বয়সন্ধির ছয়টা বছর ছিল কবর আজাবের মত বিভীষিকাময়। আর নির্মমভাবে উপুর্যপুরি গজব প্রদানকারী ব্যক্তিটি হলেন 'ঘরের শত্রু বিভীষণ' আমার মা। টক-ঝাল-মিষ্টি আমার কিশোরীবেলা নিমতিতা হয়ে গিয়েছিল ওনার অত্যাচারে। নিয়মিতভাবেই আমাদের ভেতর অনুষ্ঠিত প্রচন্ড উত্তপ্ত বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আমি ওনাকে ঘায়েল করতে এ্যাটম বম্ব মারতাম,
"তুমি আমার সাথে এরকম ঘসেটি বেগমের মত আচরন কর কেন?!"
হায়, কবি বলেছিলেন, রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি!
(উৎসর্গ : সুজন চৌধুরী)
১..............................................................................................................................................
[justify]পরীক্ষার হল পৃথিবীর একটি ভীতিকর স্থান। এ স্থানটি এড়িয়ে যেতে পারলে মনুষ্য প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত ছাত্র-ছাত্রী নামক উপ-প্রজাতিভুক্ত প্রাণীগুলো বেজায় খুশি হতো এটা অনুমান করার জন্য রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হয় না। অমুক বিষয়টি বোঝার জন্য রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হয় না- এই প্রবচনটি কে প্রথম লিখেছিলেন? সে যাগগে। আচ্ছা, ব্লগাঞ্চলের জন্য কিছু প্রবাদ-প্রবচন দাঁড় করালে কেমন হয়?
(১) "সম্ভাবনা"
ভদ্রলোকের বাসাটা নীচ তলায়। মহল্লার রাস্তার সাথে লাগোয়া এ বাসাতে তিনি থাকেন সপরিবারে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে। চার তলা বিল্ডিংটার বাইরের গেইটটা খোলাই থাকে সাধারনত। সকাল তখন সাড়ে আটটা। অফিসের উদ্দেশে বের হচ্ছেন। বাসার মেইন দরজা খুলে বাইরে পা দিতেই ৩ জন লোক তাকে ঘিরে ধরল। ছোরা হাতে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক তাকে বাসার ভেতরে নিয়ে গিয়ে দরজাটা লক করে দিল। তাদের সাথে ধস্তাধস্তির কারনে ভদ্রলোক কিছুটা আহ
১.
দেখেছি পাখীর ডানা আসলে ততটা কোমল নয়
আসলে ততটা কোমল নয় জলবতি নদী
কিংবা একটি রজনীগন্ধার আদ্যোপান্ত শরীর;
আমাদের অনুভূতির মত কোমল আর কোন কিছু নেই!
------------- ১৫.১০.২০১১ বরিশাল
২.
সব কথা যায়না বলা, এমনকি সব অনুভূতিও প্রকাশ করা যায়না!
বন্ধু, এতদূর শুনে ফেলো আর এত গভীরে দেখো বলে
তোমার শূণ্যতার সাথে পাল্লা দিয়ে যায় -
অসহ্য বিলাস!
পদ্মা সেতু
তারেক মাহমুদ
হবে-হল-হচ্ছে বলে
তিন বছর কাটলো
নতুন করে আবুলটাও
ফন্দি যে আঁটলো।
সততার সার্টিফিকেট
কথায় কথায় আনে
তদন্তের দলে এখন
বিএনপিকেও টানে।
তদন্ত দল হলেই
গাইবে তারা সাফাই
বস্তা ভর্তি টাকা হাতে
আবুলটা যে লাফায়।
স্বপ্ন আসে স্বপ্ন ভাসে
স্বপ্ন পদ্মার জলে
পদ্মা সেতুর স্বপ্ন বুঝি
গেল রসাতলে।
দোহাই লাগে শেখ হাসিনা
করেন একটা হেতু
স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হবার পর গ্রামে বেড়াতে যাবার রেওয়াজটা আজকাল উঠে গেছে কিনা জানি না। আমাদের সময় ওটাই ছিল বছরের সেরা রিক্রিয়েশান। প্রাইমারী পেরিয়ে হাইস্কুলে ওঠার পর গ্রামে গেলে মজা করা হতো খুব। শহরে আমার ভাবগুরু ছিল বড় মামার ছেলে তমাল। ক্লাসে আমার এক বছরের বড় হলেও গ্রামে গেলে আমরা বন্ধু। বড় মামা শহরে থাকতেন, মেঝমামা গ্রামে।