মনের কোন এক কোণায় একটা নকশীকাটা সিন্দুকে জমানো এই শহরকে ঘিরে রাজ্যের স্মৃতি। একটা ভীষণ ঝড়ো দুপুরে প্রথম এই শহরকে দেখা। সাথে এক মামা ছিলেন, বাবা-মা অন্য বাহনে। মফ:স্বলের একটা শহর থেকে লঞ্চে করে সদরঘাটে নেমে এসে শাপলার চত্বর, দোয়েলের চত্বর, মতিঝিলের সেই একমাত্র উঁচু বাড়িটা, সব অবাক হয়ে দেখতে দেখতে কখন সব কালো করে কালিগোলা মেঘেরা নেমে এসেছিলো। বছর চারেকের আমার মাথায় এসেছিলো ভীষণ কালচে ওই মেঘগুল
[justify]
“বুশ বাহিনীর গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে
লাদেন তুমি এগিয়ে চল, আমরা আছি তোমার সাথে”
সিলেটের মতো দুনিয়াতে অত বেশি জায়গার নাম কোনো শহরে আছে কি না আমার জানা নেই। এক নামের জায়গায় দাঁড়িয়ে বিড়ি টানলে ছাই গিয়ে পড়ে অন্য নামের জায়গায়। প্যাডেল আড়াই চক্কর ঘুরে আসার আগেই রিকশা চলতে শুরু করে বদলে যাওয়া নামের রাস্তায়। মেয়েরা যেখানে গেট দিয়ে ইস্কুলে ঢোকে সে জায়গা থেকে হেড মিস্ট্রেস যেখানে দাঁড়িয়ে ছাত্রীদের স্কুলে আসা তদারকি করেন সে জায়গার নাম ভিন্ন। আবার যখন তারা যার যার ক্লাসে গিয়ে বসে তখন হয়ত
১.
১. বয়স কতো?
এক নামকরা স্বাস্থ্যরিপোর্টার এক বৃদ্ধাশ্রমে বসেছিলো। সে এক সাদা লম্বা দাড়িওয়ালা বৃদ্ধলোকের কাছে গিয়ে বললো- আমি কি জানতে পারি স্যার আপনার বয়স কতো?
- ছিয়ানব্বই বছর। বৃদ্ধ উত্তর দিলো।
- কেন আপনি মনে করেন এতো বেশি বছর এখনও বেঁচে আছেন?
- আমি কোনো ধূমপান করি না। আমি কোনো বিয়ার বা মদ্যপান করি না।
ছুরি
মাইকেল ওপেনহাইমার
[justify]
পৃথিবী এক কালে খুব সহজ, স্বাভাবিক একটা জায়গা ছিলো। পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মুষ্টিমেয় কিছু বিজ্ঞানী এর বিভিন্ন গোপন রহস্য প্রকাশ করতেন। সেই তথ্যের বিস্তারও ছিলো একমাত্রিক -- বিশেষজ্ঞ কেউ আবিষ্কার করতেন, বাকিরা প্রচারমাধ্যম থেকে সেই সংবাদ জানতেন। আজ পৃথিবী অনেক বদলেছে।
বিকেলের মিঠে রোদ খেলা করছিল চুলে, গালে। মৃদু বাতাসে কপাল, কানের পাশে থেকে চোখেমুখে এসে পড়া চুলগুলো না সামলে শক্ত করে রিকশার হুড ধরে বসে ছিল মৃত্তিকা। পহেলা ফাল্গুন, বসন্তের প্রথম দিন। আজকে ভিড়টা টিএসসি, বইমেলায় আরো বেশি। বিশ্বরোডে এ সময়ে কোনো জ্যাম নেই, রিকশা প্রায় উড়িয়ে নিয়ে চলেছে কমবয়েসী রিকশাচালক ছেলেটা।
ইউনিভার্সিটি থেকে বের হলে সবার আগে আমরা যাই আশেপাশের ফাস্টফুডের দোকানে। এলাকাটা বাণিজ্যিক, তাই এগুলোর কোন অভাব নেই। আমাদের ক্যাম্পাস কেন্দ্র করেই বেশ কয়েকটা গজিয়ে উঠেছে।