ঢাকায় বসে একজন যদি বলে, সে জিয়ারত করতে যাচ্ছে, সবাই ভাববে, সে আজিমপুরে যাবে, কিংবা বনানীতে অথবা বুদ্ধিজীবী গোরস্তানে। আমাদের যুবক তেমনটাই ভাবল, যখন জেদ্দায় তার মিসরীয় সহকর্মী জানাল যে সে স্ত্রী জিয়ারতে যাচ্ছে কাল। আর চোখে মুখে একটা সহানুভূতির ভাব ফুটিয়ে প্রায় বলেই ফেলতে যাচ্ছিল, আই অ্যাম ভেরী সরি টু নো দ্যাট……। কিন্তু একটু থতমত খেয়ে গেল সহকর্মীর আকর্ণবিস্তৃত একখান হাসি আর সর্বোপরি আনন্দোচ্ছ্বল মু
[justify]আঁধারের পরে যে অন্ধকারে নিয়ে যায় আপনাকে
ক্রমাগত ক্ষয়ে যাওয়া অতীত, চেতনার মুখ
পূর্বাশার আলোতে ধরা পড়ে ছায়ার নিদারুণ আকুতি
কখনওবা উপেক্ষায় প্রাপ্তির সবটুকু সুখ।
নির্বিকার পদচিহ্নে ক্রমশ অস্পষ্ট হয়ে যেতে থাকে
ধুঁকে ধুঁকে এগিয়ে আসা গন্তব্য,
অনুভূতিতে আঁকড়ে থাকে হারানোর ইতিহাস
আর শূণ্যতার স্বরচিত মৃতকাব্য।
মেরীকে আমার মনে পড়ে। হঠাৎ হঠাৎ মনে পড়ে। নিরুত্তাপ সকালে সদ্য-জেগে-ওঠা রাস্তায় পা রাখার পর, অথবা অফিসে এক সেকেন্ডও বিশ্রাম না নিয়ে একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করে যাওয়ার সময়গুলিতে, অথবা সন্ধ্যায় চায়ের পানি যখন টগবগ করে ফুটতে থাকে গ্যাসের চুলায় আর আমি চা-পাতা হাতে প্রস্তুত যখন - সেই সময়ে, অথবা রাতে ঘুমানোর আগে যখন লাইট নিবিয়ে দেবো ঠিক সেই মুহূর্তে কোনও পূর্বাপর কারণ ছাড়াই মেরীকে আমার মনে পড়ে।
সিলেটের ভারুয়ারা জানে ভারের ব্যালেন্স। দাঁড়িয়ে কথাবার্তা বলতে হলে তারা দুপাশে ওজন সমান করে কাঁধ ঠেকায় বাঙের মধ্যখানে। সমতলে হাঁটার সময় তারা বাঙের সামনের দিক ছোট রেখে পেছনে বাড়তি ওজনের সাথে ভারসাম্য করে হাঁটার গতির। আর পাহাড়ে উঠা কিংবা ঢালু বেয়ে নামার সময় তারা দুই কাঁধে বাঙ নিয়ে আড়াআড়ি আগায়...
ঘড়িতে ঘণ্টার কাঁটা প্রায় নয়টা ছুঁই ছুঁই। বাস আসতেও দেরী করছে। অফিসে ঢুকেই বসের গোমড়া মুখ দেখার সম্ভাবনা রশ্মিকে বিন্দুমাত্র ভাবালো না। বাসে করে আসা যাওয়ার এই সময়টুকু তার সবচেয়ে প্রিয়। সারাদিনের মধ্যে শুধু এতটুকু সময়ই তার একান্ত আপন। এই সময় তাকে নিয়ে বাবা-মার হা পিত্যেশ শুনতে হয়না, বসের থেকে কাজের তাড়া খেতে হয়না, বাজার করা, রান্না করা, কোন কিছু নিয়েই মাথা ঘামায় না রশ্মি। প্রতিদিনের ব্যস্ততা, দুশ্চিন্তাকে ফাঁকি দিয়ে নিজের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর জন্য এই মুহুর্তটাকে সবকিছুর থেকে আলাদা করে তুলে রেখেছে সে। রশ্মির নিজের একটা কুটির আছে। কোন এক পাহাড়ের চূড়ায়। কাঠের তৈরি ছোট্ট একটা নীড়। বারান্দায় বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করে দেওয়া যায়। বিস্তীর্ণ আকাশ, সবুজে ঘেরা পাহাড়, চারদিকে নীরবতা, শুধু পাখির কিচির মিচির শব্দ।
(এই বিষয় নিয়ে যখন লেখা শুরু করি তখনও সচলায়তনে এই বিষয়ে কোন পোস্ট পড়েনি, অথচ এখন পোস্ট করতে এসে দেখি এরই মধ্যে এই বিষয়ে দু'দুটি পোস্ট হয়ে গিয়েছে। তারপরও নিজের লেখাটি প্রকাশ না করার লোভ সামলাতে পারলামনা। কারো বিরক্তির উদ্রেক করে থাকলে আগেভাগেই ক্ষমা চাচ্ছি।)
আমাদের নদী মরে গেছে সেই কবে
দোলে না সেখানে রূপালি ঢেউয়ের ঝাঁক
জারি-ভাটিয়ালি হারিয়েছে আজ সব
বুক জুড়ে শুধু দখলের মচ্ছব
বর্জ্যের বিষে ভরে গেছে প্রতি বাঁক।
এই তো সেদিন বুক ভরা ছিল জলে,
মাছরাঙা আর সোনালি চিলের দলে।
এখন সেখানে ড্রেজারের ঘড় ঘড়
ধু ধু বালিয়াড়ি—নিষ্ফলা মরা চর
শুনেছি এখানে নতুন শহর হবে।
আমাদের ছিল কাব্যের সুপ্রভাত—
ঝিঁ ঝিঁ ডাকা সাঁঝ, মধুচন্দ্রিমা রাত
প্রকাশক জর্জ পাটনাম একজন বৈমানিকের আটলান্টিক অতিক্রমের অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা বই প্রকাশ করবেন। যেহেতু সমস্ত পৃথিবীর মনোযোগ থাকবে তার দিকে, তাই তাকে হতে হবে আকর্ষনীয় একজন মহিলা, এবং অবশ্যই বৈমানিক। চ্যালেঞ্জ লুফে নেয় অ্যামেলিয়া। কিন্তু বাঁধ সাধে অতীত ইতিহাস, ইতোমধ্যে আটলান্টিক পাড়ি দিতে গিয়ে প্রান হারায় তিন জন মহিলা বৈমানিক। তাই অভিযানে সে স্বয়ং চালকের আসনটি পাবেনা, অভিযানের দায়িত্ব দক্ষ চালক বিল ও
৮ই জানুয়ারি,২০১০। মিরপুর স্টেডিয়ামে ভারতের সাথে বাংলাদেশের দিবারাত্রির খেলা। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন সাকিব। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিরুদ্ধে সেটা হঠকারিতা কিনা সেটা নিয়েও জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে গেল। অবশ্য প্রথম ভাগে সাকিবের সিদ্ধান্ত প্রশ্নের সম্মুখীন হলনা। বাংলাদেশ ২৯৬ রানের একটা "ফাইটিং" (ভারতের দুর্দান্ত লাইনআপের কথা মাথায় রাখলে উইনিং না বলে ফাইটিং বলাটাই সমীচীন ) স্কোরও