স্বপ্নগুলো আকাশছোঁয়া মেঘের ভিড়ে লুকায় কেন?
উড়ছে ধুলো, উড়ছে তুলো দূর দিগন্তে বাষ্প যেন
শৈশবেরই উঠোন থেকে কৈশোরেরই মেঠোপথে
গোত্তা-খাওয়া উড়ান ঘুড়ি জীবনযাপন উল্টোরথে
ভুলছে স্বনন, ভাঙছে মনন ঝর্ণা-পায়ের বহতা স্রোত
লক্ষ্যভেদী চলার আবেগ গড়তে অমোঘ সুখের তাবৎ।
লক্ষ্য যেন দূর আলেয়া আঁধার কালো বনের ধারে
পেয়ে তারে মুক্তাবাসে খুঁজি শুধুই কারাগারে
কী যেন বলে অনুভূতিটাকে? নস্টালজিয়া। যতবারই বাঁশির সুরে শুনি ‘আমার দেশের মাটির গন্ধে...’ ততবারই অব্যর্থ ভাবে আক্রান্ত হই নস্টালজিয়ায়। এইতো গতকালই চ্যানেল পাল্টাতে পাল্টাতে হঠাৎ চলে গেলাম বিটিভি তে। সেখানে হচ্ছে ‘মাটি ও মানুষ’। আমার ছোটো বোন, এই সেইদিন যার জন্ম হলো, সেও নাকি নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত, এর সূচনা সংগীত শুনে! বিটিভিতেই থিতু হলাম তাই। এবারের পর্ব মধু চাষীদের নিয়ে।
=============================================
পৃথিবীর মোট কার্বনের মজুদ ৭৫ মিলিয়ন বিলিয়ন মেট্রিক টনের চেয়েও বেশি। ধরিত্রী, এর জল, মাটি, আর বায়ুমণ্ডলে নিয়ত চলছে এক বিপুল কার্বন লন্ডারিং প্রক্রিয়া। কার্বন চক্রে প্রত্যেকেরই নিজস্ব একটা স্থান আছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আরেকটা স্থান সে পায়। বাতাস এবং পানি, ব্যাকটেরিয়া, তরুর দল, এবং জীবজন্তু কার্বন চক্রে একে অপরের মধ্যে পথ খুঁজে নেয়, অনাদিকাল ধরে। অথচ, আমাদের কার্বন যুগে, অর্থনৈতিক কার্যক্রমের কারণে ভূতাত্ত্বিক সময় মাত্র এক জীবনে এসে ঠেকেছে। কী করে হলো কার্বন ও প্রাণের উদ্ভব? কীভাবে বিবর্তনীক সৃষ্টিশীলতা কার্বনের বাতাস, সমুদ্র আর ভূমিতে চক্র কাটার দিক পালটে দিল? আবার কীভাবেই বা শুধুমাত্র গত ১৫০ বছরে বৈজ্ঞানীক, শিল্পপতি, এবং ভোক্তার দল এক শিল্পঘটিত কার্বন চক্রের জন্ম দিলো – মিলিয়ন মিলিয়ন বছরের জমে থাকা ভূতাত্ত্বিক তলানিকে হঠাৎ উড়িয়ে দিলো বায়ুমণ্ডলে? কীভাবে বিবর্তন এবং মানব প্রযুক্তি একই রকম সমস্যাকে মোকাবিলা করে, বিবর্তনে প্রযুক্তির অবস্থান কোথায়, এবং কীভাবে কার্বনের এই জগত কাজ করে – এই সব প্রশ্নের উত্তর আর কিছু মৌলিক ধারণা দেবার জন্য এরিক রোস্টন লিখেছেন ‘কার্বন যুগ’ বইটি। সেই বইয়ের অনুবাদ চলছে। (গত পর্বের পর) আজকে থাকছে মুখবন্ধের বাকিটুকু।
=============================================
সে অনেক কাল আগের কথা।
আরবের লোকেরা অবশ্য ততদিনে গুহা ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে, তারপর গঙ্গা বইতে বইতে পদ্মা হয়েছে, পদ্মার চরে কুঁড়েঘর বানিয়ে আমরা উপরে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছিলাম “সচলায়তন”।
তো, অনেকের মনে আছে, অনেকে হয়ত ভুলেই গেছেন- সচলায়তনে একসময় অমিত আহমেদ নামে একজন সু-লেখক নিয়মিত লিখতেন। সু, মানে, ভাল লেখক তো তিনি অবশ্যই ছিলেন। কিন্তু আমার তাঁকে সু-লেখক ডাকার কারণ অন্য, সুদর্শন লেখক-কে সংক্ষিপ্ত করে আমি এই শব্দ হাজির করেছিলাম।
বইমেলায় অমিত আহমেদের বই বের হবে শোনার পরই আমরা কিছু পাপী বান্দা কল্পনা করেছিলাম, মেলায় গিয়ে স্টলে অমিত একটু দাঁড়ালেই হলো, ব্যস, আর পায় কে, বই সব হু হু করে সুন্দরী ললনাদের বগলদাবা হয়ে যাবে! এবং সেই আনন্দে হয়তো ফরিদ রেজা সাহেব তখন সত্যজিতের নকল করে নতুন বই বের করে ফেলবেন, “বগলবন্দী বই”।
যাই হোক এই লেখার আসল উদ্দেশ্যে আসি। এখানে আপনাদের একটা অসম্ভব সহজ বুদ্ধি শিখাবো। কিভাবে সহজে আপনার বন্ধুকে বোকা বানাতে পারেন এই দিনে
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সচলায়তন মূলধারার একটি সংবাদপত্রের সাবসিডিয়ারী গ্রুপ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। সচলায়তনের জনপ্রিয়তা এবং বিভিন্ন বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এই সংবাদপত্রটি বরাবরই সচলায়তনকে প্রশংসার চোখে দেখেছে। এবিষয়ে দুপক্ষের দীর্ঘ আলোচনা শেষে পহেলা এপ্রিল থেকে সচলায়তন উক্ত সংবাদপত্রের ব্যানারে পরিচালিত হতে থাকবে। যথাসময়ে সংবাদপত্রটির নাম আপনাদের জানানো হবে।
চল্লিশ বছর ধরে যে মানুষটা একটা ছবি লেমিনেটিং করে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে, কেউ তার কথা শুনেনি, স্বীকৃতি মিলেনি প্রবাসের প্রথম পতাক সৈনিক মিছির আলির। ১৪ ডিসেম্বর বার্মিংহাম শহরের মিষ্টি দেশ রেস্তোরায় মিছির আলীর সাথে প্রথম দেখা। চ্যানেল আই'র ইউকে ও ইউরোপের এমডি শোয়েব ভাই, আমি, আমার সহকর্মী শুভ ভাই আর জামান ভাই আমরা চারজন আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধি সৈয়দ নাসিরের আমন্ত্রনে বামিংহাম প্রবাসী সুধিজন
১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ আর পরবর্তী কয়েকদিনে চট্টগ্রামের লালখান বাজারে পাক বাহিনী, তাদের দোসর আর বিহারীরা মিলে হত্যা করে প্রায় আড়াই হাজার বাঙালী। আমরা বাংলাদেশীরা গোল্ডফিস মেমোরি জাতি। তাই, সহজেই ভুলে যায় অতীতের কথা। লালখান বাজারে বসবাসরত বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশই জানে না এই নিশৃংস গণহত্যার কথা।
প্রচন্ড ধাক্কা, তারপর হঠাৎ যেন সবকিছু স্থির হয়ে গেল। বীথির চিৎকারে সজীবের হুশ ফিরল। সেই সংঘাত পূর্ণ রাজপথ, চারপাশে ভীত পায়ের ছোটাছুটি, তার মাঝে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে সজীব। আবারও বীথির চিৎকার "সজীব পালা"।