টিং...।
ভোর চারটের জনশূন্য লবি। ডাবলিনের বুকে এক নামী হোটেল। এলিভেটরের শীতল ধাতব দরজাটা খুলে যায় অপেক্ষমান তরুণীর জন্য।
বাক্সে ঢুকে ফিরে দাঁড়িয়ে তিনি লক্ষ্য করেন, বারের সেই লোকটা দ্রুত এগিয়ে আসছে এলিভেটরটা ধরার জন্য।
কাউন্টারের পাশে দাঁড়িয়ে এতক্ষণ যে এক দঙ্গল লোকজনের সঙ্গে তাঁর টুকটাক কথাবার্তা চলছিল, তার মধ্যে এই লোকটাও ছিল। তবে সে নিজে ছিল চুপচাপ, কেবল তাঁর কথা শুনে গেছে।
কোলাবোরেটিভ লার্নিং ই-বুক - "শিখবা নাকি ক্যামেরাবাজী?" যাত্রা শুরু করেছিলো মুর্শেদ ভাইয়ের উদ্যোগে এবং পরে তাতে শামিল হয়েছিলেন প্রকৃতিপ্রেমিক-ও, সেই সাথে শোমচৌ-এর কারসাজির ক্যামেরাবাজি সিরিজ মিলিয়ে সচলায়তনের ক্যামেরাবাজি ইস্কুল বেশ ভালোই চলছিলো। আলোচনা হয়েছে অ্যাপারচার বা আলোকছিদ্র, পর্দাগতি বা শাটারস্পীড, সংবেদনশীলতা বা ISO, উন্মুক্ততা বা এক্সপোজার, ফোকাল লেংথ, HDR ছবি, বাবুর ছবি, বোকে/বোকেহ (Bokeh) এর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে। কিন্তু সময়ের সাথে ইস্কুলের ক্লাস অনিময়িত হয়ে যাওয়ায় চিন্তা করলাম সিরিজটাকে নিজের স্বার্থেই পুনরুজ্জীবিত করা প্রয়োজন। এরই মাঝে সচলে অনেক প্রতিভাবান ফটোগ্রাফারের সমাবেশ হওয়ায় আমার চেষ্টা থাকবে আলোচনার সূত্রপাত করা, বাকী আলোচনা এগিয়ে নেওয়া এবং আমাকে শেখানোর কাজ আপনাদের সবার ।
[justify][=grey]বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান নিয়ে লেখা বড় কঠিন ব্যাপার। ভূতত্ত্ব বিষয়টি পদার্থ, রসায়ন, জীববিদ্যার মত অতোটা জনপ্রিয় না হওয়ার কারণে ভূতত্ত্বে ব্যবহৃত খটমটে শব্দগুলোর কোন সুন্দর বাংলা প্রতিশব্দ তৈরি হয়নি। যেগুলো আছে সেগুলো এমনই দাঁতভাঙ্গা যে শব্দগুলো বাক্যে ব্যবহার করলে বাক্যের অর্থোদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়ে। সঙ্গত কারণে এ সিরিজটিতে প্রচুর বিদেশি শব্দ বেড়ার ফাঁক গলে লেখায় ঢুকে পড়ছে। তাই পাঠক
অরণ্যে কমছে শ্বাপদ, বাড়ছে জনপদে
রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে খুন, আছে হিংসা প্রতিপদে।
নিজেদের কেউ কখনও পড়লে বিপদে
তেড়ে আসে পশুরাও তার প্রতিরোধে
আসে না মানুষ শুধু বাঁচাতে স্বজাতে!
কাক কোনোদিন খায় না কাকের মাংশ
মানুষেরা মানুষের খায়
গ্রেনেড গুলি, বুকেতে ছুরি, শিরচ্ছেদে
কতো আদমের প্রাণ যায়!
দ্যাখো বিশ্ব চরাচরে মানুষে বিদ্বেষ
বাড়ছে নিষ্ঠুর নৃশংসতা
কাঁদছে নীরবে মানবতা একা ঘরে
কবিতা, তুমি দিনে-দিনে অনেকদূরে চলে যাচ্ছো!
স্পাইন অপারেশনের পর থেকে আমাদের মেলামেশা
কমে গেছে, টেবিলে বসতে পারি না পিঠে ব্যথা করে
বুকে বালিশ চেপে লিখতে পারি না কাঁধের শিরাগুলো
ফুলে-ফেঁপে ওঠে... শুয়েও পারি না, ঘুমে চোখ টলে
জানি না, রণজিৎ দাশের ‘আমাদের লাজুক করিতা’র
মত তোমাকে কোথায় শোতে দেব? এই পরবাসে—
এই শীতের দেশে ফুটপাতেও তোমার জায়গা নেই
এখানে ফেরিওলাও পাবে না, যে আদরে বানাবে
মারুফি ভাইয়ের সাথে পরিচয় ধানমণ্ডি লেকের আড্ডায়। রাইফেলস এর মার্কেট কমপ্লেক্সের উল্টোদিকে সন্ধ্যার পর আমরা নানা কিসিমের লোক জড়ো হয়ে রাজাউজির মারি এবং তাদের স্ত্রীকন্যাদের নিয়ে আদিরসাত্মক গল্প ফাঁদি। একেক দিন একেক লোকের বন্ধুবান্ধব সেই আড্ডায় এসে জোটে, তাদের কেউ কেউ নিয়মিত আড্ডাধারীতে পরিণত হয়, কেউ হয়তো তর্কাতর্কি ঝগড়াবিবাদ করে সেই তল্লাট ছেড়ে বিবাগী হয়ে চলে যায়।