গতজনমের ঘাটে জেগে আছে শ্যাওলা,পিছল
এ জন্মের স্নান তাই বুঝি এত পতন-বিহ্বল?
দেখি এক ঘড়া ভেসে যায় দূর জলে
কার কাঁখ চ্যুত যে ও? ভাবি আর ঘড়াটির অদৃশ্য অতলে
বুঝি নেই কোনো জল,বুঝি নেই অন্নের সংস্থান
দেবতা,তোমার যতটুকু ছিল পরিপূর্ণ দান
ততটুকু গ্রহণে তো ওই ঘড়া হয়নি সমর্থ
তাই বুঝি মনে পড়ে এই দেহ,কী যে তার অর্থ?
এ দেহের একভাগে আজও কেন জেগে ওঠে স্থল?
যতটা ডোবার কথা ছিল তার ডোবেনি সে,
শঙ্খসাগরে উঠবে নতুন চর
অদূরে সূর্য সোনাঝরা লাল তিল,
আমাদের ঘিরে কাঁপবে রৌদ্রঝড়
বধির বিকেল তোমার ছোবলে নীল।
ঢেউয়ের সিঁড়িতে ঢেউ ভেঙে যাবে ক্ষয়ে
পাখিরাও যাবে সূর্যাস্তের বাড়ি,
রঙধনুমাঝে অষ্টমরঙ হয়ে
বন্যবাতাসে উড়বে তোমার শাড়ি।
নীলিমা-মাতাল মেঘেদের আনাগোনা
দু'পায়ে বাজাবো গীতবিতানের গান,
শরীরে ছড়াবো অজর রৌদ্রকণা
চুলে গুঁজে দেবো গুচ্ছ গুচ্ছ ধান।
১।
মায়ের বুকের কাছে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে পড়তে ইচ্ছে করে মৈত্রেয়ীর। কেমন একটা নরম ওমের গল্প সেখানে! সে কল্পনায় অনুভব করার চেষ্টা করে কেমন হবে সেই দেশ! কিন্তু মাকে বলতে পারে না, কেমন সঙ্কোচ হয়। মা আবার তাড়িয়ে দেয় যদি? যদি বলে যা যা, চলে যা?
[justify]মফিজ সাহেব প্রথম আলোতে সূর্যের আলোতে চালিত মোটর বাইক চালানোর খবর পড়ে অনেক উল্লসিত হলেন। চিন্তা করলেন তাহলে প্রতিদিন উত্তরা থেকে মতিঝিলে যেতে তাহলে আর পয়সা খরচ করে তেল কিনতে হবে না। ওই মোটর বাইকের মূল্য পড়ে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন এই মোটরবাইকে তাঁকে কিনতেই হবে যে করে হোক।
তাঁকে দেখি আমি কুয়াশার পথ হেঁটে হেঁটে
আবার এলেন ফিরে এই বাংলায়।
নিপুণ আতশি কাঁচ তাঁর বারবার
আদিগন্ত খুঁজে ফিরে সবুজ ফড়িং,
নির্মোহ তাঁর দুটি চোখে অজস্র নক্ষত্রের ঝাঁক
নির্জন রাতের কোলে রূপোলী ইলিশের মতো জেগে উঠে।
এই বাংলার মিহি ঘাসে, জলসিড়ি নদীটির পাড়ে শুয়ে
অশ্বত্থের সাথে কথা হয় তাঁর
ঘুমের শান্তির সাথে কখনো বা হয় অভিসার।
মাঝরাতে দেখি অদ্ভুত আঁধার ঠেলে
এই সময়ের প্রতিটি নগরে কৃত্তিমতা জমে ওঠে
দীর্ঘশ্বাস ছাপিয়ে যখন স্বপ্নরা মৃতজন্মে
আস্তে আস্তে গড়ে জীবনের পরমায়ু;
হেঁটে চলা অনিশ্চয়তায় অবাধ্য দৃষ্টি,
বিষাক্ত নিলয়ের গভীরতা,
অনাহুত সম্পর্কের বুনট আর
স্থবির কিছু সন্দেহ।