Archive - এপ্র 24, 2011 - ব্লগ

পাঠ্যপুস্তক ই-বুক : একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ

রিসালাত বারী এর ছবি
লিখেছেন রিসালাত বারী [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৪/০৪/২০১১ - ৬:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেশ কিছুদিন আগে অষ্টম শ্রেনীতে পড়া একটা বিষয় খুঁজতে যেয়ে প্রায় গলদঘর্ম হয়েছিলাম। পাঠ্যপুস্তক গুলোর কোন পি ডি এফ ভার্সন বা অনলাইন ভার্সন কোথাও পাইনি। এর বেশ কিছুদিন পর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বেশ কিছু বইয়ের পি ডি এফ ভার্সন আপলোড করা হয়। কিন্তু তাতেও থেকে যায় অনেক সমস্যা। লিঙ্কগুলো সুবিন্যস্ত না এবং চট করে কোনোটা পাওয়া বেশ কঠিন।


ট্রানজিট নিয়ে সাম্প্রতিক ভাবনা...

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২৪/০৪/২০১১ - ২:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকের দৈনিক পত্রিকাগুলোতে ট্রানজিট নিয়ে বেশ কিছু খবর এসেছে। খবরগুলোতে অনেক তথ্য উপাত্য এসেছে। সেগুলো থেকে অন্তত এটুকু বোঝা যায় যে সবপক্ষই এই ব্যাপারটাতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখে। আমি নিজে এই ব্যাপারটা খুবই জটিল বলে ভাবি। অনেক ধরণের হিসাব নিকাশ জড়িত এর ভেতরে। যার সবগুলো জানা বা বোঝা আমার পক্ষে সম্ভব কিনা জানি না। আর তাই আমি সাধারণত ট্রানজিটের প্রশ্নে কোন বিশেষ পক্ষে যেতে পারি না।


চড়কের মেলায় একদিন

মুস্তাফিজ এর ছবি
লিখেছেন মুস্তাফিজ (তারিখ: রবি, ২৪/০৪/২০১১ - ২:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সতর্কতা: কিছু ছবি আর লেখা বাচ্চা কিংবা দুর্বল চিত্তের লোকদের দেখা কিংবা পড়া ঠিক হবে না।

-----------------------------------------------------------------------------------------

দেখতে দেখতে ঘড়ির কাঁটা রাত বারোটা পেরুলো। বিষ্ণুপুর গ্রাম। সেই গ্রামে চৌধুরী বংশের জমিদারদের এক বিশাল প্রাচীন পুকুর, কেউ বলে দুইশ কেউবা জানায় দেড়শ বছরের পুরাতন। জমিদারদের কিছুই এখন অবশিষ্ট না থাকলেও এই পুকুরটা আছে। আর আছে তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় চালু কিছু ধর্মীয় আচার। সেরকম এক আচার পালনে সন্ন্যাসী নিরঞ্জন দেবনাথসহ আরো তিন সন্ন্যাসী পুকুরপাড়ে চার জায়গায় নিজেদের শিষ্য-সামন্ত নিয়ে জ্বলন্ত আগুন ঘিরে গোল হয়ে বসে আছে। বিড়বিড় করে মন্ত্র আওড়ায় নিরঞ্জন। আজ নিয়ে নয় দিন উপবাসে কাটলো তার। শুকনো হাড় বের হওয়া শরীরে কাপড় বলতে একটামাত্র ধুতি। আগুনের আভায় নিরঞ্জনের পিঠে চিকচিক করা বড়শি গাঁথার অগুনতি দাগ আশেপাশের ভক্তদের তাঁর প্রতি আরো শ্রদ্ধা বাড়িয়ে তোলে। ওরা পুরোদমে শিঙ্গায় ফুঁ দেয়, ঢাক, ঢোল,‌ খোল, করতাল আর কাঁসার ঘণ্টার ছন্দবদ্ধ সুর তোলে। দমকে দমকে কাঁপতে কাঁপতে “বোল মহাদেব” বলে লাফিয়ে উঠে নাচতে থাকে সে। তাঁকে অনুসরণ করে তাঁর ভক্তরা, সবার গা খালি, কোমরে লাল রঙয়ের নেংটি। উন্মাদের মতন নাচতে নাচতে দলবলসহ আগুনের উপর চলে আসে নিরঞ্জন। ওরা লাফাতে থাকে সেই জ্বলন্ত আগুনের উপর, আর চিৎকার করে বলতে থাকে “বোল, বোল মহাদেব”। অতগুলা মানুষের পায়ের চাপে আগুন হার মানে, কমতে কমতে একসময় নিভে যায়। ওরা সমস্বরে একসাথে চিৎকার করে উঠে “শিবা বোল, বোল মহাদেব”।


আমি নিরুদ্দেশ হবার পর

ফকির লালন এর ছবি
লিখেছেন ফকির লালন (তারিখ: রবি, ২৪/০৪/২০১১ - ৪:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তোমাদের কেউ কেউ বলবে, পালিয়েছে, মুখোমুখি হবার সাহস ছিলোনা বোধহয়; কেউ বলবে, হয়তো ভীষণ কষ্ট পেয়েছে, ভালোবাসা পায়নি বোধহয়। অথবা কেউ ধরে নেবে এও এক বাণপ্রস্থ বুঝি, কারো মনে হবে এতো বৈরাগ্যের বয়স নয়, আজকালকার ছেলেপেলেদের বোঝা দায়; অথবা ভাব্বে ইটালী বা আবুধাবী, কিংবা ভাব্বে ক্রসফায়ার – ধরে নেবে ড্রাগস অথবা অন্য কোন গোপন রাজনীতি; কোথায় গেলাম এবং কেন গেলাম, এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা হবে- চা-খানায়, মোড়ে, ক্যারাম ও তাসের আসরে; এদ্দিন যে ছিলো আসবাবপত্রের মতো, প্রায় জড়, উপস্থিতির কোন বাহূল্য ছিলোনা, অনুপস্থিতিই তার সবচে বড় অর্জন হবে বুঝি।


দেশ-বিদেশে ফিরব আমি, হইয়া মাতেলা রে...

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: রবি, ২৪/০৪/২০১১ - ৩:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শচীনকত্তার গান এমনিতেই আমার শয়নে-স্বপনে-ভ্রমণে-ভোজনে সবসময়েই মনে ঘুরে ঘুরে আসতে থাকে। আর সম্প্রতি এই একখানা গানই সারাদিন গুনগুন করছি, সচলের নতুন ইবুকখানা পড়ার পর থেকে। কারণ এই নাতিদীর্ঘ ভ্রমণীয় বইটা বড়ই রঙ্গিলা হয়েছে। পড়ে ইস্তক মনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে আছে। কাজের ঠেলায় সম্প্রতি কোথাও বেড়াতে যাবার সুযোগ না হলেও, বইটার দৌলতে দেশ-বিদেশে প্রচুর মানসভ্রমণ সারা হয়ে গেছে।