সালেক খোকন
সূর্য ওঠার সাথে সাথেই তিন বন্ধু তৈরী হয়ে নেই। অরণ্য তখনও বিছানায়। ছেঁড়াদ্বীপে যাওয়ার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই তার। সবাই অরণ্যের ওপর মহাবিরক্ত হয়। সেন্টমার্টিনস এসেছি অথচ ছেড়াদ্বীপ যাব না! তাই কি হয়।
ছেঁড়াদ্বীপ নিয়ে কত কথাই না শুনে এসেছি। সেন্টমার্টিনসের আসল সৌন্দর্য নাকি সেখানেই। বড় বড় জল প্রবালের রাজ্য সেটি। আছে জীবিত ও মৃত প্রবাল। বড় বড় প্রবালের পরতে পরতেই সৌন্দর্য লুকানো। নীল আকাশের নিচে নীল সাগরের মাতামাতি। দূর প্রান্তর থেকে সাগরের নীলাভ ঢেউ নাকি আছরে পড়ে দুধ রঙ হয়ে। আরও কত কি! অরণ্যকে কটেজে রেখেই আমরা বেড়িয়ে পড়ি।
আদিগন্ত বিস্তৃত স্বপ্নীল মাঠের ওপারে
স্বপ্নঘুড়ি গোত্তা খেয়ে আছে পড়ে
অসহায় বালক শুধু দাঁড়িয়ে থাকে এপারে
দৃপ্ত হাতে টানে তার ঘর্মাক্ত লাটাই
পড়ন্ত বিকেলে কোনো এক ভিন্ন পরিবেশে।
ইতি উতি আলোকবাজি, কীসের আমোদ প্রমোদ।
জানিনাতো। আমার বিমর্ষ ঘুনপোকারা জানে
হয়তো ছিলাম
ছিলোনা জং পোড়া ঝরাপাতার মিছিল
একটু একটু করে রানী সাদা ঘাঘরায়
নিমীলিত চোখের চোরাবালিতে
[justify]
১.
প্রথম আলোতে "মেহেরজান" চলচ্চিত্রের পরিচালিকা রুবাইয়াত হোসেন একটি আর্টিকেল লিখেছেন, "মেহেরজান যা বলতে চেয়েছে" শিরোনামে। আমি মেহেরজান চলচ্চিত্রটি দেখার সুযোগ পাইনি, কিন্তু রুবাইয়াতের আর্টিকেলের পিচ্ছিল দিকগুলো পড়ে সেগুলো নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই।
রুবাইয়াত লিখেছেন,
স্কুল জীবন থেকে রেডিও শোনার ব্যাপক শখ আমার। রেডিও’র নানান অনুষ্ঠানে চিঠি লিখতাম, নাম শোনার অপেক্ষা করতাম। এসব স্মৃতি নিয়ে লেখার ইচ্ছেটা এখনো আছে, লিখবো আগামীতে। কৈশোরের সে সময়ে রেডিও বাংলাদেশ ঢাকা-খ চ্যানেলে দুপুর একটার ইংরেজী সংবাদের পরে থাকতো ‘নিখোঁজ সংবাদ’। হারিয়ে যাওয়া মানুষের সন্ধান বিজ্ঞপ্তি। ধীর উচ্চারণে জানানো হতো – কে কখন হারিয়ে গেছে, বয়স কতো, হারিয়ে যাওয়ার সময় গায়ে কী রকম পোশাক ছিল, কোন ভাষায় কথা বলে; এসব। বেশিরভাগের বয়স ছিল দশের নিচে। আম্মা আমাদের বলতেন, এদেরকে ছেলে-ধরা নিয়ে গেছে।
হয়তো ভয় দেখাতে বলতেন, যাতে খেলতে গেলে সাবধানে থাকি, চকলেট দেখিয়ে ডাকলে কারো সঙ্গে কোথাও না যাই...।
কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতার সুবাদে আমি দেখেছি অনেক আর্টিস্ট বা গ্রাফিক ডিজাইনার আছেন যারা অ্যাডোবের নতুন কোনো ভার্সন বের হলে সেটি ইউজ করতে বিভিন্ন কারণে দ্বিধান্বিত থাকেন (কম্পিউটারের পারফর্মেন্সের ব্যপারটি বাদ দিয়ে)। আজকে থেকে প্রতি দিন আমি ৫টি করে মোট ৫ দিনে ২৫ টি ফটোশপ সিএস৫ এর টিপস নিয়ে আলোচনা করব আপনাদের সাথে। নতুনদের কাজে তো লাগবেই সেই সাথে নতুন ভার্সন নিয়ে যারা আশঙ্কিত তারা আশা করি নতুন ভার্সন ব্যবহার করার লোভে পড়ে যাবেন
সংস্কৃত না পালি—ভারতের সবচেয়ে পুরোনো ভাষা কোনটি তা নিয়ে সুদীর্ঘকাল ধরেই বিতর্ক চলেছে। তবে সে বিতর্ককে পাশ কাটিয়েও বলা যায়, সংস্কৃত গ্রিকের চেয়ে বেশি নিখুঁত, ল্যাটিনের চেয়ে বেশি গভীর, এবং এ দুটো ভাষার তুলনায় অনেক বেশি নিপুণতার সাথে সংস্কারকৃত, যদিও তাদের উভয়ের সাথেই সংস্কৃতের যথেষ্ট পরিমাণে সাদৃশ্য রয়েছে। ক্রিয়াপদের মূল এবং ব্যাকরণগত গঠনপ্রণালীর দিক থেকে এ তিনটি ভাষায় এত বেশি মিল যে, ভাষাগুলোর উৎপত্তি যে একই উৎসমূল থেকে হয়েছে সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশই নেই। সেই অজ্ঞাত মূল সূত্রটি অবশ্য চিরতরে কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে।
[justify]সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া মেহেরজান ছবিটিকে পরিচয় করানো হচ্ছে পুরুষতন্ত্রের একক ক্ষমতায়ন আখ্যানের বাইরে গিয়ে নারীত্বের আবেগ ও অনুভুতির বহুবিচিত্র সংবেদনশীলতা কে এগিয়ে নেয়ার প্রয়াস হিসেবে। এই ছবি বানানোর অনুপ্রেরণা হিসেবে ছবির পরিচালক বলেছেন, "I did my Masters in South Asian Studies at University of Pennsylvania and the topic of my thesis was 'rape of women,' particularly the Birangonas of 1971
.........
জ্বলন্ত-পাবক-শিখা-লোভে পতঙ্গ যে রঙ্গে ধায়,
ধাইতে চাইলি, অবোধ, হায়
জিজ্ঞাসিলি না
কী ফল লভিল, নিগড় গড়ি পরিল যারা চরণে সাধে
উড়িয়া পড়িল ফাঁদে ...
... বিবাহ সম্বন্ধে খ্রীস্ট-পরবর্তী একবিংশ শতকের বিখ্যাত এক কবির অমর চারটি লাইন।
২০০৮ সালের কোন এক সময়...
[justify]ভোরসকাল থেকেই বুকটা দুরুদুরু করছে ফাহাদের। কী হবে আজ কে জানে? কাল সারারাত ঘুম হয়নি ঠিকমত। একটু পরপর ঘুম ভেঙ্গে যাচ্ছিল,আর সে খোদার কাছে চুপিচুপি প্রার্থনা করছিল যেন আজকের দিনটা আজকেই না হয়ে আর কিছুদিন পর হয়। ততদিনে একটু বড় হলে তার অনেক সাহস গজিয়ে যাবে। তখন আর ভয় লাগবে না। আম্মু বলেছে বড় হওয়ার সাথে সাথে ভয়ও শিশু বা বালক টাইপের ছেলেদের ভয় পেতে থাকে। তখন তাদের ছেড়ে চলে যায় ভয়। কিন্তু প্রায় সাড়ে চার বছর হতে চলল। এখনও ফাহাদের অনেক ভয়। তার ধারণা, ভয় পালানোর মত যথেষ্ট বয়স তার হয়নি। আর এজন্যেই তার চরম ভয়ভয় করছে। আব্বু কিংবা চাচারাও নাকি ছোট থাকতে এমনটি করিয়েছেন, তাঁরা নাকি বিন্দুমাত্র ভয় পাননি এমনটি করার সময়। আব্বু কখনো মিথ্যা বলেননা ফাহাদ জানে। কিন্তু কথাটা তার বিশ্বাস হয়নি। হয়ত তাকে সাহস যোগাতেই ধাপ্পা মেরেছেন আব্বুও। সে অবশ্য আরও দুই ধরনের আর্জি জানিয়েছিল রাতে খোদার কাছে। এক, তার সাহস বাড়িয়ে দেয়া হোক এই রাতেই। অথবা দুই, তার বয়স বাড়িয়ে দেয়া হোক এই রাতেই।