আমি রাস্তাঘাট চিনি না। একই রাস্তা দিনের একেক সময় একেক রকম লাগে আমার কাছে। তার উপর আমি, বাংলায় যাকে বলে, দিগ্বিদিজ্ঞানশূণ্য। স্কুলের বাংলা বইয়ে বেগম রোকেয়ার একটা লেখায় ছিল, এক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করা হলো তোমার দক্ষিণ হস্ত পূর্বে আর উত্তর হস্ত পচ্চিমে থাকিলে তোমার মুখ কোনদিকে থাকিবে? ছাত্রের উত্তর ছিল, আমার পশ্চাত দিকে (আমার ধারণা সে ‘মুখ’ ব্যাপারটা ভালমত ধরতে পারে নাই)। যাই হোক, ...
প্রচন্ড প্রতিযোগিতার প্রযুক্তির দুনিয়ায় এক মুহুর্তের বিশ্রামও মহা সমস্যার কারণ। কারণ আপনার প্রতিযোগীরা মোটেও থেমে নেই আর তারাও আপনার মতই বা আপনার চেয়ে বেশী পরিশ্রমী। তাই কাছাকাছি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস থাকলে নতুন কোন ফিচার একজন আবিষ্কার বা তৈরি করলে খুব দ্রুতই সেটি অন্যান্য প্রতিযোগীদের প্রোডাক্টে চলে আসে। আর আপনার পরবর্তী ভার্সন আস ...
গতকাল কি ঘটলো মনে রাখতে চাই না; বেদনার গন্ধ পাই। মনে রাখলে বেদনাও বেঁচে থাকতে চায় ত্রিশফুট উচ্চতায়। প্রতিটি বেদনার একটি কারণ থাকে তাই কালে-পার্বণে দোলা দেয় মুহূর্তচোখে। আগামীকাল আমাকে তাড়ায়, দৌড়ায়, বোকা বানায় আশেপাশে যেন কিছুই মনে থাকে না। ইদানিং ঘৃণাকে অধিক মমতায় নীল মলাটে সাজাই। ঘৃণার চেয়ে কষ্টের তীব্রতা এতো গাঢ় যে কারো চোখের দিকে তাকাতে পারি না; ঘৃণা যদি অপূর্ণতা পায়
তোমার ...
০১.
কীন ব্রীজের নিচের যে জায়গাটা এখন পাশ্চাত্যের মতো অনেক আধুনিক একটা নদীর পাড় হিসেবে শিক্ষিত মানুষ ছাড়াও আম জনতার কাছে স্বীকৃতি পেয়েছে, যেখান থেকে দাঁড়িয়ে সোজা সার্কিট হাউসটা দেখা যায়, অথবা লাল নীল আলো ভেসে আসে ছোট শহর থেকে ক্রমশ বড় এক নগর হয়ে যাওয়া সিলেটের জিরো পয়েন্ট থেকে, ঠিক সেই জায়গায় কোনো এক বিকেলে হাওয়া খেতে খেতে ফারহানার সাথে আমার প্রথম দেখা। মনে পড়লে এখনো অবাকই লাগে, আ ...
অনলাইন মিডিয়ায় মডারেশন একটা অনন্য সংযোজন। জানিনা কতদিন হলো অনলাইন নিউজ বা ব্লগে মডারেশন চালু হয়েছে তবে যতোদিনই হোক না কেনো, তা ভার্চুয়াল মিডিয়া বা ব্লগ সাইটগুলোতে পরিচ্ছন্ন আলোচনা-সমালোচনার সূযোগ দিয়েছে বলেই আমি মনে করি। মডারেটররা আমার দারনায় অনেকটা ছাঁকনির মতো। তারা দেখেন, বোঝেন এবং তারপরই একটা সিদ্ধান্তে আসেন যে লেখা বা মন্তব্যটা অনুমেমাদন পেতে পারে কি না। মডারেটর অমনো ...অনলাইন মিডিয়ায় মডারেশন
কবরটি রাস্তার পাশেই । সাধারণ কবরের চেয়ে বেশ বড়। পাশেই ধান মাড়াইয়ের কাজ চলছে। মাঝে মধ্যেই ধানের খড় এসে ঢেকে দিচ্ছে কবরের খানিকটা। কবর ঘেরা ছোট্ট দেয়ালে বসে ঝিড়িয়ে নিচ্ছে কয়েকজন গ্রাম্য মজুর। ঘাম মুছতে মুছতে ক্লান্তির থুতুটি আনমনে ছুড়ে দিচ্ছে কবরের দিকে। কবর ভর্তি জংলি গাছ। চেনার উপায় নেই এটি কোন গণকবর। অথচ ১৯৭১ এ এখানেই দাফন করা হয়েছিল ৩৩টি শহীদের রক্তাক্ত শরীর। ...
১.
দূরের আকাশ যখন হারাবে নীল,
আমি স্বপ্নলোকের দরোজা খুলে দেব।
যদি ফিরে চাও, তবে দেখবে,
আমার আকাশ তখনো রয়েছে রঙ্গিন।
তুমি ফিরে এসো তখন,
ফিরে এসো হৃদয়ে আমার
আমি অপেক্ষায় আছি, অপেক্ষায় র’ব;
আমৃত্যু অপেক্ষায়....।।
২.
অনেক তো ছিলে দূরে
কত জোছনায় ভেজা রাত একাকী পথে
একলাই দীর্ঘঃশ্বাস ফেলে হেঁটেছি...
এখনো কি অভিমান নিয়ে
রয়ে যাবে এতটাই পর?
আমি চাঁদের অশ্রু মুছে হাসি ফুঁটিয়েছি
তবু তোমার হা ...
যতদূর মনে পড়ে, আমি জীবনে তিনটা সিনেমা দেখে মোটামুটি ভাল কেঁদেছি। প্রথমটা শিন্ডলারস লিস্ট, তখনো কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। অস্কার শিন্ডলারের বিদায় নেয়ার দৃশ্যটা দেখে, যখন ইটজাখ সাহেব তাকে আংটিটা তুলে দেন। একেবারে বালতি ভরে কেঁদেছি যাকে বলে। এবং কেঁদে ভালোও বোধ করেছি। এইটাও তো সিনেমাটার সার্থকতা।
দ্বিতীয়টা হল, কান্নার পরিমানে দিক দিয়ে, যেটা এর পর আসলে বেশ ভালভাবে কমে গেছিল ...
একেই বোধ হয় বলে গোড়ায় গলদ। বাংলা ভাষার প্রথম পাঠই স্বরবর্ণ। অথচ বর্ণমালাতেই ভুল! কারণ আমাদের স্বরবর্ণের তালিকাটিই এখন পর্যন্ত যথেষ্ট অসামঞ্জস্যপূর্ণ! তাহলে আমাদের শিশুরা কী শিখছে? একটা উদাহরণ দিলেই কিছুটা পরিষ্কার হবে আশা করি। 'অ্যা' একটি মৌলিক স্বরধ্বনি অথচ স্বরবর্ণের তালিকায় আজও তার স্থান হয়নি! এদিকে 'ঐ' এবং 'ঔ' যৌগিক স্বরধ্বনি হওয়া সত্ত্বেও বর্ণমালায় এখনও স্বরবর্ণ হিসেবে র ...
সবাই চলে গেছে শুধু একটি মাধবী তুমি......................................."
ফুরিয়ে গেছে চরকার সুতো---------
বোনা হয়নি রূপকথার সেই নকশীচাঁদর।
মাঝরাতে আচমকা আকাশের জানালা খুলে গেলে
একটি নক্ষত্র খসে সোজা আমার স্বপ্নের ভেতরে ঢুকে পড়ে
'খসে পড়া তারার কাছে কিছু চাইলে ইচ্ছা -পূরণ হয়'
----------------তুই বলেছিলি।
তারা খসা-------------
তুই।
কিছুতেই মনে পড়েনা কিযে চাই।
গুলমোহরের লতানো ঝোপে চাঁদ নেমে এলে
এক বুক চাঁদনীতে গলে গলে যা ...