বাহিরটা আজ দেখা হয়ে উঠেনি।হয়তো সেখানে প্রখর রৌদ্রতাপেও মানুষ ছুটে চলেছে জীবনের তাগিদে।আমার ভুবনে আমি একা আছি,নিজেতে ডুবে আছি।জানালাটা খুলে দেখি বেলা পরে আসছে।তবু বন্ধ করে দিলাম ওটাকে।থাক,একটা দিন সময় ভুলেই দেখিনা।হোক বাইরে দিন কিংবা রাত।আমি শুধু জানি,আমার এখন সময় বয়ে যাচ্ছে।দিন-রাত বুঝতে ইচ্ছে করছেনা।
ব্লগার "দুখী মানব" এর সাথে অনেক দিন ধরেই ফেসবুক এ পরিচয়। তার এডভেঞ্চারের কাহিনী পড়ে অনেকবারই চেয়েছি তার এডভেঞ্চার গুলোর সঙ্গী হবার। কিন্তু কখনোই সময় করে উঠতে পারছিলাম না। এবার ফেসবুক এ রাজকান্দি যাওয়ার খবর শুনেই সিদ্ধান্ত নিলাম এবার যে করেই হউক যাব।
রাতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নীরবতার আগ্রাসন। বাড়াবাড়ি শীত আজ। ভাঁজ করা হাঁটু দুটো কাঁপছে লুঙ্গির আচ্ছাদনে। শীত-ভয়ের বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় বগলের নীচটা ঘামছে। কোথাও একটা কুকুর কেঁদে উঠলো। রাত বারোটার ঘন্টা শোনা গেছে অনেকক্ষণ হলো। এদিকে এখন কেউ আসবে না। গলা থেকে নীল মাফলারটা খুলে কোমরে বেঁধে নিল।
ডিসেম্বরের কয় তারিখ আজ? পৌষমাস এসে গেছে প্রায়। শীতটা তাই গত কদিনের তুলনায় বিশ্রী।
[justify]
ছেলেবেলায় ছোড়দার নেশা ছিল ডাক টিকেটে।
বড়মামা তখন বিলেতে থাকতেন। কী যেন পড়তেন সেখানে, আফিসিফিয়াস--বলতে গিয়ে আমি গুলিয়ে ফেলতাম।
এক্ষুনি খবর পেলাম বিন লাদেনকে আমেরিকান সৈন্যরা হত্যা করেছে। এব্যাপারে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ওবামা একটি জরুরী বক্তব্য রাখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে। বিস্তারিত পাবেন সিএনএন এ। এব্যাপারে আরো আপডেট দিচ্ছি শিঘ্রী।
এটা চীনের উপকথা। এক শিল্পী-মা আর তার স্বপ্নের গল্প, এক মায়ের জন্য এক ছেলের জীবন তুচ্ছ করে অভিযানের গল্প।
শীত আর কুয়াশামোড়া এক উপত্যকায় একটি ছোট্টো গ্রাম। গ্রামের একেবারে শেষপ্রান্তে একটি জীর্ণ কুটির। কুটিরে থাকে এক বিধবা মহিলা আর তার তিনটি ছেলে। বড় আর মেজো প্রায় যুবক, ছোটোটি এখনো কিশোর।
[justify]
কড়া আলো পিচাশ করিমের পছন্দ নয়। নিরেট অন্ধকারও ভালোবাসেন না তিনি। এই দুটোই হচ্ছে দৃষ্টিগ্রাহ্য পৃথিবীর দুই চরম অবস্থা। তিনি ভালোবাসেন রহস্য, যা থাকে আবছায়ায়। আলো আছে, কিংবা আলো নেই, এমন সরল বাইনারির জগতে যারা বাস করতে চায়, তাদের জন্যে প্রতিনিয়ত করুণার ভারে পিষ্ট হন পিচাশ। মূর্খ, ভালগার একটা সোসাইটি।
এইখানে। শেষাবধি পেলাম ওটাকে। দৃষ্টি এড়ানোর ফন্দি আঁটতে আঁটতে হয়তো ওটার কেটে গেছে কয়েকটি দীর্ঘ সপ্তাহ। কত ছল-চাতুরী করতে হয়েছে, কতই না খেলতে হয়েছে লুকোচুরি। দুই ট্রাঙ্কের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া ইস্পাতের দেয়াল ঘেরা সরু গলি, পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে রাখা অব্যবহৃত লেপ-তোষকের আঁধার ঘুঁজি, পরিত্যক্ত আসবাবের দাঁতে শিরশির তোলা অমসৃণ ফোঁকর, পাট পাট করে বিছানো দৈনিক পত্রিকার স্তূপ, ষ্টোর রুমে রাখা সুগন্ধি চালের বস্তা
পিঠে হাতের ছোঁয়া পেয়ে চমকে ফিরে তাকিয়ে দেখলাম বড়াপু। ওকে দেখেই আমি মাথাটা সরিয়ে ফেললাম চট করে, যাতে আর চড় না মারতে পারে। কিন্তু ও আমাকে চড় মারলো না, বরং দু’হাতে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললো। তারপর প্রায় কোলে করে আমাকে গেস্টরুম থেকে উদ্ধার করে নিয়ে গেলো ড্রেসিংরুমে। সেখানে আমাদের পরিবারের সবাই গাদাগাদি করে বসে ছিলো। আমরাও একপাশে বসে পড়লাম। গতরাতে বড়াপুই বাথরুমের দরজাটা লাগিয়ে দিয়েছিলো। আমাকে গেষ্টরুমে আটকিয়ে রেখে ভয় দেখাবার জন্য।
তার সাথে আজকেও আমার আবার দেখা হবে এটাই স্বাভাবিক। আমার সময়টা মনে আছে, ঠিক সাড়ে আটটায় ভদ্রলোক বের হবেন। সটান গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম চৌরাস্তার মোড়টায়, যেখানে রহিম চাচা আজকাল মাঠা বিক্রি করে। এক গ্লাস মাঠা হাতে নিতেই দেখলাম লোকটা আসছে।