ড্রইংরুমের একপাশের দেয়াল থেকে হামলে পড়ছে আগ্রাসী সমুদ্র। হামলে পড়লে কী হবে! ভেজাতে পারছে না কিছুই। কেননা তার রাজত্ব নির্ধারিত কেবল একটামাত্র দেয়ালে। মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত – ব্যস এটুকুই। তীব্র নীল আকাশের একচিলতে মুখ। বাকিটা বিশাল সব ঢেউ আর ঢেউয়ের চূড়ায় ফেনার রাশি; এই বুঝি ঝাঁপিয়ে পড়লো দেয়াল ঘেঁষে রাখা সোফাটার ওপর। ওখানে ব'সে সুমিতা। ঢেউগুলি একমুঠ জায়গা ছেড়ে দিয়েছে বালুকাবেল ...
এডওয়ার্ড
এডওয়ার্ড সাঈদ নিয়ে আমাদের দেশে বেশ কিছু আলোচনা রয়েছে। আলোচকগণ তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে সাঈদের ব্যাক্যা বিশ্লেষণ করেছেন। সে কারণে নানা মুনির নানা মত। দেখা যায় ছদ্মবামেরাও সাঈদকে তাদের মত করে তার চিন্তায় পরিবেশন করেছেন। ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিভ্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
শুধু সাইদ নয়--ফুকো দেরীদা , লাকা ...
সময়ের হাতে নির্মিত মানুষ। অধিকাংশ মানুষ। তবু কোন কোন মানুষ সময়কে বিনির্মান করার স্পর্ধা ও ধারন করেন। সেইসব সাহসী মানুষদের কেউ কেউ ও আবার বিস্মৃত হয়ে যান সময়ের প্রতিশোধে।
দু’দিনের ছুটি, হাতে গোনা ক'টি টাকা
যেতে হবে বাড়ি বিকেলের ট্রেন ধরে
হাতে চিঠি ধরা বুকের ভেতর ফাঁকা
মা যে লিখেছেন কাঁপা কাঁপা অক্ষরে
বাবা তোকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে
রেলের বগিতে ভিড় বেশি এবেলায়
কাজ সেরে সব ধরেছে ফিরতি গাড়ি
বসে ঝুলে আর লেগে থেকে গায়ে গায়
চলার ছন্দে ঘামের গন্ধ মিশে
কু ঝিক ঝিক হারিয়ে ফেলেছে দিশে
চিলাহাটি নেমে ছয় কিলো যাবো হেঁটে
যেতে যেতে হবে নিজমনে কতো কথা
তবু দিনশেষে বোঝাপড়ায় যেতে হয়
তাপ কিংবা পরিতাপ সর্বস্ব করে
ফিরতে হয় ব্যক্তিগত দুঃখদের কাছে
যারা আছে বুকপকেটের একটু নিচে
এই অরাজক জন্মদেশে কী নিদারুণ পবিত্রতায়!
ধরেন আপনি খুব মাঞ্জা মেরে সাজ-গোজ করলেন। মানে ইস্ত্রী করা কালো প্যান্ট আর একদম ফকফকা সাদা ফুল শার্টের ভাঁজটা কোন ভাবে নষ্ট না করে পরে নিলেন। খুব সাবধানে ইন্ করলেন, কোমরের দুই পাশে তিনটা করে কুচি আর বাকিটা খুব যত্নের সাথে সামনে পেছনে গুঁজে দিয়ে-যাকে বলে পারফেক্ট ইন্। তারপর খুব সাবধানে হাতের কাছে থাকা গমছাটা দিয়ে চেয়ার মুছে তাতে বসলেন। হুইল ওয়াশিং পাউডার দিয়ে ধোয়া মোজা জোড়া ...
কতটুকু আহত হলে দীর্ঘ চুলে? কতোখানি কৃতজ্ঞতা ডিঙিয়ে ছড়ালে জল নৈরবে। যিনি পাশে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁর ক্লান্তি দেখে পায়চারি করো; ইচ্ছেগুলোকে নীরবতা মাখিয়ে চেপে ধরো বুকে...
আ-হা, আহারে বাঁকাদৃষ্টিবাহিকা তোমার ছায়াটাও মাড়িয়ে গেল প্রাইভেট-কারে! তুমি কি জানো; বৃষ্টি নামার আগে একটি অকৃতজ্ঞ হাত তোমার বুকের উপর ডানাভরে কেনো উড়ে গেল?
কৃতজ্ঞতা, শুধু আমি উড়ছি না ডানায়। প্রেরণা পেলে আশার আকাশ ...
আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ছোটগল্প এবং উপন্যাস আমাদের সমাজের আসল চেহারা দেখিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ঠ। তবে তাঁর প্রবন্ধ নিয়ে আমার বেশী উচ্ছাস নেই। কারণ সেখানে সূত্রগুলোকে সঠিক মাপে গাঁথা হয় না বলে আমি মনে করি। তাঁর ক্রিয়েটিভ লেখার নিখুঁত মাপের সাথে প্রবন্ধের একটা তুলনা চলে আসে- এটা ও একটা কারণ। অসামান্য ছোটগল্পকার ইলিয়াসের প্রবন্ধ ‘বাংলা ছোটগল্প কি মরে যাচ্ছে?’ একটু বিশেষ মনোযোগ আ ...
অনিমেষ একটি মোটামুটি সাইজের কোম্পানীর বড় কর্তা। সাত বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেছে দ্রৌপদীকে। সুন্দর গোছানো সংসার তাদের। এক ছেলে আর এক মেয়ে। বাবা-মা, ছোট ভাইসহ সবাই মিলে তাদের সংসার একটি ভাড়া বাসায়।
এ বছরের প্রথমদিকে অনিমেষ হঠাৎ আবিষ্কার করলো, দ্রৌপদীর সাথে একটি ছেলের প্রায়ই ফোনে যোগাযোগ হয়। ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে যায় ও। বিছানা থেকে নেমে মেঝেতে শুয়ে মোবাইলে এস,এম,এস, ...
সপ্তমাচর্যের পরেও আরো কিছু আশ্চর্য ব্যাপার থেকে যায়! কেউ কেউ সেসব আশ্চর্যগুলোকে অষ্টমাচার্য বলেন। আমারো ব্যক্তিগত তালিকায় কিছু আশ্চর্য বস্তু আছে। এর একটি আসিফ ভাই। প্রথম যখন শুনি, বিশ্বাস করিনি। ধূর বলে উড়িয়ে দিয়েছি। আরেকদিন শুনলে, ভ্রুঁ কুঁচকে তাকাই। তাকানোর মধ্যেই প্রশ্ন ছিল: এটা কী করে সম্ভব? বাংলাদেশে জনসভায় লোক আনার জন্য টাকা দিতে হয়। বক্স অফিস হিট সিনেমায়ও কয়েক শো পরে স ...