[justify]
মামাকে আমি খুব বেশি দিন পাইনি আমার অন্য বোনেদের মত। আমি যখন ক্লাস থ্রি কি ফোরে পড়ি, উনি তখন সরকারী চাকুরী নিয়ে বরিশালের গৌরনদী চলে যান। মাসে একবার কি দুবার ঢাকায় আসতেন, সাথে থাকতো ওখানকার বিখ্যাত মহিষের দুধের দই। মামার আগমনের এই একটাই ভালো দিক ছিল। চাকুরীতে যোগদানের আগের দিন পর্যন্ত আমাদের ব্যাপক জ্বালিয়েছেন মামাজান। বোনের ছেলেমেয়েদের সার্বিক দায়িত্বে থাকা উনি ছিলেন প্রচন্ড রকমের রুটিন-প্রিয় মানুষ।
পেঁচার ডাক শুনতে যাবার ব্যাপারটি নিঃসন্দেহে অভিনব, ভিন্ন, শিহরণ জাগানিয়া। আসলে প্রকৃতির নির্জনতাকে ছোঁয়ার, নিবিড় ঘন অরণ্যের মাঝে আধো আলো আধো আঁধারে আমাদের এই সুন্দর গ্রহটাকে, এর জীবজগতকে একটু ভিন্ন ভাবে উপলব্ধি করার প্রয়াস মাত্র।
কী এক সার্কাস!
লিখি প্রেম, ঠোট থেকে খসে নগ্ন বিষফল উত্তাপ
পিছল দেহ ছুয়ে পৃথুলা প্রিয়তীর সবুজ নিঃশ্বাস
ঘুমের সুতো খসে অধোমুখ, মাংসল লকলকে চাকু
রাতের বরণকুলো উষ্ঞ পালক গোজে অন্ধ আয়নার ভেতর।
নিরীহ রোদ্দুরে হাঁটে ফিকে রং পাতাদের সবুজ বিকেল
পাতার সবুজ রক্ত চাটতে চাটতে মানুষ হাঁটে নামি
মানুষ! শান্তির ফেরীওলা! শান্তি ফেরী করে
হাতের তালুতে ছেলে ভুলানো লাটিম কোমল রোদ্দুর ছিড়ে খায়।
বাসার লোকেশন জানাতে গিয়ে তিনি আমাকে ফোনে বললেন, ...গলিতে ঢুকে যে-কাউকে ব্লাইন্ড বাপ্পীর বাসা কোনটা জিজ্ঞেস করলে দেখিয়ে দেবে। এমন সহজভাবে কথাটি তিনি বললেন, অথচ শুনে আমার মন কেমন করে উঠলো!
গলির ভেতরে ঢুকে দেখি ৬/৭ বছরের একটি শিশু খেলছে। তাকে বললাম, বাপ্পী ভাইয়ের বাসাটা চেন? সে আঙুল উঁচিয়ে বললো, ও-ই বাড়িটার দোতলায়।
ঈশ্বর মঞ্চে বসিয়া বসিয়া বিরক্ত মুখে পাতি স্বর্গদূত নেতাদিগের বক্তৃতা শুনিতেছিলেন। ইহারা কর্মে পটু না হইলেও মুখের জোরে একেকটি গগ ও মাগগ। হাতের নাগালে মাইক ঠেকিলেই ইহারা অগ্রপশ্চাৎ জ্ঞান হারাইয়া আসুরিক শক্তিতে আর্তনাদ করিতে থাকে। মাইক ছাড়াই ইহাদের আওয়াজ সায়হুনের তীর হইতে ফোরাতের পূর্ব পার পর্যন্ত পৌঁছিবে। ইহারা খায় কী?
“কোন দেশকে ভালো বুঝতে হলে অবশ্যই তার রাজধানীতে যেতে হবে” এই রকম কোন কথা কোন মনিষী বলে গেছেন কিনা জানি না, তবে আমরা ঠিক করলাম পরের গন্তব্য রাজধানীই হতে হবে। তাই বোস্টন থেকে নিউ ইয়র্ক ফিরে রাতের মাঝেই রওয়ানা দিলাম ডিসির উদ্দেশ্যে, বাহন যথারীতি মেগা বাস।
আনু
পূজার বন্ধে বাসায় বসে টিভির রিমোর্টের উপর অত্যাচার করছিলাম।হঠাৎ একটা খবরে চোখ আটকে গেল।সিলেট মেডিকেলে সেবার নামে ডাক্তারদের অবহেলা এবং দালালদের দৌরাত্ন।পুরো রিপোর্টটা দেখলাম।মনটাই খারাপ হয়ে গেল।সরকারি মেডিকেলে চিকিৎসা সেবা পুরোপুরি নিশ্চিত করা আসলেই একটু কঠিন।বেশিরভাগ সময়ই বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা দিনের বেলায় রাউন্ড দেন।রাতের বেলা তাদের খুজে পাওয়া যায় না।তখন পুরো দায়িত্ব পড়ে ইন্টার্নি,আই এম ও আর রেজিষ্ট
গেট দিয়ে ঢুকতেই দারোয়ানের সাথে দেখা। আটকালো না। না আটকানোরই কথা।
সপ্তাহখানেক আগেও বাড়িটার প্রতি অন্যরকম এক টান অনুভব করতাম। আর এখন?
বাড়িওয়ালা থাকেন দো’তলায়, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী অফিসার।
নক করতেই কাজের লোক দরজা খোলে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে। বললাম বাড়িওয়ালা বাসায় কিনা।
হ্যাঁসূচক মাথা নাড়ে সে। গেটে দাড় করিয়ে রেখে ভিতরে চলে যায়।