কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
প্রথম পর্ব
---------
যখনই মুশফিকুর রহিম কোনো ক্যাচ ড্রপ করে, তখনই একটু উহ আহ এর সাথে বিকল্প উইকেট কীপারের কথা উচ্চারিত হয় এবং অবধারিতভাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই সিদ্ধান্তে আসা হয় বাংলাদেশে আসলে তাকে রিপ্লেস করার মতো কেউ নেই। কারণ অবশ্যই তার কিপিং নয়, বরং ব্রাডম্যানসদৃশ ব্যাটিং!
ওরা বলতো:
ইন্দিরা পাড়লো ডিম
মুজিব দিলো তা
ডিম ফুইটা বাইর হইলো
বাংলাদেশের ছা।
আমরা বলতাম:
ইলিশ মাছের তিরিশ কাঁটা
বোয়াল মাছের দাড়ি
টিক্কা খান ভিক্ষা করে
শেখ মুজিবের বাড়ি।
পুরাণকথা, পর্ব-১
http://www.sachalayatan.com/node/41739
পুরাণকথা, পর্ব-২
http://www.sachalayatan.com/node/41779
বিভিন্ন পুরাণ কাহিনী থেকে জানা যায় যে, স্বর্গলোকের রাজ্যগুলো বিভিন্ন অধিপতির নামানুসারেই পরিচিত ছিল। সে নামগুলোও আসলে একই জনের নাম না। বরং বলা যায় এগুলো বংশানুক্রমিক উপাধি।
স্বর্গলোকের বিভিন্ন রাজ্যের অধিপতিরা জাতিতে ছিলেন দেবতা।
প্রথম পরিচ্ছেদ
সফলতা সবারই আসে, কারো আগে কারো কিছুটা পরে। কিন্তু কেউই শেষ পর্যন্ত বসে থাকে না-গতি একটা হয়েই যায়। কিন্তু সফলতা বলতে আমরা যদি কেবলই টাকা কামানো, লোক দেখানো বাহাদুরি বুঝি নিজেকে ছোট করে দিয়ে তবে আমার আপত্তি আছে। জানি আমার আপত্তিতে খুব বেশি কিছু যায় আসে না, যে সমাজ ও লোকলজ্জায় নিজেকে প্রশ্ন করতে ভয় পায়, নিজেকে চিনতে ভয় পায়, কেবল অন্যের কথায় চলে তথাকথিত প্রতিষ্টীত হতে চায় সে যদি একটুকও নড়ে বসে তাহলেই আমি সার্থক।
আমার আগের লেখাটিতে অদ্ভুত এক আর্চার ফিসের কথা লিখেছিলাম। আর এপর্বে অদ্ভুত এক দাবী নিয়ে হাজির হতে চাই।
নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন শেষ। বেসরকারীভাবে নির্বাচিত আইভীকে অভিনন্দন।
দু'একদিনের মধ্যে প্রচার মাধ্যমগুলোর মাতম থামবে আশাকরি। পত্রিকাগুলো যথাযোগ্য গুরুত্ব দিয়ে সারাদেশের অন্য অন্য খবর ছাপবে, এটাও আশাকরি।
একটা সময় আমার এইম ইন লাইফ ছিল আইসক্রিমের ফেরিওলাকে বিয়ে করার। বুদ্ধিতে কুলোয়নি যে তার বদলে আস্ত এক আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিককে বিয়ে করা যায় অথবা নিজেই ওরকম এক ফ্যাক্টরির মালিকও হতে পারা যায়। সোজাসুজি মাথায় এসেছিল ফেরিওলার ডিব্বায় থাকে লাল সবুজ কাঠি আইসক্রিম, এমনিতে চাইলে তো দেবেনা, তাহলে বিয়ে করাটাই সোজা উপায়। তাই অনেকদিন পর্যন্ত আইসক্রিমওলাই ছিল আমার হিরো। চাকরি হিসেবেও ওটাই ছিল টপ ফেভ
১.
আমাদের জীবনটাই হিমশৈলের চূড়ায় কাটে। সব ঘটনা, দুর্ঘটনা, সিদ্ধান্ত, তর্কবিতর্ক সেই হিমশৈলের চূড়াতেই নিষ্পন্ন হয়। বাকিটা জলের কত গভীরে নেমে গেছে, তা নিয়ে আমাদের অনেকেরই মাথাব্যথা নেই।
কারণ আমাদের অনেকের মাথাই নেই। যাদের আছে, তাদের অনেকে সেটা খামোকা ব্যথা করাতে চায় না।