[justify](এই যাত্রায় আমার সাথে কোনও ক্যামেরা ছিলোনা। সঙ্গী বন্ধু ইমানুয়েলের একটা ধ্বজভঙ্গ ক্যানন ছিলো যাতে কিনা প্রায় চার্জার লাগিয়ে ছবি তুলতে হতো, ব্যাটারির এমন টেম্পারমেন্ট। তাই ফেরার পথে একটা নাইকন ৩০০০ ডিএসএলআর কিনে নিয়েছিলাম আমস্টার্ডামের শিপল এয়ারপোর্ট থেকে।)
লেখা পড়তে পোস্ট ঢুকুন।
নতুন ও পরিবর্তিত ফিচার
লগইন ডায়ালগ বক্সে বাংলা কাজ করে করবে না। মোবাইল থেকে লগইন করতে গেলে এই ফিচারটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আপনার ইংরেজী লগইন নাম ব্যবহার করে লগইন করুন। আপনার প্রোফাইল > সম্পাদনা পেইজ থেকে আপনার ইংরেজী লগইন নাম খুঁজে পেতে পারেন। এছাড়া আপনার নামের উপর মাউস নিয়ে গেলেও sachaclayatan.com\your_english_login_name দেখাবে। সেখান থেকে আপনার লগইন নাম দেখতে পাবেন।
সকাল থেকে বেশ কর্মব্যস্ততার মধ্যে কাটিয়ে বিকেল নাগাদ যখন বাড়ি ফিরি তখন পুরো শরীর জুড়ে এক ধরনের তিক্ত অবসাদ নেমে আসে। এ সময়টা না ভালো লাগে ঘুমিয়ে কাটাতে আর না ভালো লাগে চুপচাপ বসে থাকতে। তাই প্রতিদিনই এ সময়টায় বাইরে বেরিয়ে পড়ি। বাসার কিছুটা দূরেই ঢাকা টু নারায়ণগঞ্জ রেল পথ। রেল লাইন ধরে হাঁটার মজাটা পেয়েছিলাম সেই ছোটবেলায়। প্রতিদিন বিকেলে বাবার হাত ধরে এই রেল লাইন ধরে হাঁটতাম। অবশেষে এটি একটি অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। এখন যদিও বাবা নেই কিন্তু অভ্যাসটা ছাড়তে পারি নি। তবে কখনোই মনে হয় নি আমি একা হাঁটছি। সবসময় আমার পাশে বাবার উপস্থিতি টের পাই। মনে হয় বাবা আমার হাত ধরে পাশেই হাঁটছেন আর বলছেন, “ শিপু, এই যে লোহার পাত দেখছ এর উপর রেলের চাকা গড়িয়ে গড়িয়ে চলে। যদি কখনো এই পাত থেকে চাকা খানিকটা বিচ্যুত হয়ে যায় তবে আর রক্ষে নেই। মানুষের জীবনটাও ঠিক তেমনি। যেই পথে তোমার চলার কথা তা থেকে খানিকটা সড়ে দাঁড়ালেই ভারসাম্য হারাবে, কখনোই লক্ষে পৌঁছতে পারবে না। তোমার মা নেই, আমিও যে চিরদিন বেচে থাকবো তাও নয়। হয়তো একা একাই তোমাকে পথ চলতে হবে তাই সাবধানে পথ চলবে।” কে জানতো বাবার সেদিনের কথাটা এত শীঘ্রই ফলে যাবে। বাবা যে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত তা কখনোই জানতে পারিনি। তবে বাবাকে প্রায়ই বেশ চিন্তিত দেখতাম। হয়তো ভাবতেন নিজের অবর্তমানে এই বোকা ছেলেটা কী করবে? বিপদে কে পাশে এসে দাঁড়াবে? একদিন শরতের বিকেলে ঠিকই সকল ভাবনার অবসান ঘটিয়ে বাবা বিদায় নিলেন। আর আমি একূল ওকুল হারিয়ে মাঝ নদীতে হাবুডুবু খেতে লাগলাম। বাবার কথা ভাবতে ভাবতে চোখদুটো ভিজে উঠেছে।
সতর্কতা:
ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কার বা মুক্তচিন্তা বিষয়ে যাঁদের সংবেদনশীলতা রয়েছে,
তাঁদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।
…
সতর্কতা: ইতিহাসের চাইতে ব্যক্তিগত অনুভুতির কথাই এখানে বেশি।
আইখমানের সম্পর্কে আমি বিশেষ কিছু জানিনা। এই সময়ে কোনকিছু সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া অবশ্য কঠিন কিছু নয়। চাইলেই যে কোন কিছু অথবা যে কারো ইতিহাস জেনে ফেলা যায়। এমনকি হাজার মাইল দূরে থেকেও জেনে নেয়া যায় কার ছাদের টবে আজ কী ফুল ফুটেছে! আইখমানের সম্পর্কে আমি বেশি কিছু জানিনা কারণ আমি সেই চেষ্টা করিনি। জানার চেষ্টা করিনি আমি ভীতু বলে। নৃসংশতা, সে দীর্ঘ অতীতের হলেও আমার দেখতে/জানতে ভয় লাগে।
"ওই, তোরা আরেকটু পা চালায় আগা।"
"কুদ্দুস, তোর লাইগা সবতে বামে হাটতেছে, আরে আরে রহিম, করছ কি? চউক্ষের মাথা খাইছছ? আমাগরে মারবি নি তুই?"
"হ, ওস্তাদ, উপরে থাইকা এইসব কওন খুব সস্তা, এইদিকে আমগোর জানে পানি নাই।"
"হ, এম্নেই এত্তবড় একডা ওজইন্যা জিনিস লইসেন, তার উপর কই আমাদের লগে ধরবেন, তা না খালি উপ্রে থাইকা ফাল পারতাছেন।"
"বাপরে, তগো লাইগাই তো সব, এইডাও বুঝস না! আর উপরে তো কাউরে না কাউরে থাকন ই লাগব, নইলে আর এইটা লইয়া যাওন লাগত না তগো। "
"কেন বাকি লোকগুলারে লইয়া আইলে কি হইতো, খালি আমাগোর উপর দিয়া সবতে খাইব ক্যান?"
[justify]পিচ্চিবেলায় আমার বিকাল-সন্ধ্যা গড়াইত ক্রিকেট খেলিয়া। সুদূর মালয়-মুল্লুকে আকরাম-বুলবুল বাহিনীর বিজয়ের পর হইতে শুরু, এই খেলা যেন আমাদের হাফপ্যান্ট আর স্যান্ডোগেঞ্জি শোভিত শৈশব পুরাটাই দখল করিয়া লইয়াছিল। হাটে-বন্দরে, ঘরে-অন্দরে, প্রমাদে-প্রমোদে, প্রলয়ে-প্রহলাদে, সাজঘর কিম্বা শ্রেনীকক্ষে, আলস্যে কিম্বা দক্ষযজ্ঞে- প্রায় সর্বত্রই এই ক্রিকেটীয় আলোচনা, পর্যালোচনা আর শিশুতোষ সমালোচনায় সর্বক্ষন আচ্ছন্ন থাকিতাম। কিছুক্ষেত্রে এই ক্রিকেটপ্রীতি স্বাভাবিকতার সংজ্ঞা অতিক্রম করিয়া যাইত। কোন কোন কিশোর বোলিং চর্চা করিবার ছলে জোরসে পাথর ছুঁড়িয়া পাড়ার জেঠুমনির ঝাঁ-চকচকে চাঁদিখানি মনের অজান্তেই অব্যর্থভাবে
ছোট দুটো শয়তান, পা ছড়িয়ে বসে ছিলো, অন্ধকার ঘুপচি বারান্দাটার কোণে।
দুপুরবেলার রোদ, ঝাঁ ঝাঁ করছে ছাদ গুলোয়।
তবে, এ গলিটা ভালো। মাথায় মাথায় বাড়ি, কোনায় কোনায় পড়ে থাকা আবর্জনার ঢিবি। মুখ খোলা নালায় পাঁক খাচ্ছে অন্ধকার কালো কালো জল। রোদের ছায়াও নেই মুখোমুখি বারান্দা গুলোয়।
একটা শয়তান অলস আঙুলে একটা খয়েরি প্রজাপতির ডানা ছিড়ছিলো আস্তে ধীরে, প্রজাপতিটা কেঁপে কেঁপে উঠছিলো। শয়তানের ঠিক হুঁশ আছে, মরতে দেয় নি প্রজাপতিটাকে।
'ধুস্...'
বিরক্ত হয়ে শব্দ করে আরেকজন।
ডানা ছেড়া সাময়িক ভাবে বন্ধ করে তার দিকে তাকায় শয়তান। কি হলো?
কিছু হলে তো আর এ প্রশ্ন ওঠে না, ঝাঁঝের সাথে উত্তর করে অন্য শয়তান।
সময়ের প্রধান কবিদের একজন কবি বেলাল চৌধুরী। কবিতায় মাত করে রেখেছেন
এপার ওপার। কবিতার সাথেই যার ঘর সংসার। আপন আলোয় সাহিত্যাঙ্গন
সমুজ্জল করে রাখছেন দীর্ঘদিন ধরে। কবিতার বরপুত্র বেলাল চৌধুরীর সাথে
দৈনিক ফেনীর সময়’র পক্ষে রাশেদুল হাসান সম্প্রতি ঢাকায় তার নিজ
বাসভবনে সাহিত্যে নানা দিক নিয়ে আলাপরিচারিতায় মেতে ওঠেন। বাংলা
সাহিত্যের এ বরপুত্রের সাথে আলাপে কবিতাসহ সাহিত্যের নানা দিক
উঠে আসে। তারই আলাপচারীতার চুম্বক অংশ পত্রস্থ করা হল।