আজ দিনটি ভালো-মন্দের মিশেলে পার হচ্ছে।
সকালে উঠেই মনটা ভালো হয়ে গিয়েছিল যেটা দুপুর পেরোতে না পেরোতেই খারাপ লাগায় ভরপুর হয়ে উঠেছে।
শহরটা ভিজতেই থাকে...রোদে,বৃষ্টিতে।জবুথবু রাজপথ চিত হয়ে চেয়ে চেয়ে দেখে ধূসর (অথবা হলুদ) আকাশ।একটা নিঃসঙ্গ সানশেড ঘিরে ছটফট করে আরো নিসঃঙ্গ একটা কাক।ধুলো আর ধোঁয়া চুরি করে নিয়ে যেতে থাকে এক একটা বিকেল,দুপুর...মধ্যরাত।যান্ত্রিক ডামাডোলে নিখোঁজ হয় একটা হুতুমপেঁচার একঘেয়ে দীর্ঘশ্বাস।
গল্পগুলো বলা হয়ে ওঠে না...কখনোই।
ছোটবেলায় অনেকের মত আমারো মনে বড় আশা ছিল বড় হয়ে আম্রিকা যামু, কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে সে আশা এক্সপোনেন্সিয়ালি কমতে থাকে। বুয়েটে ভর্তি হওয়ার পরে আবার সে আশার পালে একটুখানি হাওয়া-বাতাস লাগে বড়ভাইদের আম্রিকা যাওয়ার আগ্রহ/সুযোগ দেখে।
১
আফ্রিকার প্যারিস- আবিদজান
- সুমাদ্রি শেখর
হাস্পাতাল থেকে এসে এক কাপ চা নিয়ে সচলায়তন এ বসেই দেখি ‘স্বাস্থ্যই সকল ব্যাবসার মুল’। ধন্যবাদ রেজোয়ান কে এই পোস্টের জন্য। আমার হাটুর অপারেশান(নী রিপলেস্মন্ট) নয় তারিখে, আজ ছিল প্রি-অপারেশান এপোয়েনমেন্ট। আগেই হাস্পাতাল থেকে জানিয়েছিল এটা অনেক লম্বা সময়ের ব্যাপার। আমার স্বামি ছুটি নিয়েছেন। সকাল নয়টায় আমরা হাস্পাতালে পৌছে অপেক্ষায় রইলাম।
প্রথম পর্ব > দ্বিতীয় পর্ব > তৃতীয় পর্ব > চতুর্থ পর্ব
সবুজ মামার বাসায় কিছুই ছিলো না। এমনকি ঠিক মতো প্লেট-গ্লাস, হাঁড়ি-পাতিল, বিছানা-পত্র কিচ্ছু না। শুধু একটা বিরাট ফিলিপসের ধূসর রঙের রেডিও আর একটা বড় পাতিল ছিলো। সেটাতে করে পাড়ার মুদি দোকান থেকে চাল-ডাল কিনে এনে শুধু খিচুরি রান্না করে খেতাম আমরা। প্লেট-গ্লাস বেশী ছিলো না বলে পালা করে খাওয়া হতো। পাড়ার মুদি দোকানটা তখন পর্যন্ত ছিলো বাঙালির। দোকানটা সামনের দিকে বন্ধ, কিন্তু পেছনের একপাশে একটু খোলা ছিলো। ওদিক দিয়েই পাড়ার লোকে কেনাকাটা করতো। তেমন ভালো কিছু ছিলো না সেখানে। মনে হয়, পান-বিড়ির দোকানের মতো ছিলো সেটা। সিগারেটের মধ্যে স্টার, বগা, উইল্স আর সবচেয়ে বেশী ছিলো বিড়ি।
(ছবি ও লেখা দুটোই অত্যন্ত দুর্বল, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি কামনা করলাম।)
পরীক্ষা শেষ হল কিছুক্ষণ আগে, ২-৩ ঘণ্টা, তখন বিকেল ফিরছে। রাজ্যের ক্লান্তি কাবু করে ফেলেছে, হঠাৎ মুঠোফনে আর.বি.'র নাম ভেসে উঠল, আমরা বন্ধুমহল আর.বি. ডাকি, (এই নামের পশ্চাতেহাস অজ্ঞাতই থাক আজ!)। ও বললো চলে আসতে, টিকেট কাটতে যেতে হবে, আমি তখন বিস্ময়ঘোরে! জানা ছিল আমরা কোথাও গেলে এমনই হুঁট করে যাই।...
পর্ব-১
নিজাম সাহেব একজন নির্ভেজাল সুখী মানুষ। তার সুখের মূল কারণ তার স্ত্রী আলেয়া বেগম।
নিজাম সাহেব ছেলে বেলাতেই বাবা-মাকে হারিয়েছেন। এক দূর সম্পর্কের মামার বাড়ীতে মানুষ। মামার সামর্থ্য বেশী ছিলনা, কিন্তু তবুও তিনি নিজাম সাহেবকে কলেজ অবধি পড়িয়েছিলেন। আলেয়ার সাথে বিয়ের প্রস্তাবটিও মামাই নিয়ে আসেন।
এটা মোডকদের গল্প। মোডকরা হলো নেটিভ আমেরিকান জনজাতি, থাকতো ক্যালিফোর্নিয়া আর ওরিগনের সংযোগস্থলের বনপাহাড়ের মধ্যে। এদের সৃষ্টি বিষয়ক উপকথায় আছে পৃথিবীতে মানুষ কীভাবে এলো সেই কাহিনি।