বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায়
নবানি গৃহ্ণাতি নরোহপরাণি।
তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণান্য-
ন্যানি সংযাতি নবানি দেহী॥
‘এক ব্যক্তি পুরানো পোশাক ছেড়ে যেমন নতুন পোশাক পরে, অনুরূপভাবে আত্মাও তেমন পুরানো ও অকর্মণ্য দেহ ছেড়ে নতুন জড় দেহ গ্রহণ করে।’
- মাইনুল এইচ সিরাজী
দরজা খুলেই ভূত দেখার মতো চমকে উঠল রবিন। তার বিছানায় শুয়ে আছে একটা মেয়ে। আসলে পরি দেখার মতো চমকে উঠল রবিন। তার বিছানায় শুয়ে আছে একটা পরি।
ভারী আওয়াজ তুলে সাঁজোয়া গাড়ির বহরটা তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর দিকে আসছে, গাড়ির উপরে বসানো মেশিনগান আর সেনাদের বন্দুকের চকচকে বেয়নেটগুলো আলো-আঁধারীতে এক নারকীয় আবহ তৈরী করছে| নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের লাশের উপর দিয়ে ক্ষমতা কায়েম করার এক পৈশাচিক আনন্দে তখন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার চোখ হায়েনার মতো জ্বলন্ত| বাঙালি জাতিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দিতে বদ্ধ পরিকর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তাদের চূড়ান্ত পরি
পদ্মকোরকের মতো স্বাধীনতা
[i][=green]মুক্তশব্দ ঊত্তরীয়ে আবাহন শুনি
বাতাসে আলো এসে গভীর ক্ষতচিহ্ণ ভাঙে,
নীলাঁচল জড়ানো আকাশে সময়ের অকস্মাৎ
সকল আড়ম্বর থেমে আছে তোমাতে বিজয়-
সূর্য-ঊষ্ণ অরুণমুখ প্রশ্বাস-আশ
জমিন রঙ্গিন, গাঢ় সবুজ ছড়ানো স্রোত
উড়ছে পতাকা সমগ্র প্রান্তর কাঁপিয়ে-
ভাঙবে ক্ষুধা, অপলাপ, নির্যাতন স্তুপ।
হেঁটে হেঁটে যাবে পুরো পথ,
ঘুম পাড়ানিয়া গান আমাদের জন্য নয়,
বর্গী এলো দেশে বললেই আমরা ভয়ে
লুকোতাম গভীর ঘুমের আঁচলে। কেউ
গান বা গল্পে পাড়াবে ঘুম, অমন স্বপ্নের
প্রতিশ্রুতি ছিলোনা কখনো। শুধু প্রতি
ভোরে জেগে উঠে মনে হতো কি যেন
নেই… কি যেন নেই …কি যেন নেই…
তোমার নকশীকাঁথা করতল দেখে তাই
সাধ হলো কবে ফুরাবে সেই ভীত-নিদ্রার
দিন? কবে কপাল ছুঁয়ে যাবে আল্পনা
আঙুল, একটা পুরো সমুদ্র তার সবগুলো
[justify] [সাব্বির হত্যায় অভিযুক্তেরা পেয়েছে বেকসুর খালাস। সাব্বির কলেজে ছিলো আমাদের সাথেই। ওকে চিনতাম হুমায়ুন নামে, এর মানে সৌভাগ্যবান। ছেলেটা ছিলো বড্ড আবেগি আর খামখেয়ালি। এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বোধহয় বেশ বিরলই ছিলো, যা তাকে কোন নিয়মে বাঁধতে পেরেছে। আমাদের মতো ছক-বাঁধা, একঘেয়ে জীবন কাটাতে চায় নি আমাদের মহাবিদ্যালয় থেকে মেধাতালিকায় ঠাঁই পাওয়া ছেলেটা। আমার শহরে প্রথম সাইবার ক্যাফেটা ছিলো তারই। মৃদুভ
পাকিস্তানিদেরও লজ্জা আছে। এটা কি একটা খবর? মোটেও না। আজ সকালে পাক সেনাবাহিনীর সাইটে তাদের প্রস্তুতকৃত ১৯৭১ সালের ইতিহাস পড়ছিলাম। পাক জানোয়ারেরা একাত্তরের গণহত্যাকে তাদের কোন তথ্য ভান্ডারে রাখবে না এটাই স্বাভাবিক। একাত্তর নিয়ে তাদের ইতিহাস নিষ্কলুষ রাখার চেষ্টা করা হবে তাতেও কোন সন্দেহ নেই।
আজকে পনেরোই ডিসেম্বর। গতকাল বুদ্ধিজীবি হত্যা দিবস, আগামিকাল বিজয় দিবস।
বাংলাদেশি ফেসবুক ইউজাররা ফেসবুককে রাঙিয়ে তুলছেন আমাদের পতাকার রঙে, লাল সবুজে। একসাথে এতোজনের এই চেষ্টাটা দেখতে পাওয়াটা খুব ভালোলাগা। সাধুবাদ এই সবাইকে।
কিন্তু আমি দুঃখিত। আমি পারছি না।