[justify]গাড়িটা নতুন কিনেছিলাম। দারুণ জিনিস। বড়সড় একটা বিএমডব্লু, তেল ভরাও যায় সহজে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২৯ মাইল যেতে পারে, ফ্যাকাশে নীল রঙ। ভেতরের বসবার গদিগুলো গাঢ় নীল চামড়ায় মোড়া। এক্কেবারে খাঁটি চামড়া। জানালা আর মাথার উপরের রোদছাউনী খোলে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎচালিত ব্যবস্থায়। রেডিওর সুইচ চাপলেই লম্বা এন্টেনা বেরিয়ে আসে- সুইচ চাপলেই আবার ভেতরে ঢুকে পড়ে। নীচু গতিতে চালালে গাড়ির শক্তিশালী ইঞ্জিনটা নানারকম শব্দ শোনায়, কিন্তু ঘণ্টায় ৬০ মাইল বেগে যখন চলে, ... হুঁ হঁ বাবা, একেবারে পঙ্খীরাজ !
(ভুমিকথা : গল্পটি বড় হয়ে গেছে। আশা করছি পাঠকগণ এড়িয়ে যাবেন। তাতে মন খারাপের কিছু নাই। গল্পটি আমার দিদিভাই জামিলা হাসানের জন্য লিখেছি। তিনি সিলেটে বাস করেন। আর কমলা খান। দিদিভাই পড়তে চেয়েছিলেন--রূপকথা। আমি চেষ্টা করেছি। হয়ে গেছে চুপকথা। সবাইকে হেড লাইন পড়ার জন্য ধন্যবাদ।)
.............................................................................................................................................................
শুপারি বাগানে শুপারি নাই। আছে গুলাব। গোল গোল গুলাব গুলি—নাড়ুর মত। শক্ত। লালচে—কোনটা কালো। গুলাব দিয়ে কি করে? প্রশ্ন নাই। উত্তরে পাহাড়।
এসোনা, হৃদয়টা অনুবাদ করে দাও
হঠাৎ করেই সময়টা থেমে গেছে আর মাধুকরী বিকেল
আচ্ছন্ন হয়ে আছে বেনারসী নীল আলোয়
এখন আমার প্রিয় পোশাকে প্রায়ই ন্যাপথলিনের পাওয়া যায়
বহুদিন সন্ধ্যায় আকাশ দেখা হয়না কফি খাওয়া হয়না
চিলেকোঠার চাবিটাও হারিয়ে গেছে
সিদুঁর কৌটায় তুলে রাখা জলপিপি আজকাল
কেনযে ডানা ঝাপটায় । কিচ্ছু ভাললাগেনা ।
এসোনা, হৃদয়টা অনুবাদ করে দাও, অথবা চলো
এবারের শীতে চলে যাই চিম্বুক পাহাড়ে
মায়াবী মধ্যাহ্নকে অনুবাদ করব সেখানে ।
---------- নুশান
[justify](মাসকতক আগে বন্ধু সচল স্পর্শের কাছ থেকে একটা লিঙ্ক পাই, আসিমভের একটা প্রবন্ধের। বিজ্ঞান ও তার ক্রমঃরূপান্তর নিয়ে মানুষের মধ্যে যে ভুল ধারণা, তার জবাবে এই লেখা। লেখাটি পড়ে ভালো লেগেছিলো, তাই মনে হয়েছে বাংলা ভাষায় লেখাটি শেয়ার করা গেলে অনেকের উপকার হতো। সহজ ভাষায় রচিত লেখাটির অনুবাদ করতে গিয়ে একটু কঠিন করে ফেলেছি হয়তো; তবে লেখাটি পড়ে কেউ যদি বিজ্ঞানের ব্যাপারে আগ্রহী অথবা বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার পথে একধাপও ফেলেন, সেটিই অনেক বড়ো পাওনা হবে। হাতি সাইজের প্রবন্ধটি দুই ভাগে ভাগ করে প্রথম ভাগটি পোস্ট দিলাম আজ। প্রথমদফা প্রুফ দেখে দেওয়ার জন্যে সুরঞ্জনা হক আর দ্বিতীয়দফা প্রুফ দেখায় বুনোহাঁসকে ধন্যবাদ।)
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের রিইউনিয়ন হয়ে গেলো ডিসেম্বরের ২৫ তারিখে। সে উপলক্ষে ছাপা সাময়িকীতে একটা লেখা পাঠিয়েছিলাম। স্কুল নিয়ে অনেক আনন্দের আর কৃতজ্ঞতার স্মৃতি যেমন ছিলো, তেমনি অনেক ক্ষোভও জমা ছিলো। স্কুল ছাড়ার পরের কয়েকবছর তক্কে তক্কে ছিলাম কোন একদিন সুযোগ পেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ মানে স্যারদেরকে সেইসব ক্ষোভের কথা শুনিয়ে দেবো। সুযোগ হয়নি। পুরোনো ইচ্ছেটা এবার তাই মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। পাঠিয়ে দিলাম গর্ব, আনন্দ, বেদনা আর ক্ষোভের কথাগুলো। লেখার শুরুতে স্কুলের স্যারদের প্রতি কৃতজ্ঞতার কিছু কথা লিখেছিলাম। তারপর স্কুল নিয়ে এবং স্যারদের নিয়ে খোলামেলা কিছু সমালোচনা ছিলো। লেখার একটা বড় উদ
মাছিটা খুব বিরক্ত করছে। চারদিকে জানালা দরজা সব বন্ধ। কোত্থেকে এই নচ্ছার মাছিটা এসে আমার নাকের ডগায় বসতে চায়। প্রথমে পাত্তা দেইনি। কিন্তু ক্রমাগত নাকের উপর মাছির পদাঘাতে নাকটা সুড়সুড় করছে। মাছিটা এত জায়গা থাকতে নাকের ডগাটাকে টার্গেট করলো কেন বুঝতে পারছি না।
শোঁওওওও করে উড়ে এসে নাকের ঠিক ডগার মধ্যখানে ল্যান্ড করছে। গালে বসলে নিজে চড় খেয়েও মাছিকে কাবু করা যেত। এখন তা সম্ভব না। মাছি তাড়াতে এক রাজার নাক কেটে ফেলেছিল তার প্রহরী। রূপকথার গল্প মনে পড়লো। তবু দুদুবার থাবড়া মেরে নাক ব্যাথা করে ফেলেছি, কিন্তু মাছিটার কিচ্ছু হলো না।
১
হাল্কা নীল ভোর, খুব মৃদু একটা আভা শুধু দেখা দিয়েছে। এখনও সূর্য উঠতে অনেক দেরি, পুবের আকাশে এখনো লাল রঙই লাগে নি। হাওয়ায় হাল্কা শীত-শীত ভাব। একটা ভোরজাগা পাখি সুরেলা গলায় ডেকে উঠলো, গানের প্রথম আখরটির মতন বাধো-বাধো ডাক।
[justify]
১
ক্লাস এইট অথবা নাইনে পড়তাম তখন,জেমসের একটা গান বাজারে আসল।স্কুলে যাবার পথে দোকানে, পাশের বাড়ির বড় ভাই,সহপাঠী সবার মুখে একই গান শুনি। “লিখতে পারিনা কোনো গান,আজ তুমি ছাড়া”।সুপার ডুপার হিট গান।বলাবাহুল্য গানটা আমারও ব্যাপক পছন্দের একটা গান ছিল।ছিল বললাম, কারণ আগে ছিল।এখন গানটা শুনলে আগের মতো সে অনুভূতি আর পাইনা। শুধু এই গানটাই না। আইয়ুব বাচ্চুর “নীলাঞ্জনা” গানটাও আমার খুবই পছন্দের একটা গান। স্কুলে পড়ার সময় তখনো সিডি বা ডিভিডি প্লেয়ার হাতে আসেনি। ভরসা ছিল একটা সিঙ্গার টুইনওয়ান।
[justify]
চৌধরী রহমত আলী সাহেবের বেজায় মন খারাপ। গান্ধীজির জনপ্রিয়তা আর চিত্তাকর্ষক ব্যক্তিত্বের সামনে আলগা সাহেবী ফাঁপড় নিয়ে ছাগল বনে থাকে বলে এমনিতেই জিন্নাকে তেমন পছন্দ না, তার উপর বুড়োটা স্ত্রী বানিয়ে ভোগ দখল করছে তার গোপন প্রেম, রসের পুতুল, সর্বাংগ সুন্দরী রত্তনবাই ‘রুটি’ কে। রত্তনবাইকে প্রথম সে দেখেছিল জিন্নার সাথে মুসলিম লীগের এক অনুষ্ঠানে, যেখানে নবনিযুক্ত গভর্নরকে সম্বর্ধনা দেয়া হয়েছিল। সেইখানেই চতুর রহমতালী সম্পর্ক পাতিয়ে ঢুঁ মেরে বসেছে যুবতীর মনের জমিনে। জিন্না বুড়োর বয়স ভালই হয়েছে। তাগড়া জোয়ান বয়সে এক বউকেতো দুমাসেই কবরে পাঠিয়েছিল, পড়াশুনোর নামে বিলেতে গিয়ে ‘হালাল’ উপায়ে নাকি হাজার কিসিমের ফশটিনশটি করে এসেছে। খায়েস কিন্তু কোনঅংশে কমেনি একালেও। স্যুটবুট পরে হালদুরস্ত বৃটিশ ভাব দেখিয়ে সুযোগ পেলেই মেয়ের বয়েসী সুন্দরীদের বাগিয়ে নেবে আর মজা লুটবে আরামসে…।