পদ্মকোরকের মতো স্বাধীনতা
[i][=green]মুক্তশব্দ ঊত্তরীয়ে আবাহন শুনি
বাতাসে আলো এসে গভীর ক্ষতচিহ্ণ ভাঙে,
নীলাঁচল জড়ানো আকাশে সময়ের অকস্মাৎ
সকল আড়ম্বর থেমে আছে তোমাতে বিজয়-
সূর্য-ঊষ্ণ অরুণমুখ প্রশ্বাস-আশ
জমিন রঙ্গিন, গাঢ় সবুজ ছড়ানো স্রোত
উড়ছে পতাকা সমগ্র প্রান্তর কাঁপিয়ে-
ভাঙবে ক্ষুধা, অপলাপ, নির্যাতন স্তুপ।
হেঁটে হেঁটে যাবে পুরো পথ,
ঘুম পাড়ানিয়া গান আমাদের জন্য নয়,
বর্গী এলো দেশে বললেই আমরা ভয়ে
লুকোতাম গভীর ঘুমের আঁচলে। কেউ
গান বা গল্পে পাড়াবে ঘুম, অমন স্বপ্নের
প্রতিশ্রুতি ছিলোনা কখনো। শুধু প্রতি
ভোরে জেগে উঠে মনে হতো কি যেন
নেই… কি যেন নেই …কি যেন নেই…
তোমার নকশীকাঁথা করতল দেখে তাই
সাধ হলো কবে ফুরাবে সেই ভীত-নিদ্রার
দিন? কবে কপাল ছুঁয়ে যাবে আল্পনা
আঙুল, একটা পুরো সমুদ্র তার সবগুলো
[justify] [সাব্বির হত্যায় অভিযুক্তেরা পেয়েছে বেকসুর খালাস। সাব্বির কলেজে ছিলো আমাদের সাথেই। ওকে চিনতাম হুমায়ুন নামে, এর মানে সৌভাগ্যবান। ছেলেটা ছিলো বড্ড আবেগি আর খামখেয়ালি। এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বোধহয় বেশ বিরলই ছিলো, যা তাকে কোন নিয়মে বাঁধতে পেরেছে। আমাদের মতো ছক-বাঁধা, একঘেয়ে জীবন কাটাতে চায় নি আমাদের মহাবিদ্যালয় থেকে মেধাতালিকায় ঠাঁই পাওয়া ছেলেটা। আমার শহরে প্রথম সাইবার ক্যাফেটা ছিলো তারই। মৃদুভ
পাকিস্তানিদেরও লজ্জা আছে। এটা কি একটা খবর? মোটেও না। আজ সকালে পাক সেনাবাহিনীর সাইটে তাদের প্রস্তুতকৃত ১৯৭১ সালের ইতিহাস পড়ছিলাম। পাক জানোয়ারেরা একাত্তরের গণহত্যাকে তাদের কোন তথ্য ভান্ডারে রাখবে না এটাই স্বাভাবিক। একাত্তর নিয়ে তাদের ইতিহাস নিষ্কলুষ রাখার চেষ্টা করা হবে তাতেও কোন সন্দেহ নেই।
আজকে পনেরোই ডিসেম্বর। গতকাল বুদ্ধিজীবি হত্যা দিবস, আগামিকাল বিজয় দিবস।
বাংলাদেশি ফেসবুক ইউজাররা ফেসবুককে রাঙিয়ে তুলছেন আমাদের পতাকার রঙে, লাল সবুজে। একসাথে এতোজনের এই চেষ্টাটা দেখতে পাওয়াটা খুব ভালোলাগা। সাধুবাদ এই সবাইকে।
কিন্তু আমি দুঃখিত। আমি পারছি না।
এখানে আরএখানে ১৯৭১ সালের বর্ষাকাল অব্দি পাকিস্তান ও ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে কিছু কথা বলেছি। এখানে শুরুতেই মুক্তিবাহিনী নিয়ে কিছু কথা বলা যাক।
ভারত ও পাকিস্তান – এই দুই দেশের নিয়মিত সামরিক বাহিনীর সিংহভাগ পদাতিক। বিমান বা নৌবাহিনীর গুরুত্ব বাড়ছে, কিন্তু সংখ্যার দিক থেকে পদাতিক বাহিনীই মূখ্য। ব্যাক্তি সৈনিকের পরে পদাতিক বাহিনীর ক্ষুদ্রতম একক ৪-৫ জনের একটি সশস্ত্র দল বা ‘ফায়ার-টিম’ দিয়ে গঠিত হয়। এর নেতৃত্বে একজন নন কমিশন্ড অফিসার (এন সি ও) অথবা অভিজ্ঞ সৈনিককে দেখা যায়। কয়েকটি ফায়ারটিম একসাথে হয়ে একজন বয়োজ্যেষ্ঠ এন সি ও’র অধিনে একটি স্কোয়াড
ব্যানারশিল্পীদের কাছ থেকে অপূর্ব সব ব্যানারে প্রতিদিন সজ্জিত থাকতে চায় সচলায়তন। সচলায়তনে যে কেউ ব্যানার পাঠাতে পারেন। টেক্সটে সচলায়তনের নাম আর শ্লোগান [চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির] রাখতে হবে ব্যানারে, তবে শ্লোগানটা ঐচ্ছিক, আবশ্যিক নয়। আকার ৯৬৫x১৫০ পিক্সেল। ফাইল সাইজ ৫০ থেকে ১০০ কিলোবাইটের মধ্যে। ইমেইল করে দিন banner এট সচলায়তন ডট com বা contact এট সচলায়তন ডট com।
[justify]গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ গওহর রিজভী সম্প্রতি The Daily Star এ "Tipaimukh: A plea for rational and scientific discussion" শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। তার এই নিবন্ধ দৈনিক প্রথম আলোতে "টিপাইমুখঃ যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক আলোচনার অনুরোধ" শিরোনামে বাংলায় অনূদিত হয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখেনা যে ডঃ রিজভীর এই নিবন্ধ তার সম্প্রতি ভারত সফরের অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা।উল্লেখ্য যে, টিপাইমুখ নিয়ে সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক আলোচনার নিমিত্তে ডঃ গওহর রিজভী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আরেক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান দিল্লী সফর করেন। সেখান থেকে ফিরে এসে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন যে, বরাক নদীর ওপর টিপাইমুখে বাঁধ হলেও তাতে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে না এবং তিনি মনে করেন যে টিপাইমুখে বাঁধের কারণে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে বলে যে কথাগুলো উঠেছে, তার সবই ভিত্তিহীন। বলতে দ্বিধা নেই ডঃ রিজভীর এই নিবন্ধ সেই সাংবাদিক সম্মেলনে তার মতামতেরই আনুষ্ঠানিক রূপ। এখানে বলে নেয়া ভাল যে তার এই নিবন্ধের অনেক অংশেই আমার দ্বিমত রয়েছে। শুধু তাই নয় তিনি এই নিবন্ধে পানিসম্পদ কৌশলগত দিক থেকে কিছু ভুল তথ্য দিয়েছেন। আমার এই নিবন্ধে তার লেখার কিছু অসংগতি এবং যেসব বিষয়ে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী মতামত রয়েছে তার ব্যবচ্ছেদ থাকবে।