বইটা শেষ করার পর পপীপ আমাকে বলল, 'কী-ই? কেমন মনে হয়?'
আমি হাসি। জোরালো হাসি নয়, হালকা হাসি।
পপীপ জোর করে কথা আদায় করতে চায়। 'হাসলে হবে না, তোমাকে বলতে হবে।'
একজন আলি কেননের উত্থান পতন-আহমদ ছফা
আসরাফ
দে তোর বাপরে একটা ট্যাহা।
ভিখিরিরা সাধারনত ভক্ষাদাতাকেই বাবা বলে ডাকে। আলি কেনানা দাবি ছেঢ়ে বসলো সম্পূর্ণ উল্টো। অর্থাৎ সে ভিক্ষাদাতার বাবা এবং একটা টাকা তাকে এখখুনি দিয়ে দিতে হবে। একেবারে যাকে বলে কড়া নির্দেশ। এই চাওয়ার মধ্যে রিতিমতো একটা চমক আছে।
আমার কেন জানি মনে হ্য় আমরা ভয় পেতে ভালোবাসি। জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত আমরা ভয় পাই, কারনে অকারনে ভয় পাই, ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে ভয় পাই। কোন অচেনাকে দেখলে ভয় পাই আবার মাঝে মাঝে চেনাকে দেখেও ভয় পাই। আমরা অসুন্দরকে দেখে ভয় পাই আবার সুন্দরকে দেখে অসুন্দরকে অনুভব করে ভয় পাই। আমরা অন্ধকারকে ভয় পাই আবার আলোকে দেখে আলোর ভিতর অন্ধ হয়ে যাবার ভয় পাই। আমরা হেরে যেতে ভয় পাই আবার জয়ী হয়ে হেরে যাবার
মানুষের কতো কিছু হারায়!
জাহিদ ভাইয়ের কাছ থেকে আচমকা আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম দাবা খেলার। উনি কানাডাতে থাকেন, আমি ইউরোপে। ইন্টারনেটের কল্যাণে দুরত্ব খুব সমস্যা করে না। আন্তঃমহাদেশীয় দাবা খেলতে থাকি আমরা। টুকটাক খেলাতে আর কথাতে আমরা আবিষ্কার করি, দাবা খেলেন এরকম পরিচিতজনের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। অনেকেই নিভৃতে দাবা খেলেন। অনেকেরই দারুণ পছন্দের খেলা এটি। আর সবার কথা জানি না, আমি দল পাকাতে দারুণ পছন্দ করি। দল পাকাতে পারলেই হৈ-হুল্লো
যেসময় চলে গেছে, যেভাবে গেছে তার নাম ভ্রমণ, কাহিনী তাতে সবসময় থাকে না। দৃশ্য থাকে। আধুনিক কবিগন দৃশ্যপিড়ীত ছিলেন খুব, জীবনানন্দ দেখেছেন কেবলই দৃশ্যের জন্ম, আর এলিয়টের মানুষ — তাদের ছেলেময়েরা, বলতে পারে না কিছু, এমনকী আন্দাজেও না — তারা দেখেছে কেবলই ভগ্নদৃশ্যের স্তূপ, হিপ অফ ব্রোকেন ইমেজেস। জীবনানন্দ, এলিয়ট ইত্যাদি নাম আরো কিছু দৃশ্যের মতোই, আজ এর বেশি কিছু নয় আমার অনেক অনেক সামান্য ভ্রমণের মতন। তারই একটা চৈত্রের দশদিন হাতে রেখে যাওয়া, দূর্গাপুর, জেলা নেত্রকোনা - বিরিশিরি নামে অধিক বিজ্ঞাপিত।