[হুমায়ুন আজাদের "আমার মুক্তিযুদ্ধ" নামক লেখাটা প্রথম প্রকাশিত হয়েছিলো খবরের কাগজ এ, ২০ মার্চ ১৯৯৩ সালে। পরবর্তীতে ২০০৬ সালের একুশে বইমেলায় আগামী প্রকাশনী তাঁর অনেকগুলো লেখার সংকলন বই আকারে প্রকাশ করে "আমাদের বইমেলা" নামে। বইটির স্বত্ব মৌলি আজাদ, স্মিতা আজাদ, অনন্য আজাদ এর। লেখাটি সচলায়তনের পাঠকের সাথে ভাগাভাগি করার প্রচণ্ড ইচ্ছার কারণে টাইপ করে তুলে আনলাম। এই লেখাটার স্বত্বা ...
[justify]ছোটবেলা থেকে ভূগোলের বই পড়ে জেনে আসছি পামির মালভূমির নাম যাকে কিনা বলা হয় পৃথিবীর ছাদ। খুব শখ ওইসব যায়গায় একটু যাওয়া, ঘুরে দেখা। যখন শখ খুবই তীব্র ছিলো তখন সংগতি ছিলো না। আর যখন কিছুটা সংগতি এসেছে তখন সময়ের নিদারুন অভাব। তাই বলে শখ কিন্তু একেবারে চলে যায়নি। হঠাৎ করেই আংশিক পুরন হলো কিছু শখ যা আগে থেকেই ছিলো। ২০০৭ সালে আফগানিস্তানে গিয়েছিলাম একটা স্বল্পকালীন কনসালট্যান্সির কাজ নিয়ে।
আমার দেখা প্রথম ধারাবাহিক নাটক "কোথাও কেউ নেই"। যতটুকু মনে পড়ে হুমায়ুন আহমেদ-এর নাটক "কোথাও কেউ নেই" দেখার পর জীবনে প্রথম নাটকের মোহে পড়েছিলাম; সে অনেক অনেক আগের কথা। সে দিক বিচারে আমি "কোথাও কেউ নেই", "আজ রবিবার", "বহুব্রীহি" নাটকগুলো আজও বারংবার দেখতে সম্মতি জানাই। এই সম্মতিতে আমি যতটুকু আগ্রহী ঠিক ততটুকু উদাসীন ইদানিংকার দেখা নিয়ে। আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি, শেষ ধারাবাহিক নাট ...
খুব ঠান্ডা। গান বাজছে।
“হাওয়া মে উড়তা যায়ে,
মেরা লাল দোপাট্টা...মল মল কা হো জি...হো জি।”
গাড়ির কাঁচ সবকটা উঠানো। কালো কাঁচ। বাইরের কোন চ্যাঁ-ভ্যাঁ ভেতরে আসছেনা। পেছনের সিটে বেশ আয়েশ করে হেলান দিয়ে আছে নীলা। চোখ বন্ধ। চোখ খুলতে ইচ্ছা করছেনা।
“হাওয়া মে উড়তা যায়ে,
মেরা লাল দোপাট্টা...মল মল কা হো জি...হো জি।”
গানটা এবার যেন কানের ভেতরে হচ্ছে। চোখ খুলতে ইচ্ছা হচ্ছেনা। বাজুক গান। চোখ বো ...
১.
পেশার সাথে সম্মান জড়িত বলে যে বিভিন্ন পেশাকে একটা আধ্যাত্মিক রোশনাই দেয়ার চেষ্টা করা হয়, আমি কোনোমতেই তার সাথে একমত না। আল্লাহর দুনিয়ায় সবকিছুই ব্যবসায়, শিক্ষকতাও যা, মন্ত্রীত্বও তাই। সবাইকেই করে-ধরে খেতে হয়। সমস্যা হলো পুলিশ শুধু করে-ধরেই খায় না; বরং মেরে-ধরে খায় এবং এজন্যই পাবলিক তাকে 'ঠোলা' বলে গালি দেয়। ঠোলারা খুব খারাপ, রিক্সাওয়ালার কাছ থেকে দুই টাকা ঘুষ খায়, ইজারাদের কাছ ...
(আজকের ছবি দেখুন ফেসবুকে এখানে এবং এখানে।)
মারিপোসা ইয়োসেমিটি ন্যাশনাল পার্কের ভিতরের একটি এলাকা। সেখানে আমরা সেকোয়া গাছ দেখতে যাবো (হাইসেন না, বলতেসি কেন), তো দেখা যায় বিশাল লাইন। আগ্রহী লোকের কোন অভাব নাই। সরাসরি রাস্তায় যেতে পারছি না, ওয়াওনা নামে এক জায়গা হয়ে গেলে ওরা বাসে নিয়ে যাবে।
ইয়োসেমিটির ম্যাজেস্ট ...
“সার্ভাইভ্যাল অব দ্যা ফিটেস্ট” উক্তিটি করার সময় বাংলাদেশের আজকের অবস্থা চার্লস ডারউইন দেখেন নি। তবু কী খাপে খাপে মিলে যাচ্ছে বেঁচে থাকার সংগ্রামে যোগ্যতমের উত্তরণ! আফ্রিকার অভয় অরণ্যে সিংহের লড়াই দেখাচ্ছে একটা টিভি চ্যানেল। চারটা সিংহ ঘিরে ফেলেছে তাদের জঙ্গলে অনুপ্রবেশকারী আর একটা সিংহকে। পেছন থেকে অনুপ্রবেশকারী সিংহটাকে থাবার নখর আর মুখের দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরেছে ...
প্রায় এগারো বছর আগে ২০০০ সালে করা কাজটা, অনেক দরদ দিয়া করছিলাম। ক্রিকেট মাঠে ৪আর৬-এর প্লেকার্ডের উল্টাপিঠে আমাদের বুলবুল আর সুজনের ক্যারিক্যাচার। হঠাৎ পেলাম না খুঁজতেই ! যতটা খুশি হলাম মন খারাপ হলো তারচেয়ে বেশি... ১ পয়সাও পাই নাই! আসলে সময়টাই খুব খারাপ যাচ্ছিলো তখন। টাকা দেয়না দ্যেইখা চাইতে গেলাম, কয় গাভাস্কার খুব তারিফ করছে!!! কপাল! ...
উপক্রমণিকাঃ
[ মে মাসের শুরুতে মাধ্যমিকের ফলাফল বের হওয়ার পরে সচলায়তনে এই লেখাটি দিয়েছিলাম । পত্রিকার পাতায় হত দরিদ্র অথচ অনন্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের ম্রিয়মান মুখগুলোর দিকে তাকিয়ে আমার ব্যক্তিগত অপরাধবোধের কথা লিখেছিলাম । আমার সামান্য লেখাটিতে কয়েকজনের সদয় আগ্রহ দেখে খুব ভাল লেগেছিল । সচল স্নিগ্ধা , শামীম ও তাসনীমের মন্তব্যে অনুপ্রানিত বোধ করেছি । সচল রাগিব জানিয়েছি ...
ইন্দোনেশিয়া আমার এখন পর্যন্ত দেখা সবচেয়ে বৈচিত্রপূর্ণ দেশ। ৩০ হাজারের উপর দ্বীপ নিয়ে দেশটি গঠিত। এতো বৈচিত্রময় দেশ আসলেই কল্পনা করা যায়না, যেমন সংস্কৃতিতে, তেমনই ভাষায়, পোষাকে, আচরণে, খাদ্যে; আর সবথেকে বেশি বৈচিত্র প্রকৃতিতে। এখকানে আছে সাগর, আছে পাহাড়, আছে বন-জঙ্গল; নেই শুধু মরূ। পশ্চিমা হালফ্যাশনের পোষাক যেমন ইন্দোনেশিয়ানরা পরে তেমনই কিছু কিছু এলাকায় এখনও পর্যন্ত মানুষ নিজস ...ইন্দোনেশি