"যদি তুমি সফল হতে পারো, তাহলে ২০১৫ সালে এটা বাস্তবায়ন হবে", বলল ডেভিড। হাত মিলিয়ে যেতে যেতে বলল "আর মনে রেখো এটা কিন্তু টপ সিক্রেট। আমরা কাউকে জানতে দিতে চাই না যে আমরা এরকম কিছু নিয়ে কাজ করছি। বেস্ট অফ লাক। আশা করি তুমি সফল হতে পারবে"। আমার হার্ট বিট কি একটা মিস হলো? এত বছরের পরিশ্রম আর গবেষণা কি সফল হতে যাচ্ছে?
আজ আষাঢ় মাসের প্রথম দিন। আষাঢ়স্য প্রথম দিবস।
বৃষ্টি হল, নামে মাত্র।
তাতে আমার কি?
সড়ক দ্বীপের কাঠাল চাপা আর কদমেরা আমাকে টানেনা আর।
ভালবাসি কিনা তাতেও কিছু যায় আসেনা আর।
তীব্র ভালোবাসা না হলে তীব্র ঘৃণা'ও করা যায় না। বোঝনা?
(লেখালেখি করুন, ক্লিক করে ঢুকতেই চোখে পড়লো, ব্লগ হচ্ছে অনলাইন ্জার্নাল বা ডাইরি। আজ এই দিনের মনের কথগুলোই হোক তবে ডাইরির প্রথম পাতা।)
পদ্মজা।
কতদিন পরে অঝোর ধারায়
নামলো বৃষ্টি আমার বিজন ঘরে;
____________________
কালো মেঘ ছুঁয়ে গেলো জানালার কাঁচ
দৃষ্টির পাখিরা বিপর্যস্ত দিগ্বিদিক ঝড়ে
ভাঙচুর সময় হাঁটে কণ্টক পথে বেসামাল
জানে না সে কতো দূরে নীলাঞ্জনাদের বাড়ি!
একটা কাজলা দিঘি ছিলো এই পথে হেঁটে যেতে
বুক জুড়ে ছিলো অগণন শ্বেতপদ্মের হাসি
হাওয়ায় মেঘেরা উড়ে এসে দিতো ছায়া দিনভর
হিজলতলায় পাশাপাশি বসা দুজনার চোখেমুখে।
জানে কি সে কতো ঝড় গেলে মিলবে শিমুলতলী গ্রাম
প্রণয়ের শাড়ি খুলে দেখো সব আজ বিরহ উদাম!
আজকাল রোদন করিনা । পাছে পাঁজর পাথর ফেটে সমুদ্র প্লাবন হয় তাই রোদন করিনা আর। বহুদিন হল বোকাটে কষ্টদের বাক্সবন্দি করে সিল গালা দিয়ে আগল রেখেছি পুরে। ভেতরে তারা ফিসফাস করে সিঁদ কেটে কেটে মাথা কুটে মরে । জানেনা তো সিঁদকাঠিতে আজকাল ভেজাল থাকে ভীষণ । এখন আমার সূর্য সকালে সোনা রোদ হাসে তাই । ক্রন্দসী মেঘ বালিকারা ভোরের আলো চুরি করেনা । রোজ দিন জানালায় ডোরা কাটা চড়ুইএর এলোমেলো গান ।
রাত তিনটা পয়তাল্লিশ।
হঠাত্ করেই কেমন জানি ঠান্ডা লাগতে শুরু করলো। খালি গায়ে বসে ছিলাম। জুন মাসের গরমে মাথার ঘুন পোকাও বের হয়ে যাওয়ার কথা।
একটা টি-শার্ট খুজে নিলাম। মাথার উপর সিলিং ফ্যানটাকে এখন হেলিক্পটার মনে হচ্ছে। ফ্যান বন্ধ করে দিলাম। কেমন জানি খানিকটা ভয় ভয় লাগছে। কারণ, মনে হচ্ছে ঠান্ডাটা আসলে বাইরে না, ভিতরে।
মানুষ যেভাবে বাঁচে
মাছ মাংস সবই যখন টুকটাক রান্না করে খাওয়ার মত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারছিলাম বেশ আলেকজান্ডারের মত বিজয়ানুভূতি হচ্ছিলো। কিন্তু কিছুদিন যেতেই যখন দেখলাম যাই রান্না করি, তার স্বাদ একই রকম হচ্ছে, তখন আর আগ্রহ ধরে রাখতে পারলাম না। সে এমনি রান্না যেখানে আমিষ নিরামিষের পার্থক্য ঘুঁচে যায়। কত মুরগীর মুরগী জনম বৃথা গেলো আমার হাতে পড়ে, তার ইয়ত্তা রাখে কে!
এ-ঘর থেকে সে-ঘর,
কোণার ঐ বারান্দাটা!
নাহ, এবারও না!
মার ঘর, বাবারটাও, রান্নাঘর, বারান্দা, বসার ঘর -
এমনকি খাবার টেবিলের তলাটাও দেখে ফেলে টুপুর।
ধুসস!
ওগো রূপের মাইয়া,
তোমায় কাছে পাইয়া,
ভাবছি বুঝি পাইছি চাঁদ।
মনে কত রঙ্গিন সাধ
তোমার বাপের চাঁদের হাট,
হইবো আমার রাজ্যপাট।
পরের ধনে পোদ্দারি;
করমু আমি সর্দারি।
আরও ছিলো ইচ্ছা শত,
লুইটা নিতাম মজা যত।
কিন্তু আমার কপাল মন্দ,
ছন্দ কাইটা লাগলো দ্বন্দ্ব।
তোমার বাবা চৌধুরীসাব,
কথায় কথায় খানদানি ভাব।
ধমক দিয়া কথা কয়,
চরম গরম ফাঁপড় লয়।
দেখলে আমায় তোমার পাশ,
মিটাইয়া দিবো প্রাণের আশ।