সুধী হাচলবৃন্দ (সচলবৃন্দ নয়, খুউব খিয়াল কইর্যা), আপনাদের মনেও কি এমনই রয়েছে সচল হওয়ার দুর্দমনীয় বাসনা? সচলত্বের সিংহদ্বারের অন্তরালে কতিপয় বিশেষ ব্যক্তি কি অনির্বচনীয় ক্ষমতার সুখ ভোগ করছে তা জানতে কি আপনিও উদগ্রীব? অথবা রেস্ট্রিক্ট ট্যাগের অবগুন্ঠন উন্মোচনের সুতীব্র কামনা কি আপনার চিত্তেও চুলবুলিয়ে যায়? তবে শুনুন – সচলত্বের হুরপরীগুলিকে দ্রুত প্রাপ্তির উপায় মাত্র দুইটি ...
দিনলিপি
ঢাকার রাস্তায় বেরোতে ইচ্ছে হয় না। ভার্সিটি বন্ধ থাকায় সেহরির পর বেশ প্রেমসে একটা ঘুম দেয়া যায়, সেটা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে দশটা কি এগারোটা। পাখির কুজন মুখরিত সকাল বা মৃদুমন্দ বাতায়ন টাইপের জিনিসপত্রগুলো, যা কেবল সত্যযুগের কবিদের জন্যেই তৈরী হতো- ঠা ঠা রোদের মধ্যে ঢাকার রাস্তায় আজকাল খুঁজে পাওয়া যায় না। রাইফেলস স্কোয়ার কি বসুন্ধরা শপিং মলেও না, নিউমার্কেট কি বঙ্গ ...
গত শনিবারের ঘটনা। সকাল থেকে আলস্যের কারণে বিছানা ছাড়া হচ্ছিল না। প্রথমতঃ উইকএন্ড, তার উপর প্রচণ্ড বৃষ্টি। ব্রিটিশ আইলস-এ বৃষ্টি প্রধানতঃ ঝিরঝিরে প্রকৃতির। কিন্তু গত কয়েকদিন আয়ারল্যান্ডের রাজধানী শহর ডাবলিনে সেটা রীতিমত মুশলধারে হতে শুরু করেছে। ফলে বিছানায় শুয়ে বৃষ্টির শব্দ শুনতে শুনতে একটা রোম্যান্টিক পরিবেশ উপভোগ করছিলাম। হঠাৎ মনে হলো একটু পত্রিকা পড়ি। কী হচ্ছে এই দেশে ...
১.
ছোটবেলা থেকেই আমার ভয়াবহ রকমের ক্যামেরাভীতি। মনে আছে, বড় ভাইয়া যখন কাজিনদের গ্রুপ ফটো তুলতেন (তখন ক্যামেরা জিনিসটা এতো সহজলভ্য ছিলো না), আমার হাত-পা ঠকঠক করে কাঁপতো। দেখে মনে হত, কেউ যেন আমার ম্ত্যুদন্ডাদেশ ঘোষণা করেছে। এক্ষুণি আমাকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলাতে নিয়ে যাবে। সে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। যাই হোক, বড় হয়েও আমার ক্যামেরাভীতি পুরোপুরি যায় নি। বন্ধুরা যেখানে ক্যামেরার সামনে দিব্য ...
নষ্ট বীজ থেকে কখনো ভালো ফসল হয় না ! স্কুলে যখন পড়তাম তখন আমাদের প্রিয় এক শিক্ষক সবসময় এই কথাটি বলতেন। স্যারের ভাষায়, নষ্ট বীজ গোলাম আযম, স্কুলে পড়ার সময় আমরা যারে গু আযম কইতাম, আর স্যার বলতেন নষ্ট বীজ, আর নষ্ট বীজের ফসল ছিলো তার পরবর্তী প্রজন্ম, জামাত শিবির মৌলবাদী চক্র !
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ইয়াসমিন হককে আমরা অনেকেই চিনি, খুবই আন্তরিক একজন মানুষ, সদা হাস্যময়, বিশ্ববিদ ...
কম্পিউটারে বাংলা লিখার সফটওয়্যার বিজয় ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যার ব্যবহারের আহবান জানিয়ে এখানে কিছু যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। যেমনঃ কীবোর্ড লেয়াউট সম্পাদনের মাধ্যমে অভ্র দিয়ে বিজয় লেয়াউট ব্যবহার; বিজয়ের লাইসেন্স, পোর্টেবিলিটি ও বিবিধ সমস্যা; অভ্র'র লিনাক্স, ফোরাম ও ইউনিকোড সুবিধা; ইত্যাদি। এ থেকে বোঝা যায়, বিজয় সফটওয়্যার ...
ইউ.এস ওপেন দেখছিলাম। অনেক কাজ আছে কিন্তু কোনটাই করতে ইচ্ছে করছিল না বলে বসে বসে টেনিস দেখা। জোকোভিচের খেলা দেখাচ্ছিল। তাচ্ছিল্যভরে দুয়েকবার তাকিয়ে আবার খোমাখাতায় মন দিলাম। হঠাৎ করেই বিশেষ একটা নাম শুনে সম্বিৎ ফিরলো। আমার এককালের অতি প্রিয় টেনিস কন্যা শারাপোভার নাম শুনে।
শারা-পোভার(!) সাথে কার যেন খেলা। আগে কখনও নামও শুনিনি। সে না কী আবার এক নম্বর বাছাই এবারের। তাহলে তো ...
হায় ঈশ্বর! কী ওটা? ক্যানভাসের ওপর ওই ভয়ংকর মুখটা কার? ওটা তাঁকে ভেংচি কাটছে! মুখভঙ্গিতে কিছু একটা আছে, তাঁর শরীর সিঁটিয়ে উঠছে ঘৃণায়। এটা ডোরিয়ান গ্রের মুখ-ছবি! আতঙ্ক ছড়ালেও ছবিটার সৌন্দর্য পুরোপুরি মুছে যায়নি। ওই পাতলা চুলে এখনও স্বর্ণালি ছটা, সুদর্শন মুখে এখনও লালিমার ছাপ। ওই বসে যাওয়া চোখগুলো এখনও নীল। হাঁ, এটা ডোরিয়ান গ্রে। কিন্তু কে এমন করেছে?
তিনি চিনতে পারছেন ছবিটা তাঁরই হ ...
রাতের আকাশ দেখেছ?
ব্যস্ত নগরের ঝলমলে আলোর পাড় দিয়ে বাঁধানো কোলাহলমুখর আকাশ নয়!
নিসর্গের নিঃসঙ্গ, নিশ্চুপ, উজ্জ্বল নক্ষত্রমালার গাঢ় নিঝুম আকাশ।
যেখানে ছায়াপথ ফিসফিসিয়ে কথা কয় কালপুরুষের সাথে
আর ভেনাস গুনগুন করে ডাক দেয়
সারা দিনের দাবদাহে ক্লান্ত, নেতিয়ে পড়া অজগরের মত
হাইওয়ে ধরে ছুটে চলা আমাকে…
জোনাকিরা যেখানে হাট বসায় মাঠের ঝোপে,
আর ইলেক্ট্রিকের পোস্টগুলো বেরসিকের ...
বহুদিন পরে কলম দিয়ে লিখতে গিয়ে চমকে উঠি, কলমটা নীল। আমার সেই কলমটাও নীল রঙের ছিলো। ঐ যে যেটা এক অপার্থিব হলুদ আলোয় ধুয়ে যাওয়া বিকালে অনেক চাঁদিয়াল ঘুড়ি ওড়া আকাশের নিচে আমাকে দিয়েছিলো শরণ্য। এইখানেই তো! এই পাথরেই তো বসেছিলাম আমরা।
কলমটা দিয়ে লিখতাম হাবিজাবি যা খুশি তাই। কাঁচামিঠে গল্প, আনকথা বানকথা গোঁজামিলের কবিতা --- সবকিছু তার শোনা চাই। একটা দিন বাদ যেতে পারতো না, বাদ গেলে তা ...