আরিফিন সন্ধি
মাস খানেক আগে হিমু ভাই কে একরকম কথা দিয়েছিলাম ফাইটোরিমিডিয়েশন নিয়ে কিছু একটা লিখবো। সচলে কয়েক জন নিশ্চয়ই ছাই নিয়ে বসে আছে, আমার সেই কথা অনুযায়ী প্রথম কিস্তি আজকে লিখছি, মেনে নিচ্ছি, লেখার আকার ছোট, তবে বড় হবে আগামিতে,
মুক্তির এক সপ্তাহের মধ্যেই পরিবেশক আশীর্বাদ চলচ্চিত্র "মেহেরজান" সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহ থেকে নামিয়ে নেন। তার পর থেকেই পরিচালক এবং তার কলমবাজ বাহিনী শুরু করেছে মিথ্যা সব অপপ্রচার। শিল্পকে শ্বাসরোধ করার ফ্যাসীবাদী ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন কেউ, কেউ প্রতিবাদ করছেন মেহেরজানকে নিষিদ্ধ করার, মানববন্ধন করছেন!
আসলে এটা ঠিকঠাক লেখা বলতে যা বোঝায় তা না। আপডেট হওয়া নতুন ব্যবস্থায় ছবি দেওয়া যায় কিনা পরীক্ষা করে দেখছিলাম, শুধু ছবি তো আর দিতে পারি না, তাই কয়েকটা কথাও লিখে দিলাম।
এ শহরে এসেছিলাম গ্রীষ্মের শেষে, আমাকে সবাই বলেছিলো "ও, তুই ঐ ধোঁয়াপাহাড়ের কাছে যাচ্ছিস, তাহলে চারখানা মরশুম দেখতে পাবি। ওখানে গ্রীষ্মশরৎশীতবসন্ত সব আসে। "
প্রভাবিত ও অপ্রভাবিত সহানুভূতিসমূহ
বেশ অনেকদিন হয়ে গেল... গঙ্গা থেকে কতো জল সীমানা পেড়িয়ে যে পদ্মায় পড়ে পানি হলো তার হিসেব কতো কিউসেক হবে তা আমাদের জানার বাইরে, সেটা নদী বিশেষজ্ঞদের ব্যাপার। তবে এর মধ্যেও কিছু জিনিস আছে যেগুলো আমাদের এবং পুরোটাই আমাদের ব্যাপার। সেটার হিসেব কোন বিশেষজ্ঞ রাখেন না, কোন পরিসংখ্যানেও তার গুরুত্ব কমে যেতে থাকে সময়ের সাথে। আজও দেখলাম; একটি এগারো বছরের শিশু তার শিক্ষকের সন্তান বহন করে চলেছে শরীরে। কোন বিচার বা অন্যায়ের প্রতিবাদ এখনো হয় নি, যা হয়েছে তা প্রহসন মাত্র। তবে খবরের কাগজের পাতায় খবর ওঠার কল্যানে আজ থেকে সবাই হামলে পড়ে এই ঘটনার বিচার দাবী করবে, ধর্ষকের নিন্দায় আমরা আকাশ বাতাস এক করে ফেলবো। কিন্তু কতো দিন? খুব বেশী হলে সপ্তাখানেক এই নিয়ে আমরা মেতে থাকবো। এর পর খবরের কাগজ নতুন কোন খবর ছাপিয়ে নতুন হুজুগে মাতিয়ে কাটতি বাড়াতে থাকবে, কিন্তু এই এগারো বছর বয়সী ধর্ষিতা মেয়েটির অবস্থা যা ছিল, তাই থাকবে। কাগজে খবর ছেপে যাবার জন্য তার অবস্থার বিশেষ কোন পরিবর্তন আসবে বলে মনে হয় না।
আজ কথা বলবো আমার প্রিয় নচ্ছাড় চরিত্র বদরু খাঁকে নিয়ে।
আফগান ভাষায় বাচ্চা পশ শব্দের অর্থ (মেয়ে শিশুদের) ছেলেদের মত করে পোষাক পরিধান করা।
(লেখাটা আমার অন্য আরেকটি ব্লগ(লিঙ্ক) থেকে নেয়া লেখা।
[justify]যেখানে হারু দাঁড়িয়ে আছে সেটা আসলে একটা ডাস্ট্বিনের অংশবিশেষ।অনেকদিন আগে এটা ট্রাক ধাক্কা মেরে ডাস্টবিনটার দফারফা করে দিয়েছিলো । এখন সেটার পাশে একটা চায়ের দোকান।বিড়িটা হারু সেখান থেকেই কিনেছে।
হারু যখন বিড়ি খাওয়া শুরু করে তখন তার বয়স দশের বেশি হবে বলে মনে হয় না । তার বাবা যখন আধখাওয়া বিড়িটা রেখে তার মা-কে নৃশংসভাবে পেটাতে শুরু করে, তখন সে বিড়িটা নিয়ে পাশের ঘরের কালুর সাথে বসে টান দেয়া শুরু করে। সেদিনের প্রচন্ড কাশির কথা ভুলতে পারেনি হারু। আজো কাশে,তবে এখনকার কাশি আর তখনকার কাশির মধ্যে অনেক তফাৎ।
[justify]
ইল
সূর্যবংশে ইল নামে এক রাজা ছিল। শিকার করতে গিয়ে বন খুব ভালো লেগে যায় বলে সে রাজত্ব ছেড়ে বনে থেকে যায়। ঘুরতে ঘুরতে এক যক্ষরাজের অনুপস্থিতিতে তার সাজানো শূন্য গহ্বর দখল করে নেয়। যক্ষরাজ অন্যান্য যক্ষ নিয়ে এসে যুদ্ধ করেও ইল রাজার সাথে পেরে ওঠে না। যক্ষরাজ যক্ষিণীকে বলে- তুমি মায়াবী হরিণী সেজে ইলকে উমাবনে নিয়ে এসো। তাহলেই আমরা গহ্বর আবার নিজেদের কব্জায় আনতে পারবো। মহাদেবের অভিশাপে উমাবনে কোনো পুরুষ গেলে সে নারী হয়ে যায়। যক্ষিণী মায়ার খেলা খেলে ইলকে উমাবনে নিয়ে আসলে ইল হয়ে পড়ে সুন্দরী ইলা। ইলা ঘুরতে ঘুরতে চন্দ্রপুত্র বুধের নজরে পড়ে। বুধ ইলাকে রাণী করে। তাদের এক পুত্র হয়। পুরূরব। জন্মের পর থেকে পুরূরব খেয়াল করে তার মা সবসময় মুখ গোমড়া করে রাখে। পরে একদিন বুধের কাছে বৃত্তান্ত জানতে পারে ইলার ছেলে। মাকে অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে গৌতমীগঙ্গায় স্নান করে বুধ, ইলা আর পুরূরব কঠোর তপস্যা শুরু করে। মহাদেব ও পার্বতী এসে ইলকে অভিশাপমুক্ত করে। গৌতমীগঙ্গায় আবার ডুব দিলে সুন্দরী ইলা পরিণত হয় সশস্ত্র যোদ্ধা রাজা ইলে। - গল্পটা পড়ে ‘এক্স’ চিৎকার করে বলে- পুরুষবাদ নিপাত যাক।
অ
হরতাল খারাপ জিনিস তবে এর একটা ভাল দিকও আছে। হরতাল থাকলে সকালবেলা ক্লাসে দৌড়ানোর ভয় থাকে না, দুই মিনিট দেরি করে আসলে স্যারের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ারো ভয় থাকে না তাই ইচ্ছে মত ঘুমান যায়। আজকে সারাদিন এইরকম ঘুমটুম দিয়ে যখন মেলার উদ্দ্যেশে এগার নাম্বার বাসে রওনা দিলাম তখন প্রায় সন্ধ্যা। রাস্তায় হাটতে হাটতে দেখি গাড়িঘোড়া খুব কম, বলা যায় ঢাকার রাস্তায় অন্য সন্ধ্যার তুলনায় আজকে প্রায় গাড়ি নেই বললেই চলে। এইসব দেখে বুঝলাম আজকে মেলায় লোক কম হবে কিন্তু টিএসসির সামনে এসে দেখি ঘটনা উলটা। বিশাল এক লম্বা লাইন। মেলার শুরুর দশদিনে সাধারণত অফিস ডে'তে লাইন দিয়ে ঢুকতে হয় না আজকে হচ্ছে। সবাই মনে হয় আমার মত সারাদিন বাসায় বসে বসে বিরক্ত হয়ে সন্ধ্যায় বের হবার সুযোগ পেয়েই প্রথমে বইমেলায় হাজির হয়েছে। হাটতে হাটতে একদম সামনে এসে বুঝলাম ঘটনা কী, পুরা মেলায় ঢুকার জন্য সিকিরিউটি আর্চওয়ে রাখা হয়েছে মাত্র একটা তাই লাইন বড় হয়ে গেছে. এতবড় একটা মেলায় ঢুকার রাস্তা কী হিসেবে একটা রাখা হয়েছে বুঝলাম না। তবে ভিতরে ঢুকে একটু হাটাহাটি করতেই বুঝলাম আজকে হরতালের তুলনায় লোক সমাগম আসলেই অনেক ভাল বলা যায়। বিটিভির আটটার সংবাদের ভাষায় বললে বলতে হয়, বাংলাদেশের আপামর সাধারণ জনতা মেলায় উপস্থিত থেকে জানান দিয়েছে তারা এই হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে