দুর্গতিনাশিনির পুনরাগমন আমার বন্ধু-মহলের একাংশে আনন্দের বন্যা বইয়ে দেয়। কুয়াশায় আচ্ছন্ন সকালের ফাঁক দিয়ে এসে পড়া নাযুক সূর্যরশ্মির মত মনের ওপরে প্লাস্টারে বাম হাত মোড়া ছোট ছেলেটির ছায়া এসে পড়ে। রায়েরবাজার আখড়ার প্যান্ডেলে পারিবারিক নিকট-বন্ধুদের হাসিমুখ, ধুপের গন্ধ আর নেশা ধরানো ঢাকের শব্দের ভেতর বাতাসা-মুরলী চিবোতে চিবোতে সেই ছেলেটি হেঁটে বেড়ায়। হলুদ লাল আর সোনালী রঙের ভেতর থেকে তিনটি চোখের অপলক
একদা এমনই বাদলশেষের রাতে---
মনে হয় যেন শত জনমের আগে---
পৃথিবীটা যে গতিতে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে তার চেয়েও দ্রুত গতিতে দুটো বাক্য এসে তার চোখের সামনের ল্যাপির পর্দা জুড়ে দাড়ায়। এত রাতে কে মেইল দিল? মেরুণ ফ্রেমের চশমাটা একটু নেড়ে বসালো সে নাকের উপর। প্রেরকের অচেনা নাম দেখেই বুঝলো পথিক পথ হারাইয়াছে। টেলিফোনে ক্রস কানেকশানর মতো ইমেল ক্রসকানেকশান।
ঢাক-ঢোল পিটিয়ে অনুবাদ শুরু করেও সময়ের অভাবে ২য় পর্বটা দেয়া হয়ে উঠছে না। খুব শিগ্রি দেব। কিন্তু আমাকে লেখায় পেয়ে বসেছে। দিলুম এবার একটা মৌলিক গল্প ঝেড়ে। দেখুন তো সচলের মানের সাথে যায় কিনা। এটা একটা অভিযানের গল্প। কিংবা বলতে পারেন চরম বোকামীর গল্প।
এ গল্পের সমস্ত ঘটনা ও চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবের কোন ঘটনা বা চরিত্রের সাথে সামান্যতম মিল পাওয়া গেলে তা কাকতাল মাত্র।
-------- মধ্য প্রজন্ম
আজ গজব খুঁজে পাআবিইইইই, সব ছুটে ছুটে আআআআয়....................................................................................
অদূরে কোথায় যেন হট্টগোল হইতেছে, ঈশ্বর কর্ণপটহে কনিষ্ঠা অঙ্গুলি প্রবিষ্ট করিয়া আনমনে চুলকাইতে চুলকাইতে শুনিতেছিলেন। নন্দন কানন ক্রমশ হট্টগোলের জায়গায় পরিণত হইতেছে। স্বর্গদূতগুলি নিয়মিত হল্লা পাকায়। ইহার পিছনে আদমের কোনো ভূমিকা নাই তো?
তিনি গলা খাঁকরাইয়া ডাকিলেন, "গিবরিল!"
গিবরিল কিয়দক্ষণ পর তাহার রশ্মিনির্মিত ডানা ঝাপটাইতে ঝাপটাইতে বারান্দায় আসিয়া দাঁড়াইল।
বৃষ্টি শেষ হয়ে গেছে সেই কখন । আকাশটা একদম নীল। বৃষ্টিশেষের সোনালী রোদে সেই নীল - অনেক উচুঁতে মনে হয়। জানালার গ্রীলে জমে থাকা বৃষ্টির ফোটাগুলো মুঁক্তোদানার মত জ্বলছে। সেখানে একটু ছোঁয়া লাগাতেই তর্জনীটা কেমন ভিজে যায়। চোখের সামনে ভেজা আঙ্গুলটা নিয়ে এসে ‘এ’ যখন ভাবছে - এই ভেঁজা ভেঁজা জলটা একটু আগেই মেঘ হয়ে আকাশে উড়ছিল...
জেলখানায় আয়না পেতে বিস্তর লড়তে হয়েছে দেলু রাজাকারকে। আব্বুজির তাহফীমুল কুরআনের কপি পেতে তেমন সমস্যা হয়নি, সমস্যা হয়নি বড় হুজুরের মানব সৃষ্টির হকিকতের কপি পেতেও, কিন্তু একটা আয়না যোগাড় করতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যাওয়ার দশা। সীমারের দল দেয়নি শেষপর্যন্ত। নিজের মাসুম শাকল দেলুকে পত্রিকায় দেখতে হয়, মাসে এক দুইবার।