আমাদের প্রত্যেকের চিন্তা-ভাবনা-দর্শন শেষ পর্যন্ত আমরা 'নিজের' বলি। এগুলি কতটা নিজের, কতটা জেনেটিক, কতটা রিপিটেশনভিত্তিক, এইটা আমরা কে বলতে পারি?
চিন্তা নিজের কী না, সেটা 'বিবর্তিত' হওয়ার পর পুরো পরিষ্কার হয় না সবসময়। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া অনেক সময় ধরা খাইয়ে দেয়। এ্যাডভার্টাইজিং কোর্স পড়ার সময় এর বেশ কিছু উদাহরণ পেয়েছিলাম। প্রাত্যহিক জীবনে দৈনিকই উদাহরণ পাই। 'চিন্তারাজি লুক ...
প্রেমের ঋতু হিসেবে বসন্ত নাকি বর্ষা, কোনটা বেশি উপযোগী, এ নিয়ে ধুন্ধুমার তর্ক চলছে। স্থান--শাটল ট্রেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালযে পৌঁছতে ওটাই প্রধান ভরসা। প্রেমের ঋতু বর্ষা,এই ঘোষণা দিয়ে তর্কের সূচনা করে দিলেও, শেষ করার দায়িত্বটা অন্যদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে ট্রেনে জানালার পাশের সিটে বসে আমি বৃষ্টি উপভোগ করছি।
ট্রেন চলছে ঢুলে ঢুলে--কী জানি কিসের মাদকতায়! রেল লাইনের দুধারে বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত। তাতে অবিরাম বর্ষণ। কী অপূর্ব! জানালা গলে বৃষ্টির ছাঁট আমাকে ভিজিয়ে দিচ্ছে। আহা বহুদিন পর বৃষ্টি নেমেছে এমন! তীব্র গরমে ঝিমিয়ে থাকা প্রকৃতিতে নেমেছে প্রাণের জোয়ার। বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে ট্রেনটা যখন পৌঁছালো তখন বৃষ্টির ছোঁয়ায় ঝকঝক করছে সবুজ সজীব ক্যাম্পাস। পাহাড়গুলো স্নিগ্ধতা মেলে ধরেছে। কদমের সারি সারি গাছ ফুলে ছেয়ে গেছে। এতদিন তো লক্ষই করিনি, কখন কুঁড়ি আসলো, পাঁপড়ি মেললো!
ছোটবেলা থেকে ভারতজুজু দেখতে দেখতে বুড়ো হলাম, আমার নানীকে ভারতবিরোধী ফিমেল বিচিং করতে দেখে নানা আর সহ্য করতে না পেরে বলেছিলেন এতো বিশাল একটা দেশ, চাইলে যা খুশী করতে পারে, কিন্তু পারলে সাহায্যই করে, যুদ্ধের বছর বছরখানেক গুষ্টি সুদ্ধো খেয়ে এলে, এখন নুন খেয়ে উলটা গুণ গাইছো।ঐদিন খান আতার খাঁচাটা ভেঙ্গে ফেললেন নানা।
ফারাক্কা ইস্যুতে ভাসানী পদযাত্রা করেছেন।ফারাক্কা বাঁধ ইস্য ...
::শ্রেণীচৈতন্য ও আত্মের সংযোগসূত্র::
একা মানুষ বিপ্লব ঘটায় না। যদিও সে বিপ্লব ‘করতে’ পারে। সকল ইতিহাস একান্তই শ্রেণীসংঘাতের। বাহুল্য, তবু বলা। একা মানুষ, দলে দলে, ঐ শ্রেণীভুক্তমাত্র। জনসাধারণের মধ্যে সেও থাকে। কখনো প্ল্যাকার্ড হাতে। কখনো নুড়িপাথর। পাউরুটিও থাকতে পারে। ‘যার যা কিছু আছে’ তাই নিয়ে সবার মধ্যে সংগ্রামী সে। তাই পুঁজিতন্ত্র তাকে বারংবার একা করে তুলতে চায়। ...
ইদানীং কিছু ব্লগ পড়ে মনে চেপা থাকা কিছু ঘটনা ও কথা ব্যক্ত করতে ইচ্ছা হল। ফলশ্রুতিতে এই ব্লগের জন্ম।
ঘটনা ১!
গত বছর এপ্রিলে এক টিউশনি করবার সৌভাগ্য হয়েছিল। দু'ভাইকে একসাথে পড়াতাম। একই ক্লাসে। কেবল স্কুলের গন্ডি পেরিয়েছে, ভাতৃদ্বয়ের কলেজ ভর্তি তখনও প্রক্রিয়াধীন।
শিক্ষার যে অবস্থা, গরু ছাগলেও এখন ডিগ্রী পায়। যতদূর মনে পড়ে এ+ সিস্টেমে প্রথম বছর মাত্র একজন এ+ পেয়েছিল। তারপর y=x^2(১ম চ ...
অকৃতি জীবনের ৪০টা বছর কেটে গেলো বুদ বুদের মতো। পিছনে তাকালাম .... খুব সহজ জীবনী আমার.... "ছিন্ন পাতায় সাজায়ে তরণী একা একা করি খেলা"।
কালের কন্ঠ পত্রিকার কথা জেনেছিলাম সাংবাদিক বিপ্লব-এর কোন এক পোস্টে। তার পর সেই পত্রিকা যখন বের হল তখন এর আউটলুক দেখে ভাল লেগেছিল। তার পর প্রথম আলো -গ্রুপ আর বসুন্ধরা গ্রুপের কামড়াকামড়িতে থলে থেকে যখন একের পর এক বিড়াল বের হওয়া শুরু করলো তখন বসে বসে মজা দেখতে থাকলাম।
সেরকম একটা মজা আজ কালের কন্ঠে দেখতে পেলাম। আজ পত্রিকা ব্রাউজ করেই দেখি গুগল এ্যাডসেন্স-এর বিজ্ঞাপন। কেমনে কি? গুগ ...
কাক
০১
আব্দুর রহমান সাহেব তীব্র বিরক্তি নিয়ে বসে আছেন। হাতে অফিসের ফাইল। ফাইলে গুরুত্বপূর্ণ হিসেব আছে। হিসেব মিলছেনা। কিন্তু মিলতেই হবে। মেলাটা জরুরি। মাল্টিন্যাশনাল একটি কোম্পানির একটি দেশের হেড হবার কিছু ঝামেলা আছে। সেই ঝামেলা এখন রহমান সাহেবের উপর দিয়ে যাচ্ছে।
হিসেবের কারনে এক রাত রহমান সাহেবের ঘুম হয়নি। যে হিসেব নিয়ে তিনি যন্ত্রনাতে আছেন, তা তার সামলানোর কথা না, অ ...
একদা একজন ক্যাকটাসকে ভালোবেসে -
ভালোবাসায় সে হয়েছিল ডুবন্ত।
তারপর থেকে তার একচক্ষু মাতালের,
আর একচক্ষু অন্ধের।
এইরকম দু’চোখে দেখে
পরম মমতায় সে জড়িয়ে ধরেছিল -
ক্যাকটাসকে
সেই থেকে তার হৃদয় হয়েছে রক্তাক্ত বারবার।
রক্তাক্ত হতে হতে
জীবনের সব উত্তপ্ত লোহিত ভালোবাসা, আবেগ
গেছে ঝরে দেহ থেকে।
ভালোবাসায় ডুবন্ত সেই মানুষ
প্রেম হারিয়ে লাশ হয়ে ওঠে ভেসে।
আহা! আজ সে যতটুকু মৃত, নি ...
হাজারো ডামাডোলে সচলায়তনে তুলি-পেন্সিল হাতে অকস্মাৎ হাজির হন কে?
উত্তর সচলের নিয়মিত পাঠকের জানা। সচলের কার্টুনাচার্য, অ্যানিমেশন-গুরু সুজন চৌধুরী। আজ তার জন্মদিন। গত তিনটি বছর প্রায় প্রতিদিনই সুজন চৌধুরীর সাথে কার্টুন নিয়ে মগ্ন হয়ে আছি আলাপে। সারাদিন এ কাজ ও কাজ সেরে ক্লান্ত সুজন্দা প্রায় প্রতিদিনই সময় দিচ্ছেন আমার উদ্ভট হযবরল আবোলতাবোলের পেছনে। ছোট্ট ছেলেটার ভীষণ অসুখ, ...