প্রিয় সচল, অতিথি ও পাঠকবৃন্দ,
যদিও সচলায়তনের যাবতীয় সুযোগ এর পূর্ণ ও অতিথি সদস্যদের জন্যে নিবেদিত, আলোচনার বিস্তার ও মিথষ্ক্রিয়ার বৈচিত্র্যের কথা ভেবে আমরা সচলায়তনের দীর্ঘ পরিক্রমায় বরাবরই অসদস্যদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করেছি। এর ধারাবাহিকতায় আমরা অসদস্যদের জন্যে "অতিথি লেখক" নামে একটি উন্মুক্ত অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছি, এবং কোনো ধরনের নিবন্ধন ছাড়াই সচলে মন্তব্যের সুযোগ রেখেছি।
সকালে ঘুম ভেঙ্গে প্রতিদিন শুনি 'আমরা করবো জয়’
হারমোনিয়ামের রিডে তার আঙুলগুলো কিছুটা ত্রস্ত-বিষাদমাখা
অনেকটা বহুদূর ঘুরে আসা
ঘোড়ার ক্ষুরধ্বনির মতো ক্লান্ত--নুয়েপড়া
সারাটাদিন গানের ভেতরকার করুণ সুরখানি আমাকে নাড়াতে থাকে
পোলাটার সখ বড় পিরীতে,
তাই থাকে করিডোরে সিঁড়িতে,
মেয়েদের পিছু পিছু ফিরিতে,
কোনভাবে কারো কাছে ভিড়িতে।
একদিন ধ্যান ছিল চলাতে,
কাব্যিক কিছু কথা বলাতে,
পার্শ্বের মেয়েটারে গলাতে।
ডান পা’টা হড়কালো কলাতে,
পড়ে গেলো নীচকার জলাতে,
এই বুঝি যায় ডুবে তলাতে।
মাইয়াটা কেঁদে ওঠে ডুকরে.
যেনো তার কলিজের টুকরে,
তার প্রতি ছিলো উৎসুক রে,
সেই ঘোরে পেলো ব্যথাটুক রে,
-অপরাধবোধ খায় ঠুকরে।
অক্টোবরের ২৪ তারিখে আমার বাবা মারা গেলেন, সেদিনই স্বপ্নে আব্বাকে দেখলাম। সেই একাত্তরের সব ঘটনায়। সেগুলি এত স্পষ্ট, এত জীবন্ত যে, চোখ খুলে অনেকটা সময় লেগেছে বাস্তবে ফিরে আসতে। সে রাতে নির্ঘুম চোখে ফিরে গিয়েছিলাম সেই দিনগুলিতে। আমি নিজেও জানতাম না আমার এতো কথা মনে আছে। আমি কখনো সেইভাবে মনে করে দেখিনি একাত্তরের সেই সময়টাকে।