তুমি আমায় ডেকে ছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে-১
৬।
“তুমি কবিতা শুনেছো কখনো?” জিজ্ঞেস করে রিশান।
“শুনেছি। তবে খুব কম।" বলে মৌ।
“তোমাকে আমার একটা প্রিয় কবিতা শোনাই?” জিজ্ঞেস করে রিশান
“শোনাতে পারো তবে আমি কবিতা বেশী ভালো বুঝি না। গান এমন করে শোনাতে চাইলে বেশী ভালো হতো।" মিটমিট করে হাসতে হাসতে বলে মৌ।
[justify]৯.
প্রিয় অতিথি লেখক ও পাঠক,
সচলায়তনে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক লেখা জমা পড়ে, যার মধ্য থেকে সচলের মডারেটররা কিছু পোস্ট প্রকাশ করেন। দুঃখজনক হলেও সত্য, অধিকাংশ পোস্ট মডারেটরদের বিবেচনায় সচলে প্রকাশের অনুপযোগী থেকে যায়।
বড় বিচিত্র এই দেশ ! মানুষের লালসা কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকলে মনুষ্যত্বের সাথে এমন নির্লজ্জ আপোষ করা যায় তা আমাদের জানা নেই । ট্যানারী শিল্পের উচ্ছিষ্ট বর্জ্য আমরা প্রক্রিয়াজাত করে খাওয়াচ্ছি মুরগী কিংবা মাছকে! সম্মানিত পাঠকদের কেউ কেউ হয়তো ভাবছেন, ‘তাতে আমাদের কি আসে যায়’। যারা জানেন না, তাদের জন্যেই এই লেখা।
[justify]হেমন্তের আকাশে রঙ লেগেছে। সে রঙ গায়ে মেখে হরিপদ দাপিয়ে বেড়ায় সামন্তপুরের বাতাসে। মা ডাকে। দুপুর গড়িয়ে গেল হরি ভাত খেয়ে যা। হরি শুনেও শুনেনা।
বিকেলে আবারও খেলতে চলে যায় হরিপদ। সন্ধ্যা হয়, প্রত্যেক দিনের রুটিন মতো মা আবারও ডাকে, হরি। হরিপদ শুনেও শুনেনা। সে বসে থাকে। বাবা আসবে। কাঁটাতারের ওপারে হরিদের ধানের জমি। বাবার হাত ধরে বাসায় ফিরবে হরিপদ। রোজ যেভাবে ফিরে।
টিএ শেষ করেই এক দৌড়ে বিল্ডিংএর পাঁচতলায় উঠে যায়। মাথায় বনবন করে সেই এক কথাই ঘুরছে শুধু, কামালি আর অনি, অনি আর কামালি, যোগসূত্রটা কোথায়? কিছুতেই ভেবে পায়না। মাথায় ঘুরতে থাকে অনির রেখে যাওয়া সেই নোট আর ছয়টা সার্কেল আর ছয়টা নাম। কামালির রুমে গিয়ে একটু দেখতে চায়, কোন অন্যরকম কিছু চোখে পড়ে কিনা। অন্যরকম কিছু কেন খুঁজছে হেলাল? অন্যরকম কোন কিছুতে তো ওর বিশ্বাস নেই! কিন্তু অনির ওই নোটের কথা শোনার পর থেকে হুট করে সবকিছু উড়িয়েও দিতে পারছেনা। এতদিনের বিশ্বাসে কি একটু চিঁড় ধরে ওর? বিশ্বাস কি এত সস্তা? নিজের মনে ভাবতে ভাবতে পাঁচতলায় উঠে আসে।
সকালে উঠেই অরিন টের পেল, আজকের দিনটা অন্যরকম।
জানালার পর্দা টান দিতেই চোখ ঢাকতে হোলো, সূর্যটাকে যেন কেউ ডিম পোচের মত পৃথিবীর উপর ছেড়ে দিয়েছে! ঝকঝকে রোদে চনমন করছে বাতাস!
নাহ, আজকের দিনটা অন্যরকম।
স্ স্ স্ হ স হু...উ। সসহ ধুম।
হুম। ড্রয়ারটা হয়ে খুব আরাম হয়েছে।
না গুছালেও সমস্যা নাই, এর মধ্যে ফেলে রাখলেই হলো।
‘ড্রয়ার’- ব্যাপারটা আসলে ভালই।
কারো কারোতো পুরো রুমটাই- ড্রয়ার ।
পুরা বাড়িটাই ড্রয়ার বানিয়ে রেখেছে- এই রকম লোকও আছে।