Archive - এপ্র 12, 2011 - ব্লগ

কালে খানের কাটরায়

সুহান রিজওয়ান এর ছবি
লিখেছেন সুহান রিজওয়ান (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৪/২০১১ - ১০:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মজিদ ভাই নিস্পৃহভাবে বললেন, "আমি কোথাও যেতে পারবো না। কোথাও নয়।"

হতভম্বের মতো একে অপরের মুখ চাওয়া ছাড়া আমাদের কিছু করবার নেই এখন। কী যে করা উচিৎ, তা ভেবেই পাই না আমরা।

- "সে কী মজিদ ভাই !! দারুণ জমজমাট অনুষ্ঠান হবে সেখানে," ফন্দিবাজ কবির বলে। "নামীদামী শিল্পীরা আসবেন অনেকেই। "


কোরান, সংবিধান ও সাম্যবাদ

দুর্দান্ত এর ছবি
লিখেছেন দুর্দান্ত (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৪/২০১১ - ৯:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমিনি ও তার দল কোরান হাতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে। বলছে যেখানে কোরানের বানী নারীকে পুরুষের সমান অধিকার দেয়নি, সেখানে দেশের আইনে নারীর সমান অধিকার বাস্তবায়নের পথে যেকোনো পদক্ষেপ কোরানের ও সুন্নাহ'র পরিপন্থী। আমিনি নিজেকে একজন কোরান বোদ্ধা দাবী করে। কি জানি, তার সে দাবী বাস্তব হতেও পারে। তবে কিনা, অন্তত কোরানের যেসব আয়াত উল্লেখ করে সে নারীর অসম অধিকারের কথা বলছে, সেসব কোরানে আছে।


mothers call

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৪/২০১১ - ৯:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মায়ের ডাক

একলা ঘরের কাব্য কথা, আকাশ ভরা চাঁদ,
সারা বিশ্বে সবার মাঝে ছড়িয়ে আছে
কাজের মোহন ফাদঁ,
পড়ার শেষে ছেলে মেয়েরা হায়,
চাকরি করার দোহাই দিয়ে সব
কই যে চলে যায়!
জীবন মানেই সামনে চলা, কোন সুদুরের টানে,
‘হেথা নয়, অন্য কোথা, অন্য কোন খানে’।

আয় রে আমার রোদের ছেলে
জোৎস্না মেয়ের দল।
শুন্য ঘরে একেলা বসে
শুনছি তোদের স্মৃতির কোলাহল।
এক্টুকেতেই সেই যে তোদের কতই অভিমান,


প্রেক্ষাপট স্বাস্থ্য; আমরা কতটা দায়িত্ত্বশীল???????

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৪/২০১১ - ৯:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস চলে গেল।এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল "জীবাণুনাশকের অকার্যকারিতা ও এর বিশ্বব্যপী বিস্তার"(Antimicrobial resistance and its global spread).


প্রাণে বাজে বৈশাখী মাদল।

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি
লিখেছেন সাবরিনা সুলতানা (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৪/২০১১ - ৮:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাবরিনা সুলতানা


এ দেহ জমিন

শেখ জলিল এর ছবি
লিখেছেন শেখ জলিল (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৪/২০১১ - ১১:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিছুই ফেলনা নয় মানব জমিনে
অনন্ত সমাধি ঢেকে দিলে দেহের ফসিল
এ প্রাণের বায়ু মিশে থাকে মাটির নিভাঁজে
উর্বরা ধরিত্রী তাকে পোষে মায়াবতী বুকের কন্দরে
দ্যাখো, প্রাত্যহিক পরিত্যক্ত বিষ্ঠাও ফলায় সোনার ফসল
পরিতৃপ্ত সবার জিহ্বা ভরায় তাতে স্বাদের চুম্বন!

এ দেহের নিকানো উঠোন, রক্তমাংস, অস্থিমজ্জা, হাড়গোড়
সবই বিলিয়ে দিয়েছি সম্প্রদানের চুক্তিতে এক স্বাক্ষরে


অনুবাদ: টুকুন গল্প ।১৩।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৪/২০১১ - ১০:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভবঘুরে
চেস্টার হাইমস্‌

উষ্ণ ও পরিষ্কার সেই রাতে ভরা চাঁদ সাইন নদীকে আরো সুন্দর করে তোলে। এক আমেরিকান ওয়াইন সহ রাতের খাবার খেয়ে নদীর তীরে হাঁটতে বেরিয়েছে। তার হাতে সিগার। আশেপাশের ছায়ায় টের পাওয়া যাচ্ছে যুগলদের উপস্থিতি। সারি সারি ক্যাম্পার গাড়ি রাস্তায় ওপর চুপচাপ শুয়ে আছে। হঠাৎ করে সাহায্যের জন্য একটা চিৎকার সবকিছুকে ছাপিয়ে শোনা গেল। পাগলের মতো দৌড়ে এল ছেঁড়া জামাকাপড়ের এক ভবঘুরে। চ্যানেলের পানিতে ডুবে যেতে থাকা একটা কুকুরকে দেখিয়ে বলতে লাগলো- "আমার বেচারা কুকুরটা, ডুবে যাচ্ছে। অথচ আমি সাঁতার পারি না।"


অনুবাদ: টুকুন গল্প ।১৩।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৪/২০১১ - ১০:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভবঘুরে
চেস্টার হাইমস্‌

উষ্ণ ও পরিষ্কার মধ্যরাত্রি। পূর্ণিমার চাঁদ সাইন নদীর সৌন্দর্যকে আরো স্পষ্ট করে। ওয়াইন সহকারে রাতের খাবার শেষের পর এক আমেরিকান সিগার টানতে টানতে নদীর পারে হাঁটতে থাকে। আশেপাশের ছায়ায় যুগলেরা ব্যস্ত। রাস্তার ওপর ক্যাম্পার গাড়িগুলো চুপচাপ ঘুমিয়ে। হঠাৎ করে একটা সাহায্যের আর্তি সুনসান পরিবেশকে নষ্ট করে। ছেঁড়া কাপড় পরা ত্রস্ত সন্ত্রস্ত একজন ভবঘুরে চ্যানেলের পানিতে ডুবতে থাকা একটা ছোট্ট কুকুরের দিকে আঙুল তাক করে- ‘আমার বেচারা কুকুরটা ডুবে যাচ্ছে, অথচ আমি সাঁতার জানি না’।


পাঁচপ্রস্থ টুকরো কবিতা

সৈয়দ আফসার এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আফসার (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৪/২০১১ - ৭:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দায়
একই ছাদের নিচে বসবাস। তবুও নেই সহাবস্থান। লোক দেখানো ভালোবাসা। সে-ও তো ছায়ার মত নীরব, নাটক বলা যাবে না, যেন জীবন্ত অভিনয়!... কী অদ্ভূদ প্রজাতি দু’জন। সম্পর্ক আছে, যে সম্পর্ক ঠিকে থাকাই আত্মসম্মানবোধ—

যেন একা, একাই ছুটছে নিজেদের দায়

প্রতিদিন


ব্লগর ব্লগর

ফকির লালন এর ছবি
লিখেছেন ফকির লালন (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৪/২০১১ - ৫:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের বাস স্বপ্নের দুপারে, দেখা নাই, কথা নাই, শুধু কাটা ঘুড়ির মতো অচেনা, অজানায় উদ্দেশ্যহীন ভেসে বেড়ানো - গন্তব্যহীন, নিরুদ্দেশ যাত্রা।

কাঠফাটা রোদে একটা পাখি টানা ডেকে চলে, কাকে ডাকে সে? আমাদের সেই নিমগাছটা ভালো আছেতো?

স্মৃতিরা কেন সাদাকালো হয়, রঙিন হতে তাদের কে মানা করে? আজকাল কোনকিছুই ধারাবাহিক মনে পরেনা, কোন ফ্লাশব্যাক নেই, শুধু এক একটা মুহূর্ত ঘাই দেয় হঠাৎ।