শিহানের বয়স দুই বছর চার মাস পেরিয়ে গেছে। মুখে এখনো ঠিকমতো কথা ফোটেনি বলে ওর মা বিশেষ চিন্তিত। ওশিন দেড় বছর বয়সে এর চেয়ে স্পষ্ট কথা বলতো। আর এই বয়সে তো প্রচুর বকবক করে মাথা নষ্ট করে দিত। কিন্তু এই পুচকাটা পণ করেছে সে পারতপক্ষে কথা বলবে না। পুরো বাক্যের মধ্যে একটা শব্দ উচ্চারণ করবে, বাকীটা ইশারায় সেরে ফেলবে।
একবার ঠিক হলো পরদিন টিফিনে একটা খুচরো চড়ুইভাতির মতন ব্যাপার হবে, কে কে কী কী আনবে ঠিক করে নেওয়া হলো। আলুকাবলি বানানো হবে। সবাইই আনবে গোটা আলুসেদ্ধ, কেউ নিলো কুচানো পেঁয়াজ, ধনিয়াপাতাকুচি আর কাঁচালঙ্কার দায়িত্ব, কেউ ভিজানো ছোলা, কেউ চানাচুর, ঝুরিভাজা, পাপড়িচাট। আর অবশ্য করে একজনকে বলে দেওয়া হলো বড় ঢাকনাওলা খালি টিফিনবাক্স আনতে, সেটা না হলে হবে না। ওটার মধ্যেই সব মিলিয়ে আসল বস্তুটি বানানো হবে কিনা।
জামাতের সব টাকা মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসে - এই প্রচলিত মিথ এর দিন এখন আর নেই।
হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের এক রৌদ্রস্নাত সমুদ্রসৈকতে স্বর্ণকেশী সুন্দরীর কোলে মাথা রেখে শুয়েছিল জেমস। সামনে সুনীল সাগর, নীচে উষ্ণ বালুকা, লবণাক্ত তীব্র বায়ু মুখে এসে আছড়ে পড়ছে, আর কানের কাছে নীলনয়নার মিষ্টি কূজন। জেমস মনে মনে বলছিল, “হমীন অস্ত, ওয়া হমীন অস্ত, স্বর্গ যদি কোথাও থাকে তবে তা এখানেই।”
১. কৃষি
সম্প্রতি প্রথম আলোর “আলু চাষে টানা দুই বছরের লোকসানে শঙ্কিত কৃষক”১ এবং কালের কন্ঠের “হিমাগারের ৯ লাখ টন আলু নিয়ে বিপাকে জয়পুরহাটের কৃষক”২ শিরোনামের সংবাদ দু’টি পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল।
২০০৪-এর একুশে ফেব্রুয়ারি ডেইলি স্টারের "একুশে স্পেশাল' ক্রোড়পত্রে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। লেখাটির কিছু অংশের সঙ্গে আমি একমত। আমি যদি ঠিক বুঝে থাকি তাহলে লেখাটির মূলভাবের সঙ্গেও একমত। কিন্তু অনেকখানি জায়গায় আমার দ্বিমত রয়েছে। এতো পুরাতন একটি লেখার ব্যাপারে হঠাৎ করে এই সময়ে কথা বলার কারণ রয়েছে। সেই প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে যে ব্যাপারগুলোতে আমার বিশেষ দ্বিমত রয়েছে সেটা বলি।
জাফর ইকবাল স্যার একটা বিজ্ঞানের বই থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে একটি লাইনকে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে সেটার বঙ্গানুবাদ করার চেষ্টা করেছেন।রবার্ট রেজনিক এবং ডেভিড হ্যালিডের লেখা "ফিজিক্স' বইটি থেকে উদাহরণটি নেয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স সম্মান পড়ার সময় তিনি এই বইটি পড়েছেন।
বহুদিন নিস্তব্ধতায় কেটেছে তার নিয়নের রাতগুলি, মেঘের সকাল সমূহ। নিটোল পুকুরের কালো কৈ মাছের ডাঙ্গায় ভ্রমণের ছটফটানিতে তার সারা গোধূলী অস্থির হয়েছে অসংখ্যবার। এই সব অস্থিরতার আড়ালে বেঁচে থাকার আকুলতা কখনো কখনো ফিরে এসেছে, কখনো জীবন্মৃত্যুর জটিলতার ড্রয়ারে তালাবদ্ধ রাখতে হয়েছে সূর্যালোকের প্রেমপ্রার্থী অবান্তর ইচ্ছেগুলোকে। অন্ধকারে একটি উজ্জ্বল ঘরের জন্ম হয়েছে গোপনে গোপনে। কিছু কৌতুহলী ফুল ও তাদের সব