আমি ব্রিটিশ টেলিকমে কাজ করি। বেডরুম অফিস করি। বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছাকাছি আমাদের অফিস ইন্ডিয়াতে। তাই মাঝে মাঝেই ব্যাঙ্গালরে গিয়ে ইন্ডিয়ান এঞ্জিনিয়ারদেরকে জ্ঞ্যান বিতরণ করে আসতে হয়। ঢাকায় ফিরতে আকাশ পথে প্রায় ১০ ঘন্টার মত ভ্রমন। ব্রিটেন যেতে ১২ ঘন্টার মত লাগে, তাই বলাই বাহুল্য আমার জন্য এটা যথেষ্টই ক্লান্তিকর। ভোর ৩টায় উঠে ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিতে হয়। অন্য বিম ...
আগে লিখতে হলে লেখার দক্ষতা ছাড়াও আরো নানারকম দক্ষতা লাগতো। এখনো যে সে প্রয়োজন একেবারে ফুরিয়ে গেছে তা নয়, তবে ইন্টারনেট মনের ভাব প্রকাশকে একেবারে অসাধারণভাবে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এ নিয়ে চৌঠা জুলাই এ্যান্ড্রু সালিভানের ব্লগে এরকম একটা লেখাও পড়ছিলাম, যে, যত 'ভালগার' আর 'অবনক্সাশ'-ই হোক, শেষতক বলার এই স্বাধীনতার সুবিধা বলতে না পারার চেয়ে বেশিই বটে, ...
নিজে নিজেই কেউ আহত হয়; নিজেকে কামড়ে খামচে টেনে হিঁচড়ে উন্মাদ সুফিদের মতো আন্ধা ঈশ্বরকে দেখায়- দেখো তোমাকে একমাত্র গণ্য ভেবে নিজেকেও কতটুকু নগণ্য করতে পারি আমি...
কেউ কেউ নিজেকে আহত হতে দেয়। মাইরের সামনে দাঁড়িয়ে মহাত্মা গান্ধীর মতো শান্তির সুবচন ঢেলে মারমুখো মানুষকে বোঝাতে চায় নিজের শান্তিপ্রিয়তা
কেউ কেউ আহত হয় গ্রামীণ জননীর বাৎসল্যসূত্র মেনে- ছোটবেলা মারি নাই মরে যাবে তাই। ...
তার সম্পর্কে আশ্চর্য সব গল্প লন্ডনজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সে দেখতে এখনও পবিত্র, কিন্তু আসলেই কি তাই?
সে তার প্রতিটি মর্জি, প্রতিটি বাতিক, প্রতিটি চাহিদা পূরণ করে। সব ইন্দ্রিয়ের গভীর রহস্য সে উন্মোচন করে। অসৎ চরিত্র নিয়ে, সে ধ্বংস ও রোমাঞ্চের উন্মত্ত ক্ষুধা মিটিয়ে চলে!
কিন্তু তার সব সম্পদ, সব সঞ্চয়—পলায়নের উপায় মাত্র। যেখানে তার শৈশব কেটেছে—সেই নিঃসঙ্গ, তালাবদ্ধ ঘরটার দেয়ালে আঁটা তার ...
প্রখর-রোদ্দুর
_______________
ঠকাস শব্দে সোডার ছিপি খোলার মত বিরক্তির আওয়াজে "if fact then matter"
যত অকারণ বায়নাক্কা, আর সহজ কথায় জরিদার বেলুচির সোনালী কাজ-
কেবল বিয়ের সাজেই এক প্রহরে মানায় ।
ন্যাকামির জোয়ারে যদি ভেসে যায় শেষ পারানির নাও, তবে
হিসাবের খাতায় খতিয়ানে ভরপুর লসের বুদবুদ ।
গুনের বালাই নেই,গুন হীনতার থোরাই কেয়ার বালিকার মন-
ভালোবাসা! যদি হয়, তবে চার পাণ্ডব থেকেও ধ্রুপদী অর্জুনের
আর যদ ...
অন্ধকার ঝুলে থাকে মাথায় উপর
আমি যে সত্যি পেতে যাচ্ছি...
উল্কার মত নিম্নরেখাঙ্কনে নেয়া গেল না
একটি সহজ সমীকরণের
চিরচেনা তার আশাবাদী চোখ, গির্জার ফোঁটাফুল
মসৃণ বৈসাদৃশ্য; একটি পরিপূর্ণ গির্জায় গায়কদল
অধিকার বলে হরণ করে নিলে কালের যাত্রা
শব্দের গ্রামে বাস করে ঘুমন্ত নেশা
বক্ররেখায় নিশিদাগ; পিছনে বাঁকে বাঁকে ছুঁড়তে থাকি
বোধের চোখে অপেক্ষা– আজীবন…
-------------------------------
-হামিদা আখতা ...
মূল গল্প: আন্তন চেখভের আ স্টোরি উইদাউট আ টাইটেল
সে অনেক আগের কথা। তখনো রোজ ভোরে সূর্য পুবদিকে উঠত আর সন্ধ্যে হলে ক্লান্তিতে ঢলে পড়ত পশ্চিমে। দিনের প্রথম আলো যখন আলতো করে ছুঁয়ে যেত শিশিরের ঠোঁট, বাতাসে স্বপ্নমাখা টাটকা জীবনের শব্দে আড়মোড়া ভেঙে চোখ মেলত পৃথিবী আর দিনশেষে ডুবে যেত নিঃশব্দ অন্ধকারে। প্রতিটা দিন ছিলো আর সবদিনের মতোই। প্রতিটা রাত সেই একই রকম। কখনো ...
টেবিলের নিচে মাথা দিয়ে হাঁটু না ভেঙে উবু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকাটাই ছিল আমাদের চার ভাই বোনের জন্য বাবার বরাদ্দ সবচে’ ছোট শাস্তি। তৎসঙ্গে পুচ্ছে বিধ্বংসী ছড়িকাঘাত- এরচে’ ইকটু বড় ধরনের শাস্তি হিসাবেই পরিগণিত ছিল আমাদের কাছে।
তবে দু’পায়ের পেছন দিয়ে হাত গলিয়ে কান ধরে ভাইয়্যা ব্যাঙ সাজানোটা ছিল বাবার বরাদ্দ কঠিন শাস্তিগুলোর অন্যতম। কিংবা দেয়ালে দু’পা রেখে হাত দুটোকে পা বানিয়ে মাটিতে ...
বাংলাদেশের মিডিয়াতে মানুষের আন্তর্জাতিক অর্জনগুলো যে বিস্তৃতি নিয়ে কাভার করা হয়, সেটি মনোযোগ দিয়ে দেখলে বাংলাদেশ সম্পর্কে ঠিক কী কী ধারণা হতে পারে? ধরা যাক, ভিনগ্রহ থেকে জনৈক আগন্তুক এসে হাজির হলো বাংলাদেশে, স্কাউটশিপ থেকে নেমে কোনো নিউজস্টল থেকে কিনলো এক কপি প্রথম আলো, কিংবা টিভি খুলে ধরলো এটিয়েনবাংলা। ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস নোবেল পেলেন, মুসা ইব্রাহীম এভারেস্ট জয় করলেন [এ নি ...
এক গ্রামে এক কূটবুদ্ধি ধনীলোক ছিলো। সে আবার সুদখোর মহাজনও বটে। গরীব কৃষকদের সে টাকা ধার দিতো আর চড়া সুদ নিতো। গলায় গামছা দিয়ে সুদেআসলে টাকা আদায় করতো। কেউ টাকা না দিতে পারলে ঘটিবাটি পর্যন্ত কেড়ে নিতো, আরো নানা শাস্তি দিতো।
সকলে অতিষ্ঠ, এদিকে অন্য উপায় নেই। একমাত্র সুদখোর মহাজনই ধার দেবার মত ধনী আর ফসল বোনার সময় খরচের মরসুম, তখন টাকা ধার করা ছাড়া উপায় নেই। ভালো ফসল উঠলে তবে শোধ ...