মেঘেদের দস্যিপনায় কাল রাত ভর লোপাট হল জোছনার আলো । বোশেখ পূর্ণিমার মেঘরাতে চাঁদ ছিলনা । ঘোলা জোছনায় ঘর ছেড়ে জীবনের সত্যি খুঁজবার ডাক না পেয়ে আবার কোন অতীশ বুদ্ধ হয়ে উঠতে পারেনি । কলিকাল বুঝি প্রাণ পেল তাই ।
১.
প্রায় মাঝরাত।
জানালাটা খুলে বাইরে তাকালাম।
ব্যস্ত এ শহরটা এখনও যেন ঘুমায়নি।
অনেকদূরে রাস্তার আলো দেখতে পাচ্ছি।
ঝাপসা।
শুধু আলোর কতগুলো বৃত্ত।
হলুদ সবুজ লাল আর নীল।
যেগুলো স্থির সেগুলো স্ট্রীটল্যাম্প।
আর যেগুলো চলছে সেগুলো গাড়ির হেডলাইট।
রাত আমার ভালো লাগে।
ভালো না লাগে বলে এভাবে বললে মনে হয় ঠিক হবে, দিনের থেকে রাতটা ভালো যায়।
অন্ধকারে সবকিছু কেমন যেন ধোঁয়াটে হয়ে যায়।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ দী-ঈ-ঈ-ঈর্ঘ পোষ্ট!
আমার ছোটবেলাটা কেটেছিল এই পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর বাড়িটায়!
সিলেটের এম সি কলেজের প্রিন্সিপালের বাংলো আমার দেখা এই পৃথিবীর সবচাইতে চমৎকার বাড়ি।
[justify]শব্দের সুতোয় গাথা এক একটি বাক্য, আমরা তাকে বলি ভাষা। একটা বাক্য মানে কি কেবলই কিছু শব্দের সমাহার?—না। কারণ, বাক্য তৈরি হয় শব্দ সাজিয়ে। শব্দগুলো এলোপাতাড়িভাবে বসে না; বসলে অর্থ বোঝা যায় না, আর অর্থ না-বুঝলে বাক্যও হয় না। অর্থাৎ একটি বাক্য হলো কিছু শব্দের সারি এবং সেই সারিতে কার পাশে কে বসবে তার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে শব্দগুলোকে পরপর বসতে হবে। ১
[justify]আমেরিকার ঔপন্যাসিক ফিলিপ রথ পেলেন এই বছরের ম্যানবুকার আন্তর্জাতিক পুরস্কার। প্রতি বছর দেয়া ম্যানবুকার পুরস্কার থেকে এই প্রাইজ কিছুটা ভিন্ন। এটা দেয়া হয় প্রতি দুই বছর পরপর। জীবিত কোনো ফিকশন লেখক এই সম্মানে ভূষিত হন, তবে সেটা একটা কোনো নির্দিষ্ট বইয়ের ওপর ভিত্তি করে নয়; এটা দেয়া হয় পাঠকের ওপর লেখকের সার্বিক প্রভাবকে গণনায় ধরে। এই পুরস্কার প্রথম পান আলবেনিয়ান লেখক ইসমাইল কাদেরে (২০০৫ সালে)।
[justify](১)
ধুলো ওড়া মেঠো পথে হেঁটে যাই দূরে, বহু দূরে। একা ? উঁহু ! আমি পথ হাঁটি আর সাথে থাকে আমার শূন্যতা । অন্তহীন অসীম এক শূন্যতা। সেই ধুলো পথে গরু গাড়ি যায় লাল ধুলো উড়িয়ে। পথের পাশের বাবলা গাছের পাতারা সেই ধুলোয় মলিন বিবর্ণ হতে হতে ভাবে, ইস কবে যে বৃষ্টি নামবে। বৃষ্টির জলে নেয়ে ধুয়ে প্রান ফিরে পাবে আবার। আবার নতুন হবে ওরা। এ আর খুব কি !
ঐ যে বন্দরের ভিতরে একটা মাছের বাজার, কি নাম যেনো?
-লাল বাজার?
-হুম লালবাজার। লালবাজারের তখন মাংস ও বিক্রী হতো। কিন্তু ঐ সময় বাজারে মানুষ আসতো খুব কম। দুএকজন এলে ও মাছ-মাংস নিয়ে ঘরে ফেরার উপায় ছিলোনা কুকুরগুলোর যন্ত্রনায়।
[justify]
ঠিক এক মাস আগে আমার জাহান্নামের পথে হাঁটা শুরু।
ঘটনার শুরু এক সী-ফুড রেস্তোরাঁয়। আমার ওয়েটারের বাচনভঙ্গীতে অদ্ভূত এক এ্যাকসেন্ট – প্রায় পূর্ব ইউরোপীয়। কিন্তু না, তাও পুরোপুরি নয়। আমি তাই ওকে জিজ্ঞেস করলাম ও কোত্থেকে এসেছে। “জাহান্নাম,” সপাট জবাব। তারপর আমি কোনরকম প্রতিক্রিয়া জানানোর আগেই ও আবার বলে উঠল, “...ইয়ে, ঠিক জাহান্নাম সদর না, তবে সন্নিকটবর্তী কাউন্টি। দোযখের উপশহর থেকে।”