[justify]পার্থক্য বড় ঝামেলার বস্তু। বিশেষ করে যেইসব লোকজন দশজনের ঠিকাদারী নিয়ে রাখেন, যেমন, রাষ্ট্র, হুজুর, বহুজাতিক কর্পোরেট কিংবা পাড়ার ষণ্ডা। তাদের জন্মশত্রু হলো পার্থক্য। মানুষে মানুষে পার্থক্য। মতে মতে পার্থক্য। ধর্মে ধর্মে পার্থক্য। জাতে জাতে পার্থক্য। ফলে ঠিকাদারেরা সাধারণত মানুষরে বুঝায়, পার্থক্য বলে কিছুই নাই। খালি মিল আছে। সব রঙ একরকম। সব কিছু মিলমিশের মধ্যে আছে। বা মিলমিশ হওয়ারই খাল
কী আসে যায় এই যদি হয় সেই সে শেষের রাত?
এই যদি হয় শেষ দেখা এই 'তিনটে বেজে সাত'?
কী আসে যায় এই যদি হয় শেষ কটি লাইন লেখা?
কী আসে যায় আর কখনো না-ই যদি হয় দেখা?
কী আসে যায় অচিন পথে একলা গেলে হেঁটে?
কী আসে যায় কেউ যদি দেয় প্রাণের ও ফুল ছেঁটে?
কী আসে যায় না-ই যদি আর সকাল দেখা জোটে?
কী আসে যায় শব্দ যদি না আসে আর ঠোঁটে?
কী আসে যায় দুই খানি হাত বিশ্রামে যায় যদি?
আবার ফটোব্লগ (এই ব্লগের সবগুলো ছবি পয়েন্ট এন্ড শুট ক্যামেরায় তোলা)। গতবছরের মাঝামাঝি গিয়েছিলাম বান্দরবান। সেখান থেকে তোলা কিছু ছবি তুলে দিলাম এই খানে।
কিছুদিন আগে সচল সাঈদ আহমেদ মুক্তিযোদ্ধা বানু বিবি সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছিলেন। এই বৃদ্ধা আমাদের বাংলাদেশের জন্যে যুদ্ধ করেছেন, পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছেন, হারিয়েছেন তাঁর স্বামীকে। স্বাধীন দেশে স্বয়ং বঙ্গবন্ধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি বানু বিবিকে সহায়তা করবেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষার আগেই নিহত হন।
অফিস যেতেই হয়। সবারই কোনো না কোনো কারণ থাকে। টাকা, মানুষের সমাজে জায়গা, ক্ষমতা, জীবনে বৈচিত্র, ব্যস্ত থাকা ইত্যাদি।
শাহিন অফিসে যাওয়া শুরু করে কর্মজীবী নারী হওয়ার জন্য। তারপর সে বলা শুরু করে কাজটাকে ভালোবেসেই সে কাজ করে। বিশ্বাসও করতে চেয়েছিল কথাটা। কিন্তু কোনো সৃষ্টি আর তার স্রষ্টার সম্পর্ক এখন আর সরাসরি ও সহজ নাই। কাজেই কাজের প্রতি আদিম ভালবাসার দিনও নাই। যান্ত্রিক পুনরুৎপাদনের ছলাকলা ছাড়া করার তেমন কিছুই নাই।
মানুষ সাধারণভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা একটি জীব। এর নানা বৈজ্ঞানিক ও সমাজতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা আছে, বিজ্ঞজনেরা তা জানেন, এখানে বলার তেমন প্রয়োজন কী? সম্পর্কিতরা একে অন্যের ক্ষতি করেনা (অন্তত এটাই প্রচলিত ধারণা)। তাই মানুষ ক্রমাগত সম্পর্ক তৈরি করে। রিকশাওয়ালাকে মামা ডাকে, দোকানিকে ভাই, অফিসকে বলে পরিবার।
বেজে ওঠে না-বলা গানের কলি, ছিঁড়ে যায় মননের তার
কংক্রিটে, পীচঢালা পথে পথে সারাক্ষণ আটকে থাকে পা
সমস্ত চরাচরে অদম্য কোলাহল অগণন সুর ভিন্নতার
ঘরপোড়া বাউল খোঁজে বসন, রুদ্রাক্ষের মালা, একতারা
মমতার চাদরে জড়িয়েছে সে সোনার অঙ্গ, সম্পর্ক সুর
জানে না পথের দিশা, মেঠোপথে নেচে চলে অজানা নূপুর।
পরিশ্রান্ত ভুলের উঠোনে ঢেউ খেলে সংসার সমুদ্র জল
দিকভ্রান্ত নাবিকের হাল কাঁপে বিরহের ঝড়ে অবেলায়
১৮৫৬ সালের অগাস্ট মাসের রৌদ্রকরোজ্জ্বল এক প্রভাত । উত্তর-পশ্চিম জার্মানির নিয়ান্ডারথাল উপত্যকার চুনা-পাথরের খনিতে সেদিনের কর্মব্যস্ততা মাত্র শুরু হয়েছে । হঠাৎই এক শ্রমিকের শাবল শক্ত কিছুতে বাড়ি খেয়ে ঠং করে আওয়াজ করে উঠল । শ্রমিকটি আগ্রহী হয়ে আরেকটু খুড়েই দেখতে পেলো কিছু হাড়-গোড় । হয়তো পাহাড়ী ভালুকের হাড় এই ভেবে সে সেগুলো পাশে সরিয়ে রাখলো পরে দেখার জন্যে । ওই দিনই খনি শ্রমিকটি হাড়গুলো দেখাতে নিয়ে
১
নিজের সম্পর্কে কোন কিছুই স্থির করে বলতে পারি না। কোন ধরনের মুভি ভালো লাগে থেকে শুরু করে কোন বিষয়ে গবেষণা করতে চাই, আমি স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারি না। জীবনের লক্ষ্য রচনায় বরাবর লিখে এসেছি, আমি ডাক্তার হয়ে নিজের গ্রামে ফিরে গিয়ে জনসেবা করব। লিখেছি কারণ, আমার কাছে যে নোট ছিলো, তাতে এমনটাই লিখা ছিলো।
অন্ধকার আর আলোর মাঝে একটি উঁচু চেয়ারের ওপর বসেছিলেন মিসেস হোসেন, ফেরদৌসকে দেখে তাঁর মুখে হাসি ফোটে। "আসুন, আসুন হাসান সাহেব। অ্যাই পপি, হাসান সাহেবকে কাগজটা দে তো ভাই!"
সহকারী নির্দেশক মারজানা পপি প্রেতের মতো নিঃশব্দে এগিয়ে আসে অন্ধকার ফুঁড়ে, তার হাতে এক শিট সাদা অফসেট কাগজ।