সুন্দরবন টিকবে না বেশিদিন। মানুষের হাতে-মুখে বেড়ে চলা গজদন্ত ঠেকাতে না পারলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে সুন্দরবন। প্রায় এরকম একটা বক্তব্য শুনতে শুনতে সুন্দরবনে একদল দেশি বিদেশি পরিবেশবাদীর সফরসঙ্গী হয় ফটোগ্রাফার নয়ন। তার কাজ পুরো ভ্রমণের ছবি তোলা
চাঁদনি পসর রাইত
[justify]পাস করার পরে আমি কিন্তু ভালোমতোই চাকরির চেষ্টা করি। কিন্তু হয় নাই। সব বিজ্ঞাপনে দুই চার পাঁচ কিংবা দশ বছরের অভিজ্ঞতা নামের বালফালানি শব্দপুঞ্জ থাকে বলে অনেক জায়গায় দরখাস্ত করতে পারিনি। ফ্রেশারদের জন্য বাজার ছোটো। এক ব্যাংকে ট্রেইনি হিসেবে মাস চারেক কাজ করি। পরে সেটা আর পার্মানেন্ট হতে হতেও হয় না। তারপর আবার বেকার। পকেট খরচ চালাতে ট্যুইশনি। বড় ভাই একদিন জানায় সে শেয়ারবাজারে কিছু টাকা খাটিয়েছে। তার ত্রিশ হাজার টাকা এখন বেড়ে এক লাখ। ব্যাংকে থাকা হাজার বিশেক টাকা বড় ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে কিছু লাভ কিছু লোকসান করতে করতে টাকা কিছু কিছু বাড়তে থাকে। পরে নিজের একটা বিও অ্যাকাউন্ট করে কিছু ক
[justify] হুগলী নদীর তীর ঘেঁষে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর নির্মান করা ব্রিটিশ ভারতের সবচেয়ে পূরাতন ও প্রধান বন্দর কলকাতা। ষাটের দশকে নদী থেকে বয়ে আসা বিপুল পলি বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধা সৃষ্টি করায় তার প্রতিকারে ভারত সরকার একটি প্রকল্প হাতে নেয় ১৯৫১ সালে, যাতে গঙ্গা নদীতে ব্যারেজ নির্মান করে একটি বিকল্প খাল দিয়ে গঙ্গার পানিকে হুগলী নদীতে প্রবাহিত করে বন্দরের সঞ্চিত পলিকে স্থানচ্যুত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। সেই পরিকল্পনা পরিশেষে বাস্তবায়িত হয় ১৯৭৪-৭৫ সালে ‘ফারাক্কা ব্যারেজ’ নামে। ১৯৫১ সালে ফারাক্কা ব্যারেজের পরিকল্পনা প্রকাশের পর থেকে শুরু হওয়া বিতর্ক, আলোচনা ও সংঘাতের অবসান ঘটে ১৯৯৬ সালে গ
ধৈবত
নিন্মোক্ত গল্প, প্রকল্প, চরিত্রগত চিত্রকল্প, সমস্তকিছুই কল্পনাধিক কল্পনা। মন্দবাস্তবের সাথে এর কোনরুপ সন্ধি-সম্বন্ধ অনুসন্ধানের অন্ধ অনুসন্ধিৎসা- প্রয়োজনীয় প্রতিটি প্রহরের প্রভূত প্রণাশন মাত্র
[justify]
“এই ছেলে....দাঁড়া......দাঁড়া বলছি” কেমন একটা ক্ষেপাটে স্বরে ত্বরিৎ শব্দচয়নে বললেন তিনি।
ছেলেটা ডানে-বামে, এদিক ওদিক তাকালো। হয়তো তার ভুল হয়ে থাকতে পারে। হয়তো তিনি অন্য কাউকে ইংগিত করেছেন।
(Ralph Pomeroy রচিত 'Corner' এর ছায়া অবলম্বনে)
পুলিশটা বসে আছে ওই ওখানে
টান টান সতর্কতা তার মুখের ভাঁজে
জমে উঠে দুধের সরের মতো
একটু হেলে ধরে রেখে তার মোটরসাইকেলটাকে
সে বসে আছে সিটের উপর
মিছেই রেখেছে ধরে আয়েশী ভাব
ক্যামন রেখেছে ভর এক ঠ্যাংযে নিত্যসঙ্গী বাইকের আর নিজের
শিকারী ধনেশ যেন
বেহুদা ঘুরছি কেন?
গত কয়েকদিন ধরে দুপুর বেলা বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। আমাদের দেশের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা রাস্তাঘাট অবরোধ করছেন, ইচ্ছেমতো গাড়ি ভাংচুর করছেন। দুপুর বেলা তাই এই রাজধানী শহরে লোক চলাচল কমে গেছে। আগামী রবিবার সিলেটবাসী হরতাল ডেকেছেন, দেশে যে কেউ হরতাল ডাকলেই সেটা পালিত হয় সুতরাং নিশ্চিত বলা যায় এই হরতালও পালিত হবে, হরতালের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে এমনকি সারাদেশে একটি হরতাল আহ্বান করা হলেও আশ্চর্যের কিছু থাকবে না।
বিরোধী দল বিএনপি ইতিমধ্যেই শেয়ার বাজারের ধ্বসকে পূঁজি করতে শুরু করেছে।
সাড়ে পাঁচটার দিকে শুনলাম আশেপাশের কিউব থেকে লোকে বলতেছে, সারছে রে সারছে, গ্রিডলক। বাইরে তাকায় দেখি ফাটায়ে স্নো পড়তেছে। আকাশ দেবী মনে হয় পুরা কাপড় খুইল্যা ছাড়তেছে।
সকালে বিরাট দেরী হইছিল অফিস যাইতে। এমনিতেও তাই ৭টার আগে বাইর হওয়া যাবে না। সুতরাং গ্রিডলক ছুটুক। তারপর বাড়ি যাবো। এই লক্ষ্যে কাম করতে করতে খিয়াল কইরা দেখলাম লোকে গ্রিডলকের তোয়াক্কা না কইরা ছুটছে। আর কিছুক্ষণ থাকলে আমি পার্কিংলট থেইকা বাইর হইতে পারুম কিনা কেডা জানে?
অনেকদিনের অনেক পুরানো সব লেখা, হলদে হয়ে গেছে খাতার পাতাগুলো, কেমন যেন জীর্ণও হয়ে গেছে। কোণাগুলো ভেঙে ভেঙে গেছে, কাগজের গুঁড়ো জমা হয়েছে মধ্যের ভাঁজে ভাঁজে। ইচ্ছে করে হাত দিয়ে ছুঁতে, খুব সাবধানে হাত রাখি, হাত বোলাই। পাছে আরো ভেঙে ঝুরো ঝুরো হয়ে যায়, তাই এই সাবধানতা।
যে দিন গেছে চলে---। জীর্ণপাতার ওই খাতার মধ্যে রয়ে গেছে তার পায়ের চিহ্ন, ধানগন্ধী হেমন্তবেলা মরিচগন্ধের গ্রীষ্মদুপুর, ইলিশগন্ধী বৃষ্টিবেলা ..... সবার চলে যাবার শব্দ রয়ে গেছে।
বছর আষ্টেক আগের ঘটনা। ঘটনাস্থল বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও এক বিভাগের প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণীর ক্লাস রুম। ছাত্র ছাত্রীরা অধির আগ্রহে বসে আছে, যথা সময়ে বিভাগের প্রবিণতম শিক্ষকদের মধ্যে একজন, হাতে লেকচারশিট ও হাজিরা বই নিয়ে ক্লাসে উপস্থিত হলেন। ছাত্র ছাত্রীরা তটস্থ হয়ে দাড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন পূর্বক অপেক্ষা করতে লাগল কখন শিক্ষক মহাশয় তাদেরকে বসতে বলেন সেই জন্য। মহাশয় তার টেবিলে বসলেন এবং হাজিরা বই খুলে একে একে নাম ডাকা শুরু করে দিলেন। ক্লাসের ছাত্র/ছাত্রী সংখ্যা খুব বেশি না ২৫/৩০ জন মাত্র, কাজেই নাম ডাকতে বেশি সময় লাগার কথা না।কিন্তু উনার আবার নিজস্ব স্টাইল ছিল নাম ডাকার। উনি শুধু নামই