[justify]তোমাদের এই শহরে একদা একটি রাস্তার পাশে একটি নাম না জানা বৃক্ষ ছিল। ইঠ-কাঠ-বালিতে ঠাসা এই শহরে রাস্তার পাশে বৃক্ষ থাকা নিতান্তই বেমানান। বৃক্ষ থাকবে না, থাকবে শুধু কিছু কান্ডহীন পাতাবাহারের সমাহার। তাও থাকবে রাস্তার মাঝখানের ডিভাইডার কিংবা আইল্যান্ডে। অন্য কোথাও থাকার সুযোগে নেই। মানুষ সভ্যতার সবটুকু আবর্জনা নিজে শোষণ করে না কখনও। ফেলে যায় সেসব পাতার উপর জমে থাকা ধূলোর আস্তরণে প্রতিদিন। সময়ের ঘূর্ণিচক্রে তা মাটিতে মিশে যায়, হয়ত ফাল্গুনের শুরুতে কিংবা বর্ষার শেষে। এ শহরের পৃষ্ঠদেশ পুরোটাই প্রায় কংক্রিটের বর্মে আচ্ছাদিত। এ শহরের মাটিকে মানুষ সূর্যালোকের স্পর্শ দেয়না। সে পায়না কোনো বৃষ্টির স্নিগ্ধতা, বাতাসের ঘ্রাণ, বৃক্ষের শিকড়ের বাহুডোর, ফুলের পবিত্রতার ছোঁয়া। মাটির অপেক্ষায় অভাবে আস্তে আস্তে সেগুলো পচে গলে গলে গড়িয়ে যায় নর্দমার ঢাল বেয়ে, মানুষের উচ্ছিষ্টের সাথে। নর্দমাগুলো সে উদ্দেশ্যেই তৈরি।
কাঠ মধু মাছের উৎস আর বাঘের আস্তানার বাইরে সুন্দরবনকে নিয়ে আমাদের ভাবনা কতদিনের? ৭২ সাল পর্যন্ত বাঘকে আমরা জানতাম উপদ্রব; শিকার করলে পুরস্কার মিলত। হরিণ ছিল মৃগয়ার উপকরণ। তার বাইরে সুন্দরবনের বাকিটা ছিল মৌয়াল বাউলি কিংবা বনবিভাগের কর্মীদের নৈমিত্তিক পানসে জীবন...
[justify]
হুজুর হুজুর, চানাচুর
হুজুরের পোলায় পড়া-চুর
হুজুর গেলে ফতুল্লায়
হুজুরের বউ ঢোল বাজায়
[justify]তোমার মৃত্যুতে পৃথিবীর তিনভাগ জল হয়ে গেছে অশ্রু, রাজপথ হয়েছে সাহসী মিছিল। অদ্ভুত সুন্দর এই বাক্যটির রচয়িতা মোজাম্মেল বাবু। বাবু বুয়েটে পড়ত, কবিতা লিখত, রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলো। সেসময় রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো না তেমন কোন ছাত্র আছে কি? “হঠাও এরশাদ বাঁচাও দেশ” শ্লোগান দেয়নি তেমন কুলাঙ্গার কাউকে খুঁজে বের করাটাই মুশকিল সে সময়য়ের জন্য। আমাকে যারা চেনে তারা নিশ্চয়ই আমার এই “কুলাঙ্গার” শব্দচয়নে একটু ভুরু কুঁচকাবেন। আসলে সেটা একটা সময় ছিলো আমাদের জন্য, নিজে বাঁচার আর আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের স্বার্থ সংরক্ষণের লড়াইয়ে যারা অংশ নেয়নি তাদের জোর গলায় কুলাঙ্গার বলাতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করব না আমি।
ক্রিকেট বিশ্বকাপের ওয়ার্মআপ ম্যাচগুলো সম্প্রচার করার ব্যাপারে আইসিসি'র নেয়া একটা প্যাথেটিক সিদ্ধান্ত দেখা গেলো। কেবলমাত্র ভারতের ওয়ার্মআপ ম্যাচগুলোই সম্প্রচার করা হবে। আর বাকি খেলাগুলো ফি-সাবিলিল্লাহ। দেখালে সবগুলোই দেখানো হোক, না দেখালে একটাও বা দেখানোর কি দরকার? আর এটা কোন ধরণের ছাগলামী, যেখানে বাংলাদেশ হোস্ট হয়েও নিজেদের ওয়ার্মআপ ম্যাচ সম্প্রচার করার অনুমতি পায় না!
[justify]
ইলিয়াস ও বিপ্লবী
১.
কতই বা বয়েস, এর চেয়ে ঢের বুড়ো খেলোয়াড়ারদের(এই মুহুর্তে চট করে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের রায়ান গিগসের নামটাই মাথায় আসল) মাঠ দাপিয়ে বেড়ানোর এন্তার রেকর্ড আছে। তবে দীর্ঘদিন বিষফোঁড়া হয়ে থাকা ইনজুরির সাথে শেষমেশ হার মানতে বাধ্য হলেন তিনি। মাত্র চৌত্রিশ বয়েসেই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, ঢের হয়েছে, এইবার বুটজোড়া তুলে না রাখলেই নয়। আর কখনো ফুটবল মাঠে ডিফেন্ডারদের তুর্কি নাচন নাচাবেননা তিনি। আদিওস...রোনালদো লুইস নাজারিও দে লিমা, আমাদের প্রজন্মের সবচেয়ে দুর্দান্ত স্ট্রাইকারটিকে আর কখনো মাঠে দেখা যাবেনা।