ক্লাস এইটের ফাইনাল পরীক্ষায় বড়সড় একটা ধরা খেলাম। অঙ্কে একেবারে ঢাউস আকৃতির এক জোড়া ডিম! ঢাকা শহরের সবচেয়ে খরুচে স্কুলগুলোর একটায় পড়ে ছেলের এই হাল!! আমার গুরুজনেরা জরুরি সভা ডাকলেন। সভার মূল এবং একমাত্র আলোচ্য বিষয়-- এই বৃহদাকার ডিম্ব উৎপাদনকারী যন্ত্রের যথাযথ প্রতিবিধান। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হল, ইয়ার লস করা চলবে না। আমাকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সেখানে নানুবাড়িতে থেকে, গ্রামের স্কুলের নবম শ্রেণীতে, পড়াশুনা করে আমি 'মানুষ' হব।
এই বর্ষায় তুমি আসবে স্বপ্না?
অনেক অনেক ভালোবাসবো।
গাঢ় নীল রঙের ভালোবাসা
সত্যি বলছি।
[justify]টিভির ওপরে মানিপ্ল্যান্ট গাছটা কারণ ছাড়াই বেড়ে উঠছে। এই দুর্মূল্যের বাজারে বেড়ে ওঠার অপরাধটুকু ঢাকার কোনোপ্রকার আড়ষ্টতা ওর মধ্যে নেই। তরুশিশু থেকে তরুযুবকে পরিণত হওয়া আমি নিজেও খেয়াল করি নি। মাঝে মাঝে টিভির চ্যানেল পাল্টাতে গিয়ে এক আধবার দেখি বা দেখিনা, এর বেশি কিছু নয়। তবে ইদানীং কেনো জানি চোখে পড়ে। ক্লান্তি নিয়ে আমার বেড়ে ওঠার সাথে সাথে মানিপ্ল্যান্টের নির্লজ্জ বাড়বাড়ন্তে কষ্ট পাই। হিংস
শুনশান চুপচাপ নেই কোনো শব্দ
কতদিন হয়ে গেল আকতার স্তব্ধ
শব্দের ভাঁজে ভাঁজে বারুদের হুঙ্কার
বহুদিন হয়ে গেল, শুনিনা তো, আকতার
কার্বনের প্রাগৈতিহাসিক গল্পের মতন একটি চমৎকার গোছানো বৈজ্ঞানিক আখ্যানের পূর্ণতা পেতে দশকের পর দশক সময় লাগে। এই সময়ে প্রস্তাবিত নানান প্রকল্পের (hypothesis) মধ্যে কোনটি বেশি গ্রহনযোগ্য তাই নিয়ে চলে তুমুল প্রতিযোগিতা। বিজ্ঞানিরা হন্যে হয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের পক্ষে বিপক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ খুঁজে বেড়ান। বিজ্ঞানিরাও মানুষ, তাদের জীবিকার চিন্তা করতে হয়, তারাও ভুল করেন, প্রভাবিত হন। কিন্তু আশার কথা হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে শত শত বছর ধরে আমরা এমন এক বিজ্ঞানের চর্চা করছি যার লক্ষ্য হচ্ছে সমস্ত ব্যক্তিপ্রবণতা আর ভুলত্রুটি দূর করে কেবল বাস্তব প্রমাণ আর অকাট্য যুক্তিতর্কের উপর ভিত্তি করে একটি ক্রমবর্ধমান জ্ঞানের সমষ্টি গড়ে তোলা। পেশাদার বিজ্ঞানির দল শুধুমাত্র সম্ভাবনাময় চিন্তাধারাকে গ্রহন করেন। বাস্তবপ্রমাণহীন ধারণাগুলি সময়ের ভাগারে নিক্ষিপ্ত হয়।
ছিন্নপথটাও নগরে শীর্ণকায়ে ধুঁকে
পথিকের পদপাত আটকে ধরে
অকার্বন রসে তেষ্টা মেটে কিছু;
শুকিয়ে তাও সবকাঠ, সূর্য ঢেলে দেয়
নতুন উত্তপ্ত তরঙ্গ অবাধ- সে
পথে তবু এক চিলতে শূন্যস্থান নেই-
লোকের দাবানলেও পুড়ছে এ নগর!