আমার কওমী মাদ্রাসায় পড়ার অভিজ্ঞতা আপনাদের শোনাই। এইটা অবশ্য অনেক আগের কথা। কওমী মাদ্রাসায় ক'দিন পড়েই সেখানকার পাট চুকিয়ে ফেরত আসি স্কুলে। তখন অনেক ছোট ছিলাম বলে সবকিছু বুঝতে শিখিনি। কিন্তু এখন মনে হয় এইটা খুব মূল্যবান একটা অভিজ্ঞতা ছিল, যা আমাকে সমাজের একটা অংশকে ভালোভাবে চিনতে শিখিয়েছে। আমি তাদের দিকে তাকিয়ে জঙ্গী বা অর্ধশিক্ষিত মানুষ না, কিছু অসহায়, নিগৃহীত মানুষকে দেখি।
[justify]
টাকাটা ভীষণ ময়লা। লোকটাও। আপাদমস্তক নোংরা একটা লোক ততোধিক নোংরা একটা নোট বাড়িয়ে দিচ্ছে তাকাতেও গা ঘিনঘিন করছে। টাকাটা নোংরা হলেও মূল্য তার নতুন নোটের মতোই। জমিরুদ্দিনের মাথায় ব্যাপারটা গোলমেলে ঠেকে। মানুষ নোংরা হলে তাকে আমরা ঘরের ত্রিসীমানায় ঢুকতে দেই না, আর ময়লা টাকা অবাধে বুক পকেটে নিয়ে ঘুরি। মানুষ আর টাকা দুটোর মধ্যে টাকারই জিত। যদিচ টাকা মানুষের সৃষ্টি, কিন্তু সৃস্টিকর্তার চেয়ে সৃষ্টির মূল্য ব
১) গত মঙ্গলবার রাতে গ্রামীণফোনের মার্কেটিং শাখা কমিউনিকেশন ডিভিশন থেকে রিফাত এবং আমি জরুরী ফোন পাই। গ্রামীণফোন ফেসবুক থেকে একটা এন্ডোর্সমেন্ট চেয়েছিল, সেটা পেতে যাচ্ছে এবং তার প্রেক্ষিতে ফেসবুক বাংলা লোকালাইজেশনের কাজ বড় আকারে করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের ভূমিকা কী জানতে চাইলে বলা হয়, এখানে অভ্র ব্যবহার করলে আমাদের আপত্তি বা কোন ধরনের দাবী আছে কিনা সে নিয়ে ছোট একটা মিটিং-এ বসত
ফেব্রুয়ারি বিপ্লব আমাদের জাতীয় মুক্তি ও সংগ্রামের পথে ছিল ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মত । এ ঐতিহাসিক ঘটনার ফলাফল আমাদের স্বাধীনতা। দেশ ভাগের পর মাত্র ৫ বছরের মাথায় কেন এই গন বিস্ফোরণ, কোন চেতনায় তারা মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল অন্যায়-অত্যাচার-শোষণ-আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তা কখনই নতুন প্রজন্মের সামনে সঠিক ভাবে উপস্থাপন করা হয় নাই। এ প্রজন্মের বেশির ভাগ অংশ শুধু এইটুকুনই জানে এটি একটি গুরুত্বপুর্ন দিন, যে দিন কিছু
ঘড়িতে বাজে নয়টা নয়। সকাল। একটু আগে মশাড়ির ভেতর থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বের হয়ে হাঁটু মুড়ে বসেছি একটা কাঠের চেয়ারে। সামনে খোলা ল্যাপটপ। লিখতে হবে কিছু-মিছু। শেষ রাতের দিকে যে মশকীরা আমাকে রীতিমত চ্যাংদোলা করে উড়িয়ে নিয়েছিলো মশাড়ির ভিতরে তারা এখন বাড়ি ফিরেছে। অলস ভঙ্গিতে ডিমে তা দিচ্ছে মনে হয়। কাঠের চেয়ারটা মাঝে মাঝেই বাতের ব্যাথ্যায় কেমন যেন কট কট করছে। বৃদ্ধ চেয়ার। আমার চেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ। আমি হিসাব করে দ
সবুজঘরের জানালার স্বচ্ছ কাচে এসে পড়ে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি, একের পর এক। এক দুই, তিন ----তারপরে ঝরোঝরো ধারে ঝরে ওরা। হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ বৃষ্টিবিন্দু। ওরা মিশে যায় মিলে যায়, একসাথে ধারা বেয়ে নেমে যায় নিচে মাটির দিকে, সে মাটি তখন মেঘরঙের ওড়না জড়িয়েছে।