রাত ৯ টা। গ্রামীণ রাস্তা, দু'ধারে বাঁশঝাড়। ঝকমকে আলোর ঝলকানি আর বিকট ভো ভো শব্দে একটি মোটরবাইকের সাড়া পেয়ে চিক চিক শব্দ করে দ্রুত রাস্তা পাড় হলো একটি ছুঁচো। রাস্তা পাড়ি দে'য়া ছুঁচোর নিত্য দিনের ব্যাপার। ইদানিং তাকে পড়তে হচ্ছে নানা ঝুট ঝামেলায়।
জানে বেঁচে গিয়ে ধাতস্ত হলো।তার অভিজ্ঞতায় নাই এমন যন্ত্রচালিত জন্তু।
আবহমান কাল থেকে চলে আসা জিনেটিক কোড, পুরাণ, স্মৃতি বা শ্রুতিতে পা...
১.
গোলকগ্রাম। উহার নির্ভুল অবস্থান জানাইবার বোধকরি কোন প্রয়োজন নাই। গোলকগ্রামের সীমানা ছুইবা মাত্র ভদ্রমোহদয়গন ‘দূচ্ছাই’ বলিয়া মিনিট এবং সেকেন্ডের কাঁটা একযোগে উপড়াইয়া ফেলেন; এই অঞ্চলে উহাদের বিশেষ কোন কারবার নাই। ততোধিক কুলীনেরা ঘড়ি ছুড়িয়া ফেলিয়া ক্যালেন্ডার বগলদাবা করিয়া গ্রামে প্রবেশ করেন।
এই গন্ডগ্রামের বিদ্যানাশিনী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অতি দীর্ঘ দুইখানা ব...
আমি বিশ্বকাপ দেখছি ১৯৮৬ সাল থেকে, মানে এখন হতে চলল ২৪ বছর। প্রতি বিশ্বকাপই সমান উত্তেজনা নিয়ে আবেগ নিয়ে দেখে এসেছি, তবে বয়স বাড়ছে যখন আবেগের বোঝাও কিছুটা করে কমে আসছে। আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে কোনটা তোমার দেখা সেরা বিশ্বকাপ - আমি অবশ্যই বলব ১৯৮৬ সালেরটা। ফ্যাক্টর অনেকগুলো - খেলায় আক্রমণ-প্রতিআক্রমণের সংখ্যাধিক্য, পুরো ফর্মের মারাদোনা (না, এর পরের দুটো বিশ্বকাপে এরকম মারাদোনাক...
একদা সে সাধু ছিল এমনি ভীষণ
তার কাছে সব ঋষি নামে প্রহসন
তপোবলে আনিলো সে এক দেবতারে
হা হা করি হাসি দেবে চারি মুণ্ডে ঘাড়ে
বলে, 'ওহে ভক্ত তোমার ধ্যানেতে গলিয়া
স্বর্গ ছেড়ে মর্ত্যে দেখো আসিনু চলিয়া
চাও তবে কিবা চাহো তবে শর্ত রয়
তিনখানি বর বেশী কভু একটি নয়
আরো একটা কথা শুনো কর্ণদ্বয় খুলিয়া
অমরত্বের বর তুমি যাওগো ভুলিয়া'
শুনিয়া তো সাধু রাগি দাঁত কড়মড় করে
দেবতারে ধরে বুঝি এই সেই মারে!
দ...
১৮.
দেশে ফিরে প্রথম যে সুবিধাটার অভাব অনুভব করেছি তা হলো ইন্টারনেট। অস্ট্রেলিয়ার নেট ব্যবহারকারীরা বেশীর ভাগ এডিএসল২+ ব্যবহার করেন। বাসার ফিক্সড ফোনের লাইন দিয়েই এ ধরনের নেট সংযোগ দেয়া হয়। স্পিড নির্ভর করে বাসা থেকে ফোন এক্সচেঞ্জ কত দূরে তার উপর। তবে, ৬ থেকে ১৪/১৬ মেগা বিপিএস অনেকেই পায়। আমি পেতাম, ৮এর মতো, কনফু পায় ১২এর উপরে।
এডিএসল সবসময় সংযুক্ত থাকে, ফলে যখন তখন যে কো...
ওভারব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে আকাশকুসুম কল্পনায় নিজেকে দ্বিতীয় আসমানে উড়িয়ে বেড়াচ্ছি আর পায়ের বিশফুট নিচে দেখছি নির্বোধ ভিড়ে মিশে যাওয়া ঘাম ও ধুলোর গন্ধের। আশপাশ দিয়ে ধাতব শব্দে পা ফেলে দৌড়াচ্ছে সময় এবং ব্যস্ত কর্মমূখী মানুষগুলো। কালো ধোঁয়ায় ভুতুড়ে স্বপ্নের দেশের দিকে জড়োসড়ো এগিয়ে যাচ্ছে আটটি শিশু। রাস্তার ধারে রেস্টুরেন্টে খাবার গিলছে একমনে কয়েকটি তরুণ। এসব কিছুর মাঝখানে আম...
গ্রেডশীট টা হাতে নিয়ে মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে ঢুকলাম বন্ধুর রূমে। তিনের সামান্য উপরের গ্রেডটা দেখিয়ে বললাম, দোস্ত এই দেশ আমার মুল্য বুঝলনা। এমনিতে আমাদের মতের হয়ত বিস্তর ফারাক থাকে, কিন্তু রেজাল্টের দিন আমরা ভীষণ রকম সহমত হয়ে যাই। বন্যার সময় যেমন এক বাধ্যতামূলক সাম্য বিরাজ করে, আমাদের অবস্থা ও দাঁড়ায় সেরকম। সে পূর্ণ সমঝদারির সাথে বলল, "আম্রিকা যাগা"। আমিও আম্রিকাতো চাইলে এখুনি য...
জামাতের নাকি মানুষের আইন মেনে নিতে আর আপত্তি নেই। আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার জন্য এতদিনের গলাবাজী, জুতো ছোড়াছুড়ি, এত রগকাটাকাটি, এতগুলো প্রানবাতি নিভিয়ে দেয়া, সেগুলো একটি কলমের খোঁচায় মিথ্যে হয়ে গেল। শুনেছি ২০২০ সালের মধ্যে জামাতের দলীয় নেতৃত্বে নির্দিষ্ট নারী সদস্যের সংখ্যা নিয়েও কথা চলছে, সেটাও হয়ে যাবে। মোট কথা ইসলামী গোঁড়ামির ফুটন্ত আগুন এখন কুসুম...
“One could spend years on this sentence” (from ‘Demeure: Fiction and Testimony’ by Jacques Derrida)
১.
এই পোস্টটি দীর্ঘ। বিরক্তিকর। এবং ক্লান্তিকর। তাই পাঠকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আরো আগাম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি মূলত পাঠকের কাছে যার একটি পোস্ট আমাকে এই পোস্টটি লিখতে ঠেলা দিয়েছে। সেই ঠেলায় যদি ব্যক্তি মূলত পাঠক আক্রান্ত বোধ করেন, তাহলে বলব এটি কখনোই আমার উদ্দেশ্য নয়।
আমার উদ্দেশ্য সম্পর্কেও একটি পরিস্কার ধারণ...
জলের চিঠি
বাদুড় ডানায় সন্ধ্যা নামে
নীলচে ধূসর ঐ আকাশে,
উড়িয়ে চিঠি স্বচ্ছ খামে
মেঘকুমারী মুচকি হাসে;
জলের লেখা পড়লে ঘাসে,
অচিন আশে,
হৃদয় ভাসে।
--রিম; ৮।৬।২০১০