১৯৮৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মৌলবাদ বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে সিলেটের রাজপথে শিবিরের সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংস ভাবে খুন হয়েছিলেন মৌলবাদ বিরোধী আন্দোলনের তিন যোদ্ধা মুনির তপন জুয়েল।
এমন একজন মানুষকে নিয়ে আমি লিখছি যাকে আমি দেখিনি কোনোদিন। আমার জন্মের আগেই তিনি চলে গেছেন এই পৃথিবী ছেড়ে। তারপরও তাকে নিয়ে লিখতে বসেছি, কারণ তিনি আমার অদেখা একজন হলেও তিনি বেঁচে আছেন আমার পুরো অস্তিত্ব জুড়ে। দাদু আমার মা'র মুখে আমি শৈশব থেকে শুনছি তার গল্প, যে গল্পগুলো আমাকে নাড়া দিয়েছে বারবার। আমাদের পরিবারে তাকে নিয়ে এত গল্প এ ...
(সৈয়দ মুজতবা আলী'র এই গল্পটি তাঁর 'ধূপছায়া' গ্রন্থে আছে। ধূপছায়া প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫৮ সালে, কলকাতা থেকে।)
বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের হল-করিডরে দু-পিরিয়ডের মাঝখানে লেগে যায় গোরু-হাটের ভিড়, কিংবা বলতে পারেন আমাদের সিনেমা-হলের সামনের জনারণ্য। তফাত শুধু এইটুকু যে, জর্মনরা আইনকানুন মেনে চলতে ভালবাসে বলে ধাক্কাধাক্কি চেঁচামেচি বড় একটা হয় না, করিডোরে ত রীতিমত উজোন-ভাঁটা দুটো স্রোতের ...
সচলায়তনের বামদিকে একেবারে উপরে দেওয়া আছে একটি লিঙ্ক- চিরস্মরণীয় মুহম্মদ জুবায়ের
দুবছর হয়ে গেলো তাই না? আজ আবার এলো সেই ২৪ সেপ্টেম্বর। জুবায়ের ভাই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। তানভীর ভাইয়ের দেওয়া সেই পোস্ট দেখার পর থেকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সচলদের প্রবল আকুতি প্রার্থণা সব বিফল করে দিয়ে, সবাইকে হাউমাউ করে কাঁদিয়ে দুবছর আগের ঠিক এই দিনটিতে চিরবিদায় নিয়েছিলেন জুবায়ের ভাই। ...
ড্রইংরুমের একপাশের দেয়াল থেকে হামলে পড়ছে আগ্রাসী সমুদ্র। হামলে পড়লে কী হবে! ভেজাতে পারছে না কিছুই। কেননা তার রাজত্ব নির্ধারিত কেবল একটামাত্র দেয়ালে। মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত – ব্যস এটুকুই। তীব্র নীল আকাশের একচিলতে মুখ। বাকিটা বিশাল সব ঢেউ আর ঢেউয়ের চূড়ায় ফেনার রাশি; এই বুঝি ঝাঁপিয়ে পড়লো দেয়াল ঘেঁষে রাখা সোফাটার ওপর। ওখানে ব'সে সুমিতা। ঢেউগুলি একমুঠ জায়গা ছেড়ে দিয়েছে বালুকাবেল ...
এডওয়ার্ড
এডওয়ার্ড সাঈদ নিয়ে আমাদের দেশে বেশ কিছু আলোচনা রয়েছে। আলোচকগণ তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে সাঈদের ব্যাক্যা বিশ্লেষণ করেছেন। সে কারণে নানা মুনির নানা মত। দেখা যায় ছদ্মবামেরাও সাঈদকে তাদের মত করে তার চিন্তায় পরিবেশন করেছেন। ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিভ্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
শুধু সাইদ নয়--ফুকো দেরীদা , লাকা ...
সময়ের হাতে নির্মিত মানুষ। অধিকাংশ মানুষ। তবু কোন কোন মানুষ সময়কে বিনির্মান করার স্পর্ধা ও ধারন করেন। সেইসব সাহসী মানুষদের কেউ কেউ ও আবার বিস্মৃত হয়ে যান সময়ের প্রতিশোধে।
দু’দিনের ছুটি, হাতে গোনা ক'টি টাকা
যেতে হবে বাড়ি বিকেলের ট্রেন ধরে
হাতে চিঠি ধরা বুকের ভেতর ফাঁকা
মা যে লিখেছেন কাঁপা কাঁপা অক্ষরে
বাবা তোকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে
রেলের বগিতে ভিড় বেশি এবেলায়
কাজ সেরে সব ধরেছে ফিরতি গাড়ি
বসে ঝুলে আর লেগে থেকে গায়ে গায়
চলার ছন্দে ঘামের গন্ধ মিশে
কু ঝিক ঝিক হারিয়ে ফেলেছে দিশে
চিলাহাটি নেমে ছয় কিলো যাবো হেঁটে
যেতে যেতে হবে নিজমনে কতো কথা
তবু দিনশেষে বোঝাপড়ায় যেতে হয়
তাপ কিংবা পরিতাপ সর্বস্ব করে
ফিরতে হয় ব্যক্তিগত দুঃখদের কাছে
যারা আছে বুকপকেটের একটু নিচে
এই অরাজক জন্মদেশে কী নিদারুণ পবিত্রতায়!
ধরেন আপনি খুব মাঞ্জা মেরে সাজ-গোজ করলেন। মানে ইস্ত্রী করা কালো প্যান্ট আর একদম ফকফকা সাদা ফুল শার্টের ভাঁজটা কোন ভাবে নষ্ট না করে পরে নিলেন। খুব সাবধানে ইন্ করলেন, কোমরের দুই পাশে তিনটা করে কুচি আর বাকিটা খুব যত্নের সাথে সামনে পেছনে গুঁজে দিয়ে-যাকে বলে পারফেক্ট ইন্। তারপর খুব সাবধানে হাতের কাছে থাকা গমছাটা দিয়ে চেয়ার মুছে তাতে বসলেন। হুইল ওয়াশিং পাউডার দিয়ে ধোয়া মোজা জোড়া ...