মনোরম একটি সন্ধ্যা। অভিজাত এলাকার বিস্তৃত মসৃণ সড়ক। দু' একটি ছিমছাম বহুতল বাড়ি। গোছানো মানানসই পরিপাটি ঘাস ও গাছ। বহুতল আবাসগুলোর পাশে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে কিছু সুদর্শন দোকানপাট, চীনা রেস্তোরা, অভিজাত স্কুল, আত্মসম্মানবোধে দৃঢ় বইয়ের দোকান, অত্যাধুনিক ও স্মার্ট যন্ত্রাদির স্টোর। সড়কে সাঁই সাঁই করে ছুটে চলছে চকচকে গাড়ি, রাগী বড়সড় বাস, ক্বচিৎ ক্ষ্যাপা হলুদ-সবুজ ট্রাক। এদের পাশ দিয়ে চিপা চাপায় মিশে গিয়ে
তাজুল ইসলামের কোনো ডাক নাম ছিল না।
সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসে ডেভিড ব্রুকসের একটি প্রবন্ধ পড়ে edge.org এর সাথে পরিচিত হলাম। তারপর গত কয়দিন ধরে রাত-বিরাত ওটাই পড়ছি।
‘দৈনিক আনন্দবাজার’ নামে পশ্চিমবঙ্গে একটি 'বনেদী' খবরের কাগজ আছে এবং তা বাংলাতেই ছাপা হয় এটা জানতাম। তবে আমি ভারতে গিয়েছি মাত্র একবার, পশ্চিমবঙ্গেও ছিলাম মাত্র দুই দিন। সেটাই আমার প্রথম বিদেশ সফর হওয়ায় স্বাভাবিক ট্যুরিস্টসুলভ উত্তেজনায় (অথবা আমার নিজের স্মৃতিভ্রষ্টতায়) এই বনেদী কাগজটি হাতে তুলে নেয়ার 'সৌভাগ্য' অর্জন করতে পারিনি। এমনকি পত্রিকাটির কারেন্ট অনলাইন ভার্সনও ইউনিকোড-সমর্থিত না হওয়ায় অনেক
বদলহীন আগাপাশতলা প্রাত্যহিক ডায়াবেটিক রুটিন ঘুমহীন রাত্রি । যদিও শালবনের ওধারে হিংস্র শ্বাপদের শান্ত মমি হয়ে সে রাত দিগ-দিগন্ত ভেঙ্গে তাবৎ ভাস্কর্যময় সৃষ্টির ছাউনি নিয়ে আসে যে কোন স্রষ্টা মনে । ধুলোময় পথগুলোতে জলের রেখার বেসাতি সাজানো মিথ্যের রাংতা জড়াতে, কিংবা ধরা যাক ন্যাড়া গাছগুলোকে হুকুমের সূরে বনবীথিকায় কারুচুপির ওড়না পরাতে....
কবিতার সাথে মিল লাগে এমন কিছু ছবি আর কবিতা/গান পেশ করলাম। আশা করি ভাল লাগবে আপনাদের।
আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে...
অমিতাভ দেব চৌধুরী
যে কোনো সৃষ্টির মূল আসলে বিচ্ছেদ ৷
তোমার সৃষ্টির দিকে চেয়ে চেয়ে দেখি আর ভাবি
জন্ম না হলে তো আমি তোমারই দেহের টুকরো থাকতাম হয়ে
যেভাবে নৌকোর আবিষ্কার হবার অনেক আগে
যেসব ভাবি নাবিক আর মাঝি জন্ম নিয়েছিল,
তাদের ইচ্ছারা ছিল জলেরই শরীরে উড়ো জল
আমার কবিতা,তাই,সেইসব শব্দের খেলা
যারা ,একদা আমার ছিল ৷ তোমার এখন ৷
খুবই খারাপ এক স্বভাব হয়েছে রইস উদ্দিনের, কিভাবে-কিভাবে যে এই স্বভাব গেথে গিয়েছে সে নিজেও জানে না। তবে নিজের বদ স্বভাব নিয়ে নিজের ভেতরই এক ধরনের আত্ন তৃপ্তিমূলক অপরাধ বোধ আছে। আজ থেকে কয়েক বছর আগেও দুবেলা খাবার যোগারের চিন্তায় রইস রাতে ঘুমাতে পারত না। ছেলে-মেয়েগুলোর জন্যে একমাত্র ভবিষ্যত বলতে ছিল ভাল একজন মানুষের বাসায় বা ক্ষেতে কাজের ব্যবস্থা।
১।
এই মুভিটি যতো দেখি, ততোই ভালো লাগে। ছোটকালে ভাবতাম, বড় হয়ে নিই, জ্ঞানবুদ্ধি বাড়ুক, তখন নিশ্চয়ই এইসব 'বাংলা সিনেমা' আর ভাল্লাগবেনা। বড় হয়েছি। বুদ্ধিশুদ্ধি নিশ্চয়ই হয়নি। হলে কী আর প্রতি বছর ফেব্রুয়ারী-মার্চের আশেপাশে চ্যানেলগুলোতে যখন এই মুভিটি দেখি, তখন 'কী একটা' যেন চুম্বকের মত টেনে রাখে আমাকে। আগেও রাখতো। সেটা ছিলো শৈশবের নিখাদ ভালোলাগা। একটা পরিবারের গল্প কীভাবে এগিয়ে গেছে পরিণতির দিকে, দেখে ভালো লাগতো।
পাওয়েলের চেহারায় এবার খুশির আভাস ফুটে উঠল।
“বাকিটা তো খুব সোজা। এই স্পেস স্টেশনগুলো প্রথমে তৈরি হয়েছিল ছোট বিন্দু, মানে গ্রহগুলোর শক্তির চাহিদা মেটাতে। তখন মানুষ এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল। কিন্তু প্রখর তাপ, তেজস্ক্রিয়তা আর ইলেকট্রন ঝড়ের কারণে এখানে কাজ করা যে কোন মানুষের জন্য বিপদজনক। তাই মানুষের জায়গায় রোবোট দিয়ে কাজ চালানোর কথা চিন্তা করা হয়। মাত্র দুজন মানুষ এখন এই পুরো স্টেশনটার তদারকি করছে, বাকি সব কাজ রোবট দিয়ে হচ্ছে। কিন্তু আমরা চাচ্ছি এই দুজন মানুষও যেন দরকার না হয়। এজন্যই তোমার মতো রোবট প্রোটোটাইপ, যে কি না যুক্তি বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তৈরি করা হয়েছে। তুমি যদি এই স্টেশন একা সামলাতে পারো, তাহলে মাঝে মধ্যে মেরামতের জন্য কিছু জিনিস আনা ছাড়া মানুষের আর এখানে আসার দরকার পড়বে না।”