সাবরিনা সুলতানা
-এই যে শুনছেন!
-উমম...
-উহু এসব উম-আম এসব চলবে না, একটু উঠুন তো
-হুমম ...এই ...
-বড্ড জ্বালান! উঠুন, নাহলে পানিতে ভিজিয়ে দেবো
-উফফ...এই রাত ভোরে কি শুরু করলেন!
-যা ইচ্ছা তাই ...এক্ষুনি উঠুন। দেখুন না কি অদ্ভুদ সুন্দর মেঘ রঙা আকাশ! বারান্দায় যাবো
-গেলেই হয়। আমাকে নিয়ে কেনো টানাটানি
-আহহা চলেন না প্লিজ... প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ
আমার বয়স হয়েছে। একটা বয়স ছিলো, সেই বয়সটার চরিত্রই হয়তো বন্য ষাঁড়ের মতো। ক্ষেপে ফুঁসে উঠার গুণে অমিত তেজোদৃপ্ত। সে বয়স আমারও ছিল, এখন নেই। রক্তে তেজ নেই, গতিতে জড়তা থিতু হবার অপেক্ষায়। এখন অসঙ্গতি দেখলে প্রতিবাদী হই না, ব্যথা পাই। যা কিছু অশোভন মনে হয় নিজের কাছে, তা আর আমাকে ক্ষুব্ধ করে না, আহত কিম্বা বেদনার্ত করে।
[justify]দয়া* ও কাঠামো
দয়া-ক্লান্তি। কমপ্যাশন ফ্যাটিগ ইংরেজদের দেয়া নাম। আমরা এদিকটায় জানি, দয়া ধর্ম। প্রচারমাধ্যমে অতি-প্রচারিত দৃশ্যগুলো আমাদের কারো কারো মনে এখন আর দয়ার জন্ম দেয় না। কান্না, চিৎকার, লাশ হয়ে যাওয়া এইসব কোনো কিছুই। কান্নার প্রতি, চিৎকারের প্রতি, লাশের প্রতি (প্রায়) পর্নোগ্রাফিক আকর্ষণের স্তরটিও আমরা কিছুকাল হল পার হয়ে এসেছি। একদা অতিপ্রচারকে ঐ দয়া-ক্লান্তির উৎস বলে মনে হত। এখন মনে হয় কেবল অতিপ্রচারই নয়, খবরের পুনরাবৃত্ত কাঠামোগুলোরও রয়েছে দয়া কেড়ে নেয়ার বিশেষ ক্ষমতা। কাঠামো আমাদের দয়া-ক্লান্তি দেয়। ক্রসফায়ারের গল্পগুলো মনে করবেন এইখানে।
সচলের ই-বইয়ে দেব বলে লিখতে বসে দেখি আমি এমন হ্যাজানো পাবলিক যে পুরো সিকিম নিয়ে লিখতে গেলে আস্ত একটা ই-বইই হয়ে যাবে৷ অগত্যা মাঝের এক টুকরো সেখানে দিয়ে বাকীটা ভাবলাম আস্তে আস্তে লিখে ফেলি৷ তা, এই রইল প্রথম টুকরো৷
[justify]আমার প্রথম স্কুলের স্মৃতি তেমন মনে নেই, অল্প কিছু ছাড়া। আমার যে ঘিলু, তাতে না থাকাই স্বাভাবিক। এইনিয়ে আমার আক্ষেপ নেই, শুধু মাঝে মাঝে একটু দুঃখ পাই। আমার পরিচিত বন্ধুরা কী সুন্দর করে তাদের প্রথম স্কুলের নানা স্মরণীয় ঘটনা আওড়ে নিজেদের শৈশবের অমৃত আস্বাদন করে। আর আমি তা শুনে শুনে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাই। ব্যাপারটা বড়ই বেদনাদায়ক। এবং নিজের কাছে চরম অস্বস্তিকর। মানুষের জীবনের অন্যতম চমৎকার একটা সময়ের স্মৃতি তেমন কিছুই মনে নেই! সব হজম করে ফেলেছি! এ কীভাবে সম্ভব? মাথায় মাঝে মাঝে একান্তে ঝাঁকি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি কোন মডেলের হাঁদারাম এটা। টকটক শব্দ হয় শুধু, আর কিছু মেলেনা। ইদানিং পরিচিত কয়েকজনের স্কুলের প্রথম অভিজ্ঞতার কিছু অসাধারণ রোমন্থন পড়লাম। তারপর থেকে বেশি বেশি মনে করার চেষ্টা করছি নিজের স্মৃতি। কিন্তু ঘুরেফিরে মনে থাকা ঘটনাই আবার চলে আসছে স্মরণে। নতুন কিছু মিলছেনা। কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো, সাথে একটা সেই সময়ের শোনা