সেই মেয়েটার চোখের তারার ঝলকে,
মন ছেলেটার কি উচাটন পলকে,
পথ হারালো তার গুচ্ছ অলকে।
স্বর্গ বুঝি আসলো নেমে ভূলোকে!
কি মনোরম রাঙালো দিনগুলোকে,
রাখলো তারে অসাধারণ পুলকে।
নরওয়ে-০১
তারেক মাহমুদ
কেউ জানেনা আমি খুঁজে পেয়ে গেছি
চকচকে সোনালী ঈভের আপেল,
নীল ধুঁপের গন্ধ হৃদয়ে ভরে
আরো চকচকে কোন রূপালী ছুরির অপেক্ষায়,
আজীবন কাটিয়ে বনেদী সিন্দুকে
অতীতের গহন থেকে বর্তমানে
বোরাকের মতো লাফিয়ে উঠেছে -
সোনালী চকচকে আপেল সে এক।
আমার সোনালী আপেল
আমারো চেয়ে বেশী ভালোবাসে বুঝি
ঘাতক ছুরির সহিংস চুম্বন,
রক্তপাত নিশ্চিত জেনেও কেন তার কোন ভয় নেই
জিঘাংসায়? আহ, জানে সে
আদম চটিয়া কহিল, "টাকা নাই মানে? টাকার অভাবে একলা থাকিব?"
ঈশ্বর কাশিয়া কহিলেন, "দেখ আদম, স্বর্গের কোষাগারে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা নাই। যা ছিল সব বিরোধী দলের স্বর্গদূতেরা মারিয়া কাটিয়া লুটিয়া পাচার করিয়াছে। কিয়ৎকাল ধৈর্য ধর। সুমায়ে সুনা ফলে।"
পুনরায় ফেরার আগে কি এমন
ছোট্ট-ছোট্ট কথা বলার থাকে যে
তোমাকে বারবার বলতে ইচ্ছে করে
অর্ধেক হৃদয়!
হিয়ার ভেতর আমাকেও জাগাও কান্নায়
হারানো দিনে পুরনো কথাও সন্দেহ জাগায়
পথে ঘুরিফিরি সহস্র মুখ ভালো লাগে ছায়ায়
পুনরায় ফেরার আগে তুমি বলো—
সব ছায়া কি আর একসাথে ভালোবাসা যায়?
[justify]
জীবনের সাথে মেগাসিরিয়ালের অনেক মিল আছে। প্রথম মিলটা হচ্ছে দৈর্ঘ্যে। দুটোই বিরক্তিকরভাবে লম্বা, প্রায় সারাজীবন ধরেই চলে। দ্বিতীয় মিলটা হচ্ছে দুটোই মোটামুটিভাবে বোরিং। এভাবে খুঁজলে আরও অনেক মিল পাওয়া যায় কিন্তু সবচেয়ে বড় অমিলটা হচ্ছে সিরিয়ালগুলোর কাহিনিতে গিঁট লেগে যাওয়ার পরে হাতে নিদেনপক্ষে সাতদিন সময় পাওয়া যায়। অর্থাৎ নায়িকার অন্য ছেলের সাথে বিয়ে হয়ে যাবে, ঢং ঢং শব্দের সাথে নায়কের মুখের ক্লোজ-আপ দেখিয়ে ওই পর্বটা ওখানেই শেষ করা যায়। জীবনে সেই সব সুযোগ নেই – যেটা করার সেটা প্রায় তড়িঘড়ি করেই করতে হয়।
তুমি কিংবা তোমাকে লেখার চাইতে বরং এইসব কথা - নিজস্ব কথোপকথন নিজস্বতার সাথে। নিজস্বতায় নিজেকে মেলানোর চাইতে বরং তুমি নিজস্ব দূরত্বে থেকে দেখো - আমাদের অনন্যতর নিজস্বতা অনন্য কোন অভিন্নতা খুঁজে পেলো কিনা ----
"বেয়াদব! এত লেখাপড়া শিখে, দেশী বিদেশী ডিগ্রী নিয়ে এই শিখছ! এটা একটা কাজ হলো! অসভ্য বেতমিজ কোথাকার! "
মেয়েটির মাথা নত। চোখ নত। জড়োসড়ো হাতদুটি কোলের উপর নেতিয়ে। অদৃশ্য হাতকড়া দৃঢ় মুষ্ঠিতে চেপে আছে ওর অসাড়, আহত হাতদুটো। পায়ে শেকল পরা ছিল সেই শৈশব থেকেই। মুষলধারে গালিবর্ষন হচ্ছে মেয়েটির ওপর।
মাঝে মাঝে জ্বর হয়। আচ্ছন্নতার মাঝে তখন কানে ভেসে আসে একটানা পুঁথিপাঠ। লবঙ্গ গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে খুব কাছে বসে পা দুলিয়ে কপালে কেউ ঠান্ডা হাত রাখে। তখন লাল আর নীল রঙ মিলে বেগুনী রঙের এক একটি বৃত্ত সারা দেওয়াল জুড়ে বসে। জ্বর সেরে গেলে চাবিওয়ালা খুঁজতে বেরোই। সাথে নিই সেই ধর্মগ্রন্থ। চাবি বা নিজের ঘর হারিয়ে গেলেও ধর্মগ্রন্থটি যেন হারিয়ে না ফেলি তাই সাথে সাথে রাখি। নাজারেথ শহর থেকে পাওয়া এ গ্রন
মদিনা ট্রাভেলস এর অফিসের এক কোনায় জবুথবু হয়ে বসে থাকা লোকটাকে নিয়ে ট্রাভেলসের ম্যানেজার আকরাম খুব ঝমেলায় পড়েছে। সপ্তাহে দুইবার করে লোকটা আসছে আর সারাদিন বসে থাকছে। এইভাবে চোখের সামনে মূর্তিমান ঝামেলা ঘুরঘুর করলে কাজে মন বসেনা। লোকটার নাম জামশেদ, বছর পঁয়তিরিশ বয়স। জামশেদ কথা বলার চেষ্টা করলে আকরাম কাজে ব্যস্ত হয়ে যায়, নয়তো ফোনে কথা বলা শুরু করে, নয়তো উঠে বাইরে চলে যায়। তারপরও এই লোক নিয়মিত আসছে, সারাদিন বসে থাকছে। এই ঝামেলার আজকেই একটা সুরাহা করবো ভেবে আকরাম জামশেদকে ডাক দেয়।