0.
নাই ইংল্যান্ড, নাইরে ব্রাজিল
নাইরে ইতালি,
আর্জেন্টিনা জিতলে বলো
দেবে কে তালি?
তারচে’ আস দেই ছেড়ে দেই
এবার বিশ্বকাপ—
ম্যারাডোনার ইয়ে না দেখে
কমবে মনে চাপ।
১.
নাই বা থাকুক ব্রাজিল
তবু সাম্বায় চাই ব্রা, জীল।
২.
সে ধুচ্ছিলো ব্রা ঝিলে-
এক ন্যাদা'র সাথে মিলে!
৩.
বলবে এবার জার্মানী—
"মেসির কাছে হার মানি"
৪.
ইটা আলী ইটে বসে
ভাবে আজ সকাল...
দুই লাইনের এই ছড়াখানি ২০০৬ সালে রচনা করিয়াছিলাম, বিশ্বকাপ ফুটবল হইতে ব্রাজিলের বিদায়ের পূণ্যস্মৃতি উপলক্ষে। উহা আজও অমলিন ও পুনর্ব্যবহার্য।
আয় রে মামি আয় রে চাচি
দুলিয়ে মাজা শাম্বা নাচি!
সেই থেকে ছুটছি। বিরাম নেই এতটুকু। আর পাওয়া? বিশাল এক শূণ্যতা। যে শূণ্যে আমি ভাসছি অবিরত। কোন ওজন নেই, ভার নেই, একেবারে হালকা। তাইতো কদর নেই। অনাদরে অবহেলায় ছুটে চলা, পথ বাঁকা, তবু চলা, কেবলই ছুটে চলা। পিছন ফিরতে মানা। বুকে সাহস নিয়ে আবার সামনে চলা। আবার হোঁচট খাওয়া। বার বার একই দৃশ্যপট। এক সময় আশেপাশে তাকিয়ে দেখি- কেউ নেই আমার পাশে। দূর দিগন্তে ছোট ছোট বিন্দুর মত মানুষগুলো আমাকে রে...
[justify]
পানিপড়া নিয়ে আপত্তি আছে? তাহলে নিচের সিনারিওগুলি একটু বিবেচনা করুন:
১।
১৯৪০ বা ৫০ এর দিকে বুকে ব্যথা থাকলে একধরণের প্রসিডিওর ব্যবহার করা হত, এর নাম 'ইন্টারন্যাল ম্যামারি আর্টারি লিগেশন'। প্রচুর পরিমানেই ব্যবহ্রত হতো এই প্রক্রিয়া।
বিশ বছর ধরে এই প্রসিডিওর বেশ জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু ১৯৫৫ সালে সিয়াটলের এক চিকিৎসক, লিওনার্ড কব, একটি ইন্টারেস্টিং গবেষণা চালান দুই দল রোগী নিয়...
[justify]
নিউ ইয়র্ক এর স্প্রিং স্ট্রিটের একটা সাবওয়ে স্টেশনে বসে পত্রিকা পড়ছে লোকটা। দেয়ালে ইটের গাঁথুনী, মাটিতেও। গাঁথুনীর খোপ খোপ ছাপ ছড়িয়ে পড়েছে বেঞ্চে, লোকটার শরীরে, তার টুপি, হাতে ধরা পত্রিকা, জামা-জুতো সব গ্রাস করেছে দেয়ালের বর্গাকার ডিজাইন। লোকটা তার পারিপার্শ্বিকের কাছে নিজের ব্যক্তিস্বত্ত্বাকে হারিয়ে ফেলেছে। লোকটার ডাকাতি হয়ে গেছে স্বাধীনতা।
...
[I]ফাউ প্যাচাল:- এই নিয়ে দুখানা মন্দা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম, তাই নিয়েই কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ২০০৯ এর মে-জুন মাসে লিখে রেখেছিলাম৷, যখন ভারতে মন্দা বেশ জাঁকিয়ে বসেছে৷ নানাকারণে কোথায়ও দেওয়া হয় নি৷ তারপর fহার্ডডিস্ক ক্র্যাশ করায় লেখাটা হারিয়ে যায়৷ সেই হার্ডডিস্ক একটু একটু করে রিকভার হচ্ছে এখন, তাই তুলে দিলাম৷ লেখাটা একটু বাসীমত৷ বাসীগন্ধ লাগলে পাঠকরা জানান দেবেন, সরিয...
[justify] পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমাদের পিছনে পড়ে থাকার তো কোন কারণ নেই। সেদিন একটা খবর উড়ে আসা পাথরের টুকরার মতই আমার মাথায় আঘাত করল, আর সেই আঘাতে ব্যাপকভাবে ধরাশায়ী হলাম আমি। আসলেই তো, আমরা তো মোটেই পিছিয়ে নেই, ভালো খারাপ সবদিকেই আমরা অন্যান্যদের সাথে পাল্লা দিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দৌড়াচ্ছি। যারা আমার এই লেখা দেখে ভ্রুঁ কুঁচকে তাকিয়ে আছেন, তারা আমার কথায় বিশ্বাস নাও করতে পারেন, ক...
১.
রাতের যন্ত্রণাময় গভীর অংশটা শেষ হতে চললো। উদভ্রান্ত-যন্ত্রণাময় একটা সময় পার করে প্রায় বিধ্বস্ত অবস্থায় লিখতে বসেছি। কি যে লিখতে বসেছি ঠিক জানিনা। আমি শুধু জানি যে আমি যন্ত্রণাটাকে বলতে চাই- 'আর পারি না'। হয়ত 'আর পারি না'-টাকেই কাগজটাকে অথবা কলমটাকে বোঝাতে বসেছি; হয়তবা ট্র্যাশ-পেপার বাস্কেট টাকে- যে প্রতিরাতে আমার যন্ত্রণাকাতর সময়ের সাক্ষী দোমড়ানো কাগজগুলোকে বুকে ধ...
[justify]
ছোট্ট একটা সেল। তাতে গাদাগাদি করে তিনজন।
দু'জন আবার উপুড় হয়ে শুয়ে।
বোঁ করে একটা মাছি এসে চক্কর খায় শায়িত দু'জনের ওপর, একজন দুর্বল হাত ঝাপটা দিয়ে সেটা তাড়ানোর চেষ্টা করে।
এক নম্বর ময়লা দেয়ালে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। মেঝেতে চিটচিটে কম্বলের ওপর উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা দুই নম্বর গোঙাতে গোঙাতে বলে, "এই সময় উকিলের বাচ্চা গেছে আম্রিকা! এইটা কি আম্রিকা যাওয়ার সময়? এদিকে কেয়ামত হয়ে যাচ্ছে!"
...