Archive - মে 14, 2011 - ব্লগ

সমাজবদ্ধতা

মনামী এর ছবি
লিখেছেন মনামী (তারিখ: শনি, ১৪/০৫/২০১১ - ১১:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অফিস যেতেই হয়। সবারই কোনো না কোনো কারণ থাকে। টাকা, মানুষের সমাজে জায়গা, ক্ষমতা, জীবনে বৈচিত্র, ব্যস্ত থাকা ইত্যাদি।

শাহিন অফিসে যাওয়া শুরু করে কর্মজীবী নারী হওয়ার জন্য। তারপর সে বলা শুরু করে কাজটাকে ভালোবেসেই সে কাজ করে। বিশ্বাসও করতে চেয়েছিল কথাটা। কিন্তু কোনো সৃষ্টি আর তার স্রষ্টার সম্পর্ক এখন আর সরাসরি ও সহজ নাই। কাজেই কাজের প্রতি আদিম ভালবাসার দিনও নাই। যান্ত্রিক পুনরুৎপাদনের ছলাকলা ছাড়া করার তেমন কিছুই নাই।

মানুষ সাধারণভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা একটি জীব। এর নানা বৈজ্ঞানিক ও সমাজতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা আছে, বিজ্ঞজনেরা তা জানেন, এখানে বলার তেমন প্রয়োজন কী? সম্পর্কিতরা একে অন্যের ক্ষতি করেনা (অন্তত এটাই প্রচলিত ধারণা)। তাই মানুষ ক্রমাগত সম্পর্ক তৈরি করে। রিকশাওয়ালাকে মামা ডাকে, দোকানিকে ভাই, অফিসকে বলে পরিবার।


স্মৃতির বাউল কাঁদে

শেখ জলিল এর ছবি
লিখেছেন শেখ জলিল (তারিখ: শনি, ১৪/০৫/২০১১ - ১১:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেজে ওঠে না-বলা গানের কলি, ছিঁড়ে যায় মননের তার
কংক্রিটে, পীচঢালা পথে পথে সারাক্ষণ আটকে থাকে পা
সমস্ত চরাচরে অদম্য কোলাহল অগণন সুর ভিন্নতার
ঘরপোড়া বাউল খোঁজে বসন, রুদ্রাক্ষের মালা, একতারা
মমতার চাদরে জড়িয়েছে সে সোনার অঙ্গ, সম্পর্ক সুর
জানে না পথের দিশা, মেঠোপথে নেচে চলে অজানা নূপুর।

পরিশ্রান্ত ভুলের উঠোনে ঢেউ খেলে সংসার সমুদ্র জল
দিকভ্রান্ত নাবিকের হাল কাঁপে বিরহের ঝড়ে অবেলায়


পূর্বপুরুষ কথা (প্রথম পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৪/০৫/২০১১ - ৮:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৮৫৬ সালের অগাস্ট মাসের রৌদ্রকরোজ্জ্বল এক প্রভাত । উত্তর-পশ্চিম জার্মানির নিয়ান্ডারথাল উপত্যকার চুনা-পাথরের খনিতে সেদিনের কর্মব্যস্ততা মাত্র শুরু হয়েছে । হঠাৎই এক শ্রমিকের শাবল শক্ত কিছুতে বাড়ি খেয়ে ঠং করে আওয়াজ করে উঠল । শ্রমিকটি আগ্রহী হয়ে আরেকটু খুড়েই দেখতে পেলো কিছু হাড়-গোড় । হয়তো পাহাড়ী ভালুকের হাড় এই ভেবে সে সেগুলো পাশে সরিয়ে রাখলো পরে দেখার জন্যে । ওই দিনই খনি শ্রমিকটি হাড়গুলো দেখাতে নিয়ে


প্রকাশিত হলো “টিপাইমুখ বাঁধ ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট” ই-বুক

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: শনি, ১৪/০৫/২০১১ - ১০:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

টিপাইমুখ বাঁধ বিষয়টি কী সেটি বাংলাদেশে কারো অজানা নয়। এটি আমাদের জন্য কেনো গুরুত্বপূর্ণ সেটিও অল্প-বিস্তর আমরা জানি। এটা নিয়ে সচলায়তনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায়, বিভিন্ন পর্যায়ে একসময় বহু আলোচনা হয়েছে। কিন্তু গত দুই বছরে টিপাইমুখ বাঁধ ইস্যুটি একটু একটু করে আমাদের আলোচনার বাইরে চলে গেছে। এটা নিয়ে বাংলাদেশের সরকার বা সরকারের বাইরে কারো কোনো উদ্যোগ আর চোখে পড়েনা। অথচ বিষয়টির গুরুত্ব বিন্দুমাত্র কমে তো নাই-ই, বরং এটি বাস্তবায়ণে ভারত সরকারের কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় তার গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে।


আবোল তাবোল

সজল এর ছবি
লিখেছেন সজল (তারিখ: শনি, ১৪/০৫/২০১১ - ৬:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


নিজের সম্পর্কে কোন কিছুই স্থির করে বলতে পারি না। কোন ধরনের মুভি ভালো লাগে থেকে শুরু করে কোন বিষয়ে গবেষণা করতে চাই, আমি স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারি না। জীবনের লক্ষ্য রচনায় বরাবর লিখে এসেছি, আমি ডাক্তার হয়ে নিজের গ্রামে ফিরে গিয়ে জনসেবা করব। লিখেছি কারণ, আমার কাছে যে নোট ছিলো, তাতে এমনটাই লিখা ছিলো।


স্পেলবাউণ্ড

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শনি, ১৪/০৫/২০১১ - ৬:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভেতরে ঢোকার পর ফেরদৌস বুঝতে পারে, এটা একটা গুদামঘর। ভেতরে সিলিং থেকে সাহসী মাকড়সার মতো নেমে এসেছে কয়েকটি ঝুলন্ত নগ্ন বাল্ব, তাদের দাক্ষিণ্যে ক্রমশ পরিধির দিকে পিছু হটেছে ধুলোগন্ধী অন্ধকার।

অন্ধকার আর আলোর মাঝে একটি উঁচু চেয়ারের ওপর বসেছিলেন মিসেস হোসেন, ফেরদৌসকে দেখে তাঁর মুখে হাসি ফোটে। "আসুন, আসুন হাসান সাহেব। অ্যাই পপি, হাসান সাহেবকে কাগজটা দে তো ভাই!"

সহকারী নির্দেশক মারজানা পপি প্রেতের মতো নিঃশব্দে এগিয়ে আসে অন্ধকার ফুঁড়ে, তার হাতে এক শিট সাদা অফসেট কাগজ।


মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের শুদ্ধ আবেগ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: শনি, ১৪/০৫/২০১১ - ৫:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


যখন সময় থমকে দাঁড়ায়

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৪/০৫/২০১১ - ২:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুনিয়ার ডিভোর্সের খবরটা শুনে আমি বেশ একটা ধাক্কা খাই। প্রথমে ভেবেছিলাম, এটা ঠাট্টা। ঠাট্টা বটে, নিয়তির নির্মম ঠাট্টা! মুনিয়ার সাথে আমার প্রায়ই দেখা হতো বাড়ির গেটের কাছে। বিকেলে আমি বাসা থেকে বেরুতাম অফিসের উদ্দেশ্যে আর মুনিয়া তখন অফিস থেকে ফিরতো বাসায়। টুকটাক কথা হতো। প্রতিবেশীসুলভ কুশল বিনিময়। যদিও আমরা একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, কিন্তু আমাদের প্রথম পরিচয় হয় এপার্টমেন্টের লিফটে। মুনিয়া তার স্বামী-সন্তান-পরিবার নিয়ে থাকতো আমাদের ওপরের তলায়। হাসিখুশি মেয়েটির প্রাণোচ্ছ্বলতা আমাকে ছুঁয়ে যায়। আমাদের আলাপ-পরিচয়টা টুকটাক কথাবার্তাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। একই এপার্টমেন্টে থেকেও কেউ কারো বাসায় যাবার সময় আমাদের হয় না। ইট-কাঠ-কংক্রিটের এই শহরে আমরা ক্রমশ নিরেট নিরস মানুষে পরিণত হচ্ছি। আমরা নিজের মাঝে নিজেকে শামুকের মত গুটিয়ে রাখি। কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের সামাজিক মেলামেশার ঐতিহ্য!


ব্রেস্ট ক্যানসার পরীক্ষা - আপনি সচেতন তো?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: শনি, ১৪/০৫/২০১১ - ১:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রতিমাসে একবার নিজে থেকে মিনিট কয়েকের মধ্যে করে ফেলা ব্রেস্ট ক্যানসার পরীক্ষা আপনার জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। শতকরা ৭০% ক্ষেত্রে নিজ থেকে পরীক্ষাতেই ব্রেস্ট ক্যানসার ধরে ফেলা সম্ভব। যারা আগে ধরে ফেলতে পারেন তাদের শতকরা ৯৮% আরোগ্য লাভ করতে পারেন। ব্রেস্ট পরীক্ষার সময় কোনো লাম্প বা শক্ত মাংসপিণ্ডের উপস্থিতি ধরা পড়লে অতি অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।