথা হলো দাদা আর অঙ্কিতা দুজনের সাথেই।
এসব ভাবতে ভাবতে বিছানা ছেড়ে ওঠে রুদ্র। কদিন আগে ইন্টারের রেজাল্ট দিয়েছে। করার মত কাজ এখন -দিন ধরে ভ...
[justify]
একজন নর্তকী
বারে বন্ধুরা একটা ট্যাবলেট খেতে দেয়। অল্প আলোয় নিরীহ চেহারার ট্যাবলেট গিলতে গিয়ে প্রাথমিক দোনামনা ভাব অন্যদের জোরে টেকে না। খাওয়ার কিছুক্ষণ পরে এক অদ্ভুত শূন্যতায় পালক হয়ে উড়ে যেতে থাকে ফারাহ। একটু একটু বুঝতে পারে শরীরের নানা অংশ যুবক বন্ধুদের বেদখলে চলে গেছে। পরে ইতস্তত না করে নেমে পড়ে একজন নর্তকী হয়ে।
রিকশা, ধরিত্রী
চাকা ঘোরে। ঘুরতে থাকে। প্যাডেল মারত...
জহিরুল ইসলাম নাদিম
জায়গাটা সুখপ্রদ বা দৃষ্টিনন্দন কোনোটাই না।
সারফেস ড্রেনগুলো থেকে ময়লা ওঠাবার ক্ষেত্রে কর্পোরেশনের কর্মীরা কর্মতৎপরতার স্বাক্ষর রাখলেও সেগুলো সরাবার বেলায় তাদের অনীহা হতাশাব্যঞ্জক। মাঝে মাঝে ময়লা ‘তোলা’ এবং ‘ফেলা’ কাজ দুটির মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান দিনকে পর্যন্ত ছুঁয়ে দেয়। ছোট্ট এই গলিটার দুপ্রান্তে তখন দাঁড়িয়ে থাকে গড়পড়তা কালো রঙের মিনি গম্বুজগুল...
১।।
‘মুরাদ, চল ধানমন্ডি যাই।’
‘এখন ধানমন্ডি যাবি দোস্ত!’
‘কেন, এখন কি তোর কোন কাজ আছে না কি ?’
‘না...ইয়ে এখন না হয় না যাই, তার চেয়ে চল রাতে ঢাকা ভার্সিটিতে ঘুরতে যাই। আজ পূর্ণিমা।’
‘আমি রাজি। তুই কখন আসতে পারবি?’
‘আমি রাত এগারটার দিকে তোকে ফোন দিব।’
কলেজগেটের ঠিক সামনে যে চায়ের দোকানটা আছে, সেখানে চা খেতে খেতে কথা বলছিলাম মুরাদের সাথে। সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে সাতটা বাজে। মুরাদ আমার ভার্...
গল্প লেখার মত কোনো গল্প তো আর
নেই আমাদের।
কিন্তু যদি, গল্প বলার মত কোনো গল্প হতো?
ছোটবেলায় দেখা হতো? রোজ বিকেলে
খেলতে যেতাম, নিতাম আড়ি, ভাব নিতাম?
তখন নাহয় বলার মত
অনেক রকম গল্প হত, এখন তো নেই।
গল্প বলার মত কোনো গল্প তো নেই।
[justify]
১৯৫২ সালে আমার বয়েস ৪/৫ বছর। ফলে ২১শে ফেব্রুয়ারীর কোন স্পষ্ট স্মৃতি নেই। তবে একটু বড় হবার পর থেকে দেখতাম, ঐ দিন খুব ভোরে ছাত্ররা খালি পায়ে হেটে হাতে ফুল নিয়ে স্থানীয় শহীদ মিনারে মিছিল করে যাচ্ছে। একটু বড় হলে আমিও তাদের সাথে যাওয়া শুরু করলাম। শীতের ঐ ভোরে উঠে সবার সাথে দল বেধে খালি পায়ে হাটার মধ্যে কেমন যেন একটা আলাদা উত্তেজনা অনুভব করতাম। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ...
গত পর্বের লেখার মূল বক্তব্য ছিলো যে একটি ফন্ট-এর গঠনগত ও ব্যবহারিক সৌন্দর্য নির্ভর করে এর প্রতিটি বর্ণে ব্যবহৃত রং ও স্পেস-এর ভারসাম্যপূর্ণ প্রয়োগের ওপর। প্রথমদিককার টাইপোগ্রাফী ক্লাসগুলোতে আমাদেরকে সেজন্যে খুব বেশি বলা হত আদর্শলিপি বর্ণে ব্যবহৃত স্পেস খুব ভালোভাবে আত্মস্থ করতে । স্পেস নির্ণয়ের জন্যে আমরা কাটা কম্পাস ধরে একই বর্ণের বিভিন্ন অংশের দুরুত্ব তুলনা করতাম, রে...
বইয়ের দোকানকে কেন লাইব্রেরি বলে এই প্রশ্নের জবাব আজও পাইনি। এরকম না পাওয়া অনেক প্রশ্নের “এক্স-ফাইল” তৈরি আছে মনে ভেতর। উত্তর পাব এই আশাও রাখি না। আজকের গল্প ফার্মগেটের একটি “লাইব্রেরিকে” নিয়ে। আমাদের তেজগাঁর বাসা থেকে দশ মিনিটের হাঁটা দূরত্বে ফার্মগেট। বড় ব্যস্ত এই জায়গা। বাসগুলো রাস্তা আটকে লোক উঠাচ্ছে আর নামাচ্ছে। পাশের ফুটপাথে বিক্রেতারা হাজারো পণ্যের পসরা সাজিয়ে হাঁক...
গত ২ মে থেকে লিখতে শুরু করেছি নূতন উপন্যাস অন্বেষা। ইচ্ছে আছে প্রতিটা পর্ব প্রথমে সচলায়তনে প্রকাশ করার। আজ প্রকাশিত হলো ২য় পর্ব। যারা ১ম পর্ব পড়েন নি, তারা এখানে ক্লিক করে পড়তে পারবেন।
অন্বেষা: ২য় পর্ব
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে “চোখ গোল গোল করে তাকানো”। অন্বেষার ধারণা ছিল এই প্রবাদে “টেকনিকাল ফল্ট” রয়েছে। মানুষ চোখ গোল গোল করে তাকাতে পারবে না কারণ তার চ...
কতখানি ফাঁকা তুমি?
আমার মতই কি জলে আঁকা সুখ?
প্রিয়মুখ পুড়ে যায় না-চেনার ভানে।
তোমাকে দেখে ঠিক আমার মতই মনে হয়।
অবিকল বিকল ডানা।
হাতে পায়ে একই করাতের দাগ।
চোখ তুলে তাকালে দেখলাম, চোখ নেই, আছে যশোর।
একটা আস্ত শহর চোখে এঁটে এঁটো কুড়াচ্ছ কুকুরদের সাথে।
ঘুরেফিরে শহরের বিভিন্ন ডাস্টবিনে আমাদের দেখা হয়।
মৃত শিশু, জলের বোতল বা গহন কাঁকন।
সুধীজনের কোঁচকানো মুখের পরিপাটি বসার ঘরেও পাই ...