কতো কতো সিনেমা দেখা হয়েছে এপর্যন্ত। তার কোনোটি দেখে কষ্টে চোখ ঝাপসা হয়ে গেছে, কোনোটি ডুকরে উঠতে বাধ্য করেছে, আবার কোনোটি দেখে হাসতে হাসতে খুন হতে হয়েছে। কোনোটির রোমান্টিক ভাবের জোয়ারে মন ভেসে যেতে চেয়েছে
উনিশ শতকেই প্রচুর ভারতীয় সাগর পারি দিয়ে পশ্চিমে আসে উচ্চশিক্ষার জন্য। দেশ স্বাধীন হবার পরে মানুষ আরো বেশি আসতে থাকে উচ্চতর শিক্ষার জন্য। মেধায় মননে এরা দুধের সরের মত। গ্রামে মাটির হাড়িতে দুধ জ্বাল দিলেও ঘন সর উপরে জমে, শহরে ধাতব পাত্রে জ্বাল দিলেও স্বরটা উপরেই জমা হয়!
আম্মা প্রায় সময়ই বকে, সারাদিন ভ্যান ভ্যান করে গান বাজাতে থাকিস, মনে হয় যেন পাড়ার মোড়ের চা দোকান। ভাঙা রেডিওর মত বাজছে তো বাজছেই, কোন বিরাম নাই।আমার ভাগ্নের প্রশ্ন, তোমার ঘরে সারাদিন গান বাজে কেন!
ইতালির এই উপকথার সাথে কোথাও কোথাও আমাদের অরুণ বরুণ কিরণমালা কাহিনির খুব মিল আছে। কোন দেশ থেকে কোন কাহিনি কোথায় গেছে তা বার করতে গেলে রীতিমতো রাখালদাসকে ডাকতে হয়।
জোনাকিরা আলো জ্বালে,
টিমটিমে অপূর্ব শোভামণ্ডিত আলো,
বসন্তের শেষে বা গ্রীষ্মের সন্ধ্যায়।
স্বয়ংপ্রভ নীলাভ-সবুজ রহস্যময় দ্যুতি,
তার সহজাত সঙ্গী আহবান।
আমরাও আলো জ্বালি,
টিমটিমে চরম প্রত্যাশাময় আলো,
দিনের শুরুতে বা যখন দিনমণি অস্ত যায়।
প্যান্ডোরার বাক্সবন্দী আশারূপ অদৃশ্যমান শিখা,
আমাদের সহজাত অস্তিত্বের আবেদন।।
___________________________________________________________________
আপনাকে মনে পড়ে...
সচলায়তনে এলে আপনাকে মনে পড়ে।
না এলেও মনে পড়ে।
আপনি আমাদের স্বজন ছিলেন, বৃক্ষ ছিলেন, ছায়া ছিলেন।
আকাশের তারার ওপারের দেশের অধিবাসী হয়ে বুঝি বেশ আছেন!
অথচ কতো সব কথা না বলা রয়ে গেল, শোনা হলো না কতকিছু!!!
আপনি না ফেরার দেশে যাওয়া শিক্ষক সুরাইয়া খানমকে কথা দিয়েছিলেন, ২৫ মে'তে তাঁকে স্মরণ করবেন।
কেউ কেউ চরম অপরিণামদর্শী। ভাগ্য নিয়ে কাবাডি খেলতে পারে কেউ কেউ। সদরুল বাশার ঠিক সেরকম না হলেও কাছাকাছি। কেরাণীহাট থেকে শহরমুখী কোষ্টার সার্ভিসে ওঠার সময় সদরুল বাশার তার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ভাসমান অমাবস্যাই দেখছিল। শহরে তার পরিচিত দুয়েকজন আছে ঠিকই, কিন্তু রাতে থাকার মতো কেউ ঘনিষ্ট কেউ নেই। দূর সম্পর্কের এক খালাতো ভাই আছে তার মেসে ওঠা যেতে পারে খুব দায়ে ঠেকলে। ঠেকায় সে ইতিমধ্যে পড়ে গেছে। বাবার সাথ
মুখোমুখি একজোড়া মানব-মানবী,
সামনে ধূমায়িত কফির কাপ।
বাইরে অঝোর বৃষ্টি, ভেতরে
বিস্মৃতপ্রায় স্মৃতির বাতাস,
দু’জনের মনে, স্কুল
জীবনের ঝড়ো হাওয়া।
রাত জেগে থাকার নেশাটা ক্রমশ পেয়ে বসেছে মাদকের মতো। শেষ রাতের দিকে ক্লাসিকেল সংগীত ছেড়ে দিয়ে মনের ক্ষুধা মিটিয়ে নিচ্ছি বেশ ভালোভাবেই। এখন উল্লেখ করার মতো তেমন কোন কাজই হচ্ছে না। টুকটাক কিছু মুভি দেখা, ক্লাসে বসে গল্পের বই পড়াও কমে গেছে। অথচ এসবই ছিল আমার কাজ। ইদানীং কমে যাচ্ছে কেন এটার কোন উত্তর আমার কাছে নেই। খুব আত্মকেন্দ্রিকতায় ভুগছি বেশ কয়েকদিন ধরে। মাঝে মাঝে প্রাণের মানুষটাকেও মনে পড়ে