দেখুন,
আশার পায়ে লেফে রাখছি গন্ধভেজাজল
জলফুল, মনফুল ব্যথার প্রায়শ্চিত্য শিখুক
তার নিচে লিখে রাখছেন বন্ধপথ, এটুকুই
বল্লেন!... আপনিও বলেন হারানো বিশ্রামাগার
জানালেন,
সর্বাঙ্গে গতিফুলের প্রত্যাশা, কি ভীষণ নেশাতুর
ফলে বহুকালের দুঃখবোধ সাজিয়ে আমরাই...
পাশে জল, ছায়াফুল, সেলাই গাছের কারখানা
ভাগ্যিস, ভরা-রোদে আমার ছায়ায় আমি স্থির
১
আমি সাধারণত পরিকল্পনা পেটে চেপে বসে থাকতে পারি না, বলে ফেলি। ক্লাস সেভেন না এইটে স্কুলে আমাদের ক্লাসের সেকেন্ড বয়ের ডাইরিতে দেখি লাইন ধরে টিকমার্ক দেয়া এই এই বিষয়ে সিলেবাস শেষ। সে যখন দেখে আমি দেখে ফেলসি, সে আমারে বলে, দোস্ত কাউরে কইস না। আমি সিলেবাস সেকেন্ড টার্মের শুরুতেই শেষ কইরা ফেললে পাড়ায় মাইকিং করতাম রীতিমত।
আইবিএ-তেও এই সমস্যা। গ্রুপ কোন একটা পরিকল্পনা করবে, আমি বল ...
উর্না চাঁর তুগসি মঙ্গোলিয়ান গায়িকা। ইউটিউবে এটা সেটা দেখতে দেখতে হঠাৎ উর্নার হুডু গানটা পাই। এক নাগাড়ে শুনতে থাকি। এই গানের কোনো লিরিকস্ এখনো উদ্ধার করতে পারি নাই। ডিসকোগ্রাফি পুরো নামিয়েছি। কিন্তু হুডুর মানের মনে হয়নি অন্যগুলিকে। এই গানটা শুনলে মনে হয়- ধুরু। অর্থ বা লিরিকসের কোনো দরকার নেই।
মঙ্গোলিয়ান পরিচালক ব্যামসুরন দাবা পশুপাখির নাম নিয়ে ঘটনা নিয়ে সিনেমা বানাতে ...
আমলকীবনে টিয়া রঙের রোদ্দুর, পাতারা সব কাঁপছে আর কাঁপছে অচেনা হাওয়ায়। এই হাওয়াটাই এই সময়ে আসে প্রত্যেকবার, তবু কখনো একে চেনা হয় না,এ যেন কাকজ্যোৎস্না মাঘরাত্তিরের অচিন পাগলের বাঁশির সুরের মতন। কিছুতেই বুঝে ওঠা যায় না অথচ কখন যেন সব খালি করে নিয়ে চলে যায়।
পথ হারিয়ে গেছে কতবার, তবু শেষ অবধি হারায় নি। সেই ঘরে ফিরে আসার তমাল গাছ, সেই কুটোকাটা ইঁটকাঠপাথরের ঘরগেরস্থি, সেই সব খুনসুটি ঝগ ...
মূলঃ আইজাক আসিমভ
অনুবাদঃ মনমাঝি
বন ও লতাকে নিয়ে জীবনের আনন্দ আঁকতে চেয়েছিলেন কবি। সেই অর্বাচীনতাই কাল হয় বুঝি, তাই নিরানন্দ এসে তাকে ডেকে নিয়ে যায় রেল রাস্তায়, শেষ ট্রেনে, দূরে। হাইড্রান্টের কবি জানেনা শ্রাবস্তী থেকে অদ্যাবধি, আবহমান একমাত্র মৃত্যুকেই উজানে ধারাবাহিক করে তোলে, বাকি সব কেবলি অপভ্রংশ মাত্র।
রূপসী বাংলা ডেভেলপ করলে কতগুলো প্লট হবে সে সাধনায় দু’জন ঠিক করে খায়; ফেরাতো দূরের কথা, যারা কখনো সূর্যো ...
পর্ব আকর্ষণঃ পান্ডা দেখা ও চীনা বহুবর্ণিল চা খাওয়া
চার হাজার বছরের পুরোনো ব্রোঞ্জ সভ্যতার শহর ‘ছংদু’, দক্ষিন চীনের রাজ্য সিচুয়ান এর রাজধানী, আমার যাত্রার কেন্দ্রস্থল। চীনের যে কোনো দিকে গেলে আমরা পাবো হাজার হাজার বছরের ইতিহাস।
ছবি ও গল্পে প্রথম পর্বে যাত্রার উদ্দেশ্য সম্পর্কে লিখেছিলাম, লিখেছিলাম আমার ভ্রমন ও প্রথম দিনের দেখা ও জানা ছংদু সম্পর্কে। স ...
অপ্রিয় সত্য হলেও কবুল করতে দ্বিধা নেই ছেলেবেলা থেকেই আর দু’দশটা ছেলের চাইতে আমি বোধহয় একটু বেশীই খাটো ছিলাম।
গল্পটা মার মুখে শোনা। মা শুনেছেন তাঁর মায়ের মুখে, আমার দিদিমার কাছে।
তাঁর নাম জিতেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী। পেশায় উকিল ভদ্রলোক আমার দাদুকে নিজের ছেলের মতই জানতেন, তাঁর কাকার মত ছিলেন। দাদুর দুঃসময়ে তিনি তাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। আমার দাদু হেমচন্দ্র দে তখন সদ্য বিবাহিত। দিদিমা সুচিত্রা রানী দে'কে নিয়ে উঠেছিলেন তাঁর বাড়িতে। বাড়িটা বেশ বড় ছিলো। একটা আম কাঠালের বাগান ছিলো। একপাশে লাগো ...
সভ্যতার সাথে পানির সম্পর্ক অকৃত্রিম এবং অপরিহার্য। সেকারনেই পৃথিবীর অধিকাংশ সভ্যতার সূচনা ঘটেছে কোন না কোন নদীকে কেন্দ্র করে। সেসময় জীবন ধারনের জন্য পানির অপরিহার্যতার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যব্যস্থাও ছিল আসলে নদী নির্ভর। বর্তমান কালে স্থল ও আকাশ পথে যোগাযোগ ব্যব্যস্থায় অভূত উন্নতি সাধন নৌযোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা হয়ত কমিয়ে দিয়েছে কিন্তু এখনো জীবন ধারন এবং নগর জীবনের প্র ...