আমার পাকি রুমমেটের সাথে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ হচ্ছিলো। ইমরান খান সম্প্রতি পাকিস্তানের ভোটের রাজনীতিতে নিজেকে একটা জোরালো চলক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন, লাহোরে তার ডাকা সমাবেশে নাকি প্রায় চার লক্ষ লোক সমবেত হয়েছিলো, ইতিমধ্যে পাঞ্জাবের তৃতীয় প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তিনি মাথা তুলেছেন, উত্তরপশ্চিম সীমান্তপ্রদেশেও তিনি বেশ জনপ্রিয়, ইত্যাদি শুনছিলাম। সৈয়দ আবার ইমরান খানের বেজায় ভক্ত। তাকে সেনাবাহিনী আর আমলাতন্ত্র নিয়ে কিছু কথা জিজ্ঞেস করতেই বেচারা ব্যাজার হয়ে গেলো। তবে আরো যেটা জানলাম, ইমরানের এই উত্থানকে স্বাগত জানাচ্ছে পাকিস্তানের মিডিয়া।
তখন আমাদের বাসায় মাত্রই নতুন গান শোনার যন্ত্র আনা হয়েছে, বয়স অল্প, সেটাকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ ছিলনা, তখন সিডির চল ছিলনা, ক্যাসেট চলতো| যন্ত্র তো কেনা হলো, কিন্তু তাকে সরব তো করতে হবে| ক্যাসেট আনা হলো বেশ কিছু| আমি সারাদিন এই বোতাম সেই বোতাম টিপে নানা কারিগরী করি| একদিন বাবা নিয়ে আসলেন একটা ক্যাসেট, উপরে লেখা ছিলো "আমি এক যাযাবর"| কৌতূহল বশত সাথে সাথেই চালালাম সেটা, জানিনা হয়তো গায়কের সম্মোহনী সুরেই হোক বা অসাধারণ লাইন গুলোর কারণেই হোক, সেদিন পুরো ১০ টা গানের একটাও বাদ রাখিনি| পর পর শুনেছিলাম, আর অজস্র বার শুনেছিলাম সেই একটা কালজয়ী গান-
আগের পর্বগুলো:
তৃতীয় পর্বে আমরা জেনেছি ভূমিকম্পের ফলে ভূগর্ভে শিলাস্তরে বিচ্যুতি সৃষ্টির মাধ্যমে শক্তি নিঃসৃত হয়। সেই শক্তি তরঙ্গাকারে প্রবাহিত হওয়ার সময় শিলাস্তরের কণাগুলোকে বিভিন্নভাবে আন্দোলিত করে। শিলাস্তরের আন্দোলনের প্রকৃতি অনুসারে ভূ–অভ্যন্তর দিয়ে প্রবাহিত তরঙ্গগুলোকে P ও S ওয়েভ নামে ডাকা হয়; ভূপৃষ্ঠ দিয়ে প্রবাহিত তরঙ্গ দুটোর নাম Rayleigh ও Love ওয়েভ।
ব্যাপারটা প্রথমে খেয়াল করিনি। করতামও না।
ইংলিশ মিডিয়াম আর বাংলা মিডিয়াম কথাটা চলে আশায় খেয়াল হল।
আরেহ, এক ছোট ভাই না গেছে? কল দিলাম ওরে।
"কই তুই?"
"কেন ভাইয়া কইছিলাম না আজকে ভলেন্টিয়ার গিরি করবো।"
স্ক্রিনে থাকা জিনিসটা আর একবার ভালো করে পড়লাম। মিলে না তো। ও তো বাংলা মিডিয়ামের তাইলে? এইডা খালি ইংলিশ মিডিয়াম কয় কেন? (পরে জানসি সব এক ঘাটে না থাকলেও এক নদীতেই আছে)
গতকাল অফিসে যাবার সময়ে শেরাটন হোটেলের সামনের মোড়ে দেখলাম হলুদ টিশার্ট পরা কয়েকজন ছেলেমেয়ে বিভিন্ন গাড়ির কাছে এসে কিছু জিজ্ঞেস করছে। গাড়ি সিগন্যালে থামতেই ১৪-১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী এগিয়ে এল। স্যার বলে সম্ভাষণ করে তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা শুরু করতেই গাড়ি আবার নড়ল। দ্রুত পকেটে হাত দিয়ে কিছু টাকা হস্তান্তর করতেই Primary Education For All লেখা একটি স্টিকার পেলাম। অন্য গাড়িতে দেখলাম ফুল দেয়া হচ্ছে।
সালেক খোকন
‘কুটিবাড়ী থেকে নৌকায় করে আমরাও মানপুরে নিয়ে আসি আটটি পরিবারকে। বাকিরা বিভিন্নভাবে চলে যায় বিভিন্ন জায়গায়। লুট হয় অস্ত্র। কিছু অস্ত্রসহ নৌকায় ওঠে হাবিলদার নাজিম উদ্দিন, কাঞ্চন, রিয়াজ, হালিমসহ অনেকেই। তাদের আশ্রয় দিই মানপুর স্কুলে। গ্রামবাসী পালা করে তাদের জন্য পাঠাতে থাকে খাবার।
আজ ৪ঠা নভেম্বর, ২০১১-- আমার নানা আশরাফ আলী মণ্ডলের পঞ্চদশতম মৃত্যুবার্ষিকী। মন সকাল থেকেই চঞ্চল হয়ে আছে, কাজের ফাঁকে ফাঁকে নস্টালজিয়া হানা দিচ্ছে আজ প্রবল ভাবে, এলোমেলো চিন্তার পালকেরা ঘুরপাক খাচ্ছে প্রতিটি নিউরনে, উচাটন ভাবনার থই পাচ্ছি না কোন।
[justify]১১.
আমাদের ইতিহাসের বই বলে, পাল রাজ বংশ ৭৫০ খ্রীষ্টাব্দ (গোপাল) থেকে ১১৬১ খ্রীষ্টাব্দ (মদনপাল) পর্যন্ত চারশ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা শাসন করেছে। আবার একই বই বলছে, সেন রাজ বংশ ১০৭০ খ্রীষ্টাব্দ (হেমন্তসেন) থেকে ১২৩০ খ্রীষ্টাব্দ (কেশবসেন) পর্যন্ত বাংলা শাসন করেছে। তার মানে, পাল রাজত্বের শেষ ৯২ বছরে তাদের সাথে সেন রাজাদের রাজত্বও বাংলায় ছিলো। একটু গোলমাল হয়ে গেলো না? আসুন, আরেকটু গোলমাল বাঁধানো যাক।
কালকে সকালে প্রফেসর আর রিসার্চ গ্রুপের সাথে মিটিং। সাধারনত অন্যান্য দিন বিকেলে ক্লাস থাকে বা ল্যাবে যায় বিধায় ভোরের দিকে ঘুমিয়ে দুপুরে উঠি, কিন্তু বাই-উইকলি মিটিংয়ের আগেরদিন রাতে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাই। আজও তাই হত, কিন্তু ঘুমানোর আগে হঠাৎ করে ইচ্ছে হল ফেইসবুকে একটা ঢু মারি। তাতেই বিপত্তিটা হল। হঠাৎ চোখে পড়ল ‘জাগো’ নামের ফাউন্ডেশন নিয়ে একটা নোট এবং একটা স্ট্যাটাসে। স্ট্যাটাসের নিচে দেয়া লিংকে ক্লি